Jump to content
Please ensure regular participation (posting/engagement) to maintain your account. ×
The Bangladesh Defence Analyst Forum

Recommended Posts

  • Elite Members

https://www.dhakatribune.com/bangladesh/2022/07/05/icddrb-study-shows-rapid-rise-in-omicron-subvariant-in-dhaka

icddr,b study shows rapid rise in Omicron subvariant in Dhaka

The first suspected Omicron subvariant BA.5 in Dhaka was detected on May 19

 

UNB

July 5, 2022 5:39 PM

Dhaka has reported scores of Covid-19 cases traced to the BA.5 Omicron subvariant, which appears to be more infectious than the past versions of the virus, extending the current Covid-19 surge.

International Centre for Diarrhoeal Disease Research, Bangladesh (icddr,b) on Tuesday told about the rapid spread of BA.5 Omicron subvariant cases.

During the last six weeks (May 14 to June 24), this subvariant became the most predominant. During this period, 51 out of 52 covid cases were identified as BA.5 subvariant and one BA.2 by using complete genome sequencing, according to icddr,b.

SARS-CoV-2 variants are outcompeted one by another over time, which underscores the continuation of variant surveillance for a regular update on the emergence of new variants, states the icddr,b report.

A study, conducted on 40 Omicron BA.5 infected patients, found that 38 patients had received at least one dose of vaccine. Among them, 16 had received booster doses of vaccines, 21 had two doses, and one had received only one dose.

Besides, 39 patients had mild to moderate symptoms, and one had no symptoms. Only one was hospitalized for a day which means the severity of this subvariant is low.

The researchers also urged everyone to practice all precautions to keep safe from Covid-19 as well as to get vaccinated against the virus who are not vaccinated yet.

The first suspected Omicron subvariant BA.5 in Dhaka was detected on May 19. The Omicron variant in Bangladesh was first identified on December 6 last year.

Meanwhile, Bangladesh registered seven more Covid-linked deaths with 1,998 cases in 24 hours till Tuesday morning amid a rapid surge in new infections.

The fresh numbers took the country's total caseload to 1,982,972 and the total fatalities to 29,182, according to the Directorate General of Health Services (DGHS).

The daily case positivity rate rose to 16.74% from Monday’s 16.51% as 11,882 samples were tested during the period, said the DGHS.

Link to comment
Share on other sites

  • Elite Members

https://www.dhakatribune.com/bangladesh/2022/07/05/uiu-dof-du-sign-mou-for-research-collaboration

UIU, DoF-DU sign MoU for research collaboration

This MoU to promote collective research and high-quality publications in reputable journals

pr-photo-of-mou-between-uiu--dof-du---20

Tribune Desk

July 5, 2022 6:06 PM

A Memorandum of Understanding (MoU) was signed between United International University (UIU) and the Department of Finance of University of Dhaka (DoF-DU) for research collaboration on Tuesday.

The concerned authorities signed the MoU at UIU Campus, located at United City, Madani Avenue, Dhaka, according to a press release. 

Moinuddin Hasan Rashid, chairman and managing director of United Group, was present as the chief guest at the ceremony.

Prof Dr M Jahangir Alam Chowdhury, chairman of Department of Finance of DU, was present as the special guest while Prof Dr Chowdhury Mofizur Rahman presided over the ceremony.  

Prof Dr M Rezwan Khan, executive director of IAR and former vice-chancellor of UIU, and Prof Dr M Jahangir Alam Chowdhury signed the MoU on behalf of their respective universities. 

Prof Dr Abul Kashem Mia, pro-VC of UIU, Dr Md Zulfiqur Rahman, registrar of UIU, along with the faculty members and high officials were also present in the program.  

According to the release, this MoU will promote collective research and high-quality publications in reputable journals, as well as facilitate cooperative research partnership opportunities between DoF-DU and UIU. 

Research funds will be awarded to faculty members from both universities' research fields.

Additionally, UIU sponsored research funds and partnered with other national and international organizations. 

Currently, IAR distributes research funds twice a year and has more than 75 active research projects.

Link to comment
Share on other sites

  • Elite Members

https://www.prothomalo.com/roundtable/বাংলাদেশে-টেকসই-খাদ্য-ও-পুষ্টিনিরাপত্তায়-উদ্ভাবনী-কৃষি-ও-কৃষি-জীবপ্রযুক্তি

বাংলাদেশে টেকসই খাদ্য ও পুষ্টিনিরাপত্তায় উদ্ভাবনী কৃষি ও কৃষি জীবপ্রযুক্তি

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২২, ১৭: ১৬

Group_Pic_Okay.jpg?rect=114,0,1972,1109&

অংশগ্রহণকারী:

রাখ হরি সরকার

অধ্যাপক, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

মো. শাহজাহান কবীর

মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)

মো. বেনজীর আলম

মহাপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর

গ্রেগরী জ্যাফি

সহযোগী পরিচালক, পলিসি অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স, অ্যালায়েন্স ফর সায়েন্স

নাজমা শাহীন

অধ্যাপক, পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

মো. আবদুল কাদের

প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)

মো. ফরহাদ জামিল

কান্ট্রি ডিরেক্টর, সিনজেনটা ফাউন্ডেশন ফর সাসটেইনেবল অ্যাগ্রিকালচার, বাংলাদেশ

মো. আবদুল কাদের

ন্যাশনাল লিড অ্যাগ্রোনমিস্ট, এফএও

আবু নোমান ফারুক আহমেদ

অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, প্ল্যান্ট টেকনোলজি বিভাগ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

তাসনিমা মেহ্জাবীন

ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, বারটান

এ এস এম নাহিয়ান

প্রিন্সিপাল সায়েন্টিস্ট, এসিআই, মলিকুলার জেনেটিকস

সূচনা বক্তব্য:

আব্দুল কাইয়ুম

সহযোগী সম্পাদক, প্রথম আলো

সঞ্চালনা:

মো. আরিফ হোসেন

নির্বাহী পরিচালক, ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশ

আব্দুল কাইয়ুম

আমাদের দেশ ছোট। মানুষ বেশি। এমন কিছু উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিতে হবে, যেন পুষ্টিমান ঠিক রেখে বেশি খাদ্য উৎপাদন করা যায়। জলবায়ু পরিবর্তন, বন্যা, লবণাক্ততাসহ বিভিন্ন কারণে খাদ্য উৎপাদন কমে যায়। এ বিষয়ে চিন্তা করা প্রয়োজন। আজকের আলোচনা কৃষিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।

রাখ হরি সরকার

Rakho_Hari_Sarker.jpg?auto=format,compre

আমাদের খাদ্যের চাহিদা পূরণ করতে হলে জীবপ্রযুক্তির (বায়োটেকনোলজি) অপার সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে বায়োসেফটি নিশ্চিত করা জরুরি। জিডিপিতে কৃষির অবদান ১৯ দশমিক ৬ শতাংশ। কৃষিতে দেশের ৬৩ শতাংশ মানুষের কর্মসংস্থান হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর জনসংখ্যা ছিল সাড়ে ৭ কোটি। তখন দেশে খাদ্যঘাটতি ছিল। প্রচুর খাদ্য বিদেশ থেকে আমদানি করতে হতো। কিন্তু বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি। কিন্তু এখন তেমন আমদানি করতে হয় না।

আমাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, পক্ষান্তরে চাষযোগ্য জমি প্রতিবছর ১ দশমিক ২ শতাংশ হারে হ্রাস পাচ্ছে। যদিও বাংলাদেশ কৃষিক্ষেত্রে অনেক উন্নতি করেছে তারপরও দেশের ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীকে খাদ্য সরবরাহ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আবার পুষ্টি উপাদানসমৃদ্ধ খাদ্য মানুষ কতটা পাচ্ছে, সে সম্পর্কে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। দ্রুত এবং আশঙ্কাজনক হারে চাষযোগ্য জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এ জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারে—এমন উদ্ভাবনী ফসলের জাত করতে হবে।

জীবপ্রযুক্তি ব্যবহার করে নতুন ফসল উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী একটি অভিমত রয়েছে, বিশেষ করে জীববৈচিত্র্য আর মানব স্বাস্থ্যের যেন কোনো ক্ষতি না হয়, সেদিকে লক্ষ রেখেই জীবপ্রযুক্তি প্রয়োগ করতে হবে। সেই সূত্রে আধুনিক জীবপ্রযুক্তিকে সফলভাবে পরিচালনার জন্য বায়োসেফটি বা জীবনিরাপত্তা নিয়মকানুনগুলো অনুসরণ করা অত্যন্ত প্রয়োজন। বাংলাদেশ জাতিসংঘের জীববৈচিত্র্য চুক্তি সমর্থনকারী দেশ, সুতরাং বাংলাদেশ এই জীবনিরাপত্তার বিধান মানতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ২০১৩ সালে জীবপ্রযুক্তি প্রয়োগের দ্বারা উদ্ভাবিত কীটপতঙ্গ প্রতিরোধী বিটি বেগুনের চাষ শুরু করেছে। রোগ প্রতিরোধী জাত উদ্ভাবনের জন্য বায়োসেফটি বা জীবনিরাপত্তা নিয়মকানুন অনুসরণ করে গবেষণা করছে।

ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মূল উদ্দেশ্য মানুষের জন্য জীবপ্রযুক্তি দ্বারা উদ্ভাবিত ভিটামিন–এ সমৃদ্ধ গোল্ডেন রাইস চাষ করা। প্রযুক্তিকে সফলভাবে প্রয়োগের ক্ষেত্রে সব বাধা অতিক্রম করে অগ্রসর হওয়া বাঞ্ছনীয়।

উল্লেখ্য, জীবপ্রযুক্তির আরও কিছু নতুন গবেষণা পৃথিবীতে কার্যকর হচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো জিনোম এডিটিং প্রযুক্তি দ্বারা ফসলের মানোন্নয়ন। দ্রুততম সময়ে কীভাবে আমাদের দেশে জিনোম এডিটিং–এর মাধ্যমে উদ্ভাবিত ফসল চাষ করা যায়, সে ব্যাপারে একটি সুস্পষ্ট গ্রহণযোগ্য নীতিমালা প্রণয়ন করা জরুরি। জীবপ্রযুক্তি প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে সরকার প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।

মো. আরিফ হোসেন

Arif_Hossain.jpg?auto=format,compress&fo

দেশে আমরা টেকসই খাদ্য ও পুষ্টিনিরাপত্তার কথা বলছি। এ জন্য উদ্ভাবনী কৃষি, কৃষি জীবপ্রযুক্তি, জিন প্রকৌশল, জিন এডিটিং ও আরও যেসব উন্নত প্রযুক্তি আছে, সেসব বিষয় আলোচনায় আসবে। ধান উৎপাদনে আমরা সাফল্য অর্জন করেছি। আমাদের আরও অনেক দূর যেতে হবে। জিনপ্রকৌশল খাদ্যনিরাপত্তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। জিনপ্রযুক্তি খাদ্যের উৎপাদন বাড়ায়। খাদ্যের পুষ্টিমান বাড়ায়। দেশের কৃষক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। ভারত একসময় তুলা আমদানি করত। এখন জিনপ্রযুক্তি ব্যবহার করে রপ্তানি করছে।

আমাদের খাদ্যপণ্য উৎপাদনের সময় পুষ্টিমান ঠিক রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। খাদ্য উৎপাদন পরিবেশের ওপর কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ, এটা স্বাভাবিক কোনো প্রক্রিয়া নয়। জীবপ্রযুক্তি কতটুকু সাহায্য করবে, সেটা আলোচনার বিষয়। খাদ্যনিরাপত্তা ও নিরাপদ খাদ্য দুটোই জরুরি। পণ্য রপ্তানিও গুরুত্বপূর্ণ। বায়োটেকনোলজি বা সাধারণ যে প্রক্রিয়ায় উৎপাদন হোক না কেন, আমাদের পণ্য রপ্তানিতে সমস্যা রয়েছে। এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। বায়োটেকনোলজি ব্যবহারের ক্ষেত্রে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। আর সরকারি–বেসরকারি গবেষণার ফল যেন দ্রুত কৃষকের কাছে পৌঁছায়, সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।

আবু নোমান ফারুক আহমেদ

Abu_Noman_Faruq.jpg?auto=format,compress

শুধু বাংলাদেশের নয়, সারা পৃথিবীর জনসংখ্যা বাড়ছে। ২০৫০ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা ৯৫০ কোটির বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, এখন যে খাদ্য উৎপাদন করা হয়, এর থেকে ৭০ শতাংশ বেশি খাদ্য উৎপাদন করতে হবে। ২০৩০ সালে পৃথিবীর প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনোভাবে খাবারের সংকটে থাকবে। স্বাধীনতার পর আমরা যে সবুজ বিপ্লব শুরু করেছিলাম, এর সুফল আমরা পেয়েছি। উচ্চফলনশীল জাতের উৎপাদন শুরু করেছি। কেমিক্যাল ফার্টিলাইজার, পেস্টিসাইড, ইরিগেশনসহ বিভিন্ন উদ্যোগের জন্য আমরা দানাদার শস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। আমাদের সবজি, মাছ ও ফল উৎপাদনে সফলতা রয়েছে। এর সঙ্গে চ্যালেঞ্জও রয়েছে।

ডাল, তেল, চিনিও আমাদের জন্য জরুরি পণ্য। আমরা যদি ডাল, তেল, চিনি এসব পণ্যের উৎপাদন ৪০ শতাংশ বাড়াতে চাই, তাহলে চিন্তা করতে হয় ধানসহ কোনো ফসলের উৎপাদনে সমস্যা হবে কি না। আমাদের সার্বিক কৃষিতে অনেক সমস্যা রয়েছে।

ভবিষ্যতের কৃষিতে তিনটি বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। খাদ্যের নিরাপত্তা, টেকসই ও দায়িত্বশীল কৃষি। কিন্তু আমাদের সম্পদ সীমিত। এই সীমিত সম্পদ দিয়েই অনেক বেশি উৎপাদন করতে চাই। জমি ফেলে রাখছি না। আমাদের এখন খোরপোশ কৃষি থেকে বাণিজ্যিক কৃষিতে উত্তরণ করতে হবে।

২০০৭ সালে গ্লোবাল গ্যাপ চালু হলো। গ্লোবাল গ্যাপ হলো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মান নিশ্চিত করে ভালো ফসল উৎপাদন বা গুড অ্যাগ্রিকালচারাল প্র্যাকটিস (গ্যাপ)। ২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত আফ্রিকার অধিকাংশ দেশ নিজস্ব গ্লোবাল গ্যাপ চালু করেছে। কিন্তু আজ ২০২২ সালেও বাংলাদেশ গ্যাপের ফাইল বিভিন্ন টেবিলে ঘুরছে।

এ ক্ষেত্রে নীতিনির্ধারকদের ব্যর্থতা রয়েছে। তাঁরা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেননি। দায়িত্বশীল কৃষি মানে আমাদের বায়োটেকনোলজির দিকে যেতে হবে। আমাদের ভুট্টার উৎপাদন অনেক বেশি, এরপরও চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। আমরা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের কথা বলি, ২০৪১ সালে উচ্চ আয়ের দেশের কথা বলি, এসব আকাঙ্ক্ষা তখনই পূরণ হবে, যখন আমরা কৃষিতে টেকসই হব। আজ বিভিন্ন সূচকে আমাদের উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়নের ভিত্তি হলো কৃষি। বায়োটেকনোলজি আমাদের কৃষি সম্প্রসারণে সহযোগিতা করেছে। ভবিষ্যতে এ প্রযুক্তি আরও বেশি কাজে লাগাতে হবে।

মো. বেনজীর আলম

02_Benjir.jpg?auto=format,compress&forma

দানাদার শস্যে আমরা এখন প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমরা সব সময় আতঙ্কের মধ্যে থাকি যে এই স্বয়ংসম্পূর্ণতা কতক্ষণ ধরে রাখতে পারব। প্রতিবছর ২২ থেকে ২৫ লাখ মানুষ বাড়ছে। তাদের জন্য অতিরিক্ত খাদ্য উৎপাদন করতে হচ্ছে। সেদিকে আমাদের বেশি লক্ষ রাখতে হচ্ছে। টেকসই খাদ্যনিরাপত্তার জন্য আমাদের উচ্চফলনশীল জাত উৎপাদন করতে হবে। চাষযোগ্য জমি কমে আসছে। আমাদের ভার্টিক্যাল উৎপাদন বাড়াতে হবে। ধানে লাভ কম। প্রধান ফসল ধান হিসেবে এগোলে কৃষিতে সফলতা আনতে পারব না। কৃষিকে লাভজনক করতে হলে কী করতে হবে, সেটা গুরুত্বপূর্ণভাবে ভাবতে হবে। কৃষিকে আরও আধুনিক করতে হবে।

কৃষিতে প্রযুক্তি ও যন্ত্রের ব্যবহার হচ্ছে। কিন্তু একে আরও বাড়াতে হবে। ধান কাটা ও মাড়াইয়ের ক্ষেত্রে যন্ত্রের ব্যবহার হচ্ছে। কিন্তু ধান রোপণও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেখানে আরও যন্ত্রের ব্যবহার বাড়াতে হবে। কৃষিতে লাভ কম বলে কৃষক এখনো সনাতন পদ্ধতিতে চাষ করেন। গবেষকেরা বলছেন, প্রতি হেক্টরে ৮ টন ফসল উৎপাদিত হবে। সেখানে প্রকৃতপক্ষে কৃষকেরা তিন থেকে চার টনের বেশি উৎপাদন করতে পারছেন না। এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে না পারলে দানাদার শস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখতে পারব না। এখন আমরা প্রায় দুই কোটি টন সবজি উৎপাদন করছি। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, জনপ্রতি প্রতিদিন ২৫০ গ্রাম সবজি খেতে হবে। এত উৎপাদন সত্ত্বেও আমরা চাহিদা পূরণ করতে পারছি না। সবজির উৎপাদন আরও বাড়িয়ে রপ্তানি করতে পারব। ফলে আমরা অনেক এগিয়েছি। এমনকি বিদেশি অনেক ফলও আমাদের দেশে এখন চাষ হচ্ছে। ফল উচ্চ মূল্যের ফসল। মানুষ এটা খুব গুরুত্ব ও যত্ন নিয়ে করে। সবজি ও ফল রপ্তানির জন্য যে মান নির্ধারণ করা দরকার, সেটা করতে পারছি না বলে রপ্তানিতে পিছিয়ে পড়ছি। তবে এ বিষয়ে আমাদের কার্যকর উদ্যোগ আছে। ভিয়েতনাম ৪০ বিলিয়ন ডলারের কৃষিপণ্য রপ্তানি করে। সেখানে এবার আমরা দেড় বিলিয়ন ডলার কৃষিপণ্য রপ্তানির আশা করছি। আমাদের কৃষিপণ্য উৎপাদনে বায়োটেকনোলজি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।

মো. ফরহাদ জামিল

farhad_Jamil.jpg?auto=format,compress&fo

প্রযুক্তি ব্যবহারের সময় কৃষির সমসাময়িক বিষয়গুলো বিবেচনায় নিতে হবে। পরিবেশ–পরিস্থিতির সঙ্গে যেন খাপ খায়, এমন গবেষণার দিকে যেতে হবে। গবেষণার ফল দ্রুত কৃষক ও ভ্যালু চেইনের সঙ্গে যাঁরা আছেন, তাঁদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। ভোক্তাদের রুচির পরিবর্তন হয়েছে। উৎপাদনেও বৈচিত্র্য আনতে হবে। গবেষণা থেকে ব্যক্তি খাত, কৃষক, ভোক্তাসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার লাভবান হবে। শুধু সরকারই গবেষণা করবে, এমন না। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ এ গবেষণা করতে পারে। অনেক ব্যক্তিমালিক এখন কৃষি ব্যবসায় বিনিয়োগ করছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁদের কৃষি খাতে আরও বেশি কীভাবে যুক্ত করা যায়, সেটা ভাবতে হবে।

কৃষক যাঁদের কাছ থেকে সার–কীটনাশক নেন, তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন, যেন তাঁরা কৃষককে সঠিক পরামর্শ দিতে পারেন। বরেন্দ্র এলাকায় পানির অভাব আছে। সেখানকার অর্থকরী ফসল হলো আম। ওখানে আলট্রাহাইডেনসিটি ম্যাঙ্গো প্ল্যানটেশন হচ্ছে। আগে এখানে ১ হেক্টর জমিতে ৬০টি আমগাছ লাগানো যেত। এখন সেখানে প্রায় ৭০০ গাছ লাগানো যায়। এ প্রযুক্তি সব জায়গায় ছড়িয়ে দিতে হবে। কৃষক চান উৎপাদন বাড়াতে আর খরচ কমাতে। কীটনাশকের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে সেটা করা যায়। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষক তাঁর শ্রমব্যয় কমাতে পারেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগে কৃষক তাঁর বিনিয়োগ হারান। এ জন্য আবহাওয়াভিত্তিক ফসল উৎপাদন করতে হবে।

মো. আবদুল কাদের

Abdul_Qader_01.jpg?auto=format,compress&

আমাদের খাদ্যের একটা বড় অংশ চাল। চাল শুধু খাদ্যের চাহিদা পূরণের জন্য উৎপাদন হয় না। এর সঙ্গে পুষ্টির একটা বড় সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের খাদ্যতালিকায় ছয়টা উপাদান আছে। ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ শর্করা আমরা চাল থেকে পেয়ে থাকি। পুষ্টি পাই ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ। ৮ থেকে ১০ শতাংশ পাই চর্বি। চালে যথেষ্ট মিনারেলও আছে। এ জন্য চাল শুধু ভাত খাওয়ার জন্য উৎপাদন করি না। এ থেকে আরও অনেক উপাদান পাই। আমরা জিংক, আয়রন ও ভিটামিন-এ, চালের উন্নয়ন করেছি।

খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তা আসতে অনেক সময় লাগবে। কারণ, এখনো আমরা এর স্বাভাবিক চাহিদা পূরণ করতে পারিনি। বায়োটেকনোলজি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু বাধা আছে, সেটা দূর করতে না পারলে খাদ্যনিরাপত্তা আসবে না। ‘ব্রি’ চাল নিয়ে অনেক কাজ করেছে। ডায়াবেটিস মুক্ত চাল থেকে শুরু করে, অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, লো–জিআই, কালো চালসহ ব্রির অনেক উদ্যোগ আছে, যেটা পুষ্টি ও খাদ্যনিরাপত্তাকে নিশ্চিত করবে। ‘ব্রি’ ২০৫০ সাল পর্যন্ত পরিকল্পনা করেছে।

গ্রেগরী জ্যাফি

Jafi_.jpg?auto=format,compress&format=we

আমি মনে করি, বায়োটেকনোলজির ক্ষেত্রে সরকারের পরিকল্পনা, গাইডলাইন ও তদারক থাকা দরকার। এ ক্ষেত্রে একটা আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে হবে। বিজ্ঞানভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমার মনে হয়, বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে এখনো বায়োটেকনোলজি ব্যবহার হচ্ছে না। এ প্রযুক্তির বিষয়ে যারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন, যারা প্রয়োগ করবেন সবার মধ্যে একটা স্বচ্ছতা থাকতে হবে। তাহলে এ পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে ফসল উৎপাদনে সফলতা আসবে।

তাসনিমা মেহ্জাবীন

TasnimA_Mahjabin.jpg?auto=format,compres

আমাদের এখন নিউট্রিশনভিত্তিক কৃষির দিকে যেতে হবে। আর খাদ্যনিরাপত্তার বিষয় হলো খাদ্য পাওয়ার সুযোগ, পর্যাপ্ততা, খাদ্যগ্রহণের ধরন। খাদ্যগ্রহণের ধরনের জন্য পুষ্টি নষ্ট হয়ে যায়। আমার মনে হয় জিন প্রকৌশল আমাদের এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে। আরেকটা হলো জনস্বাস্থ্য। আমি বেগুনে কীটনাশক ব্যবহার নিয়ে কাজ করেছি। প্রায় ৪২ রকম কীটনাশক বেগুনে ব্যবহার করা হয়। বেগুনে কোন কীটনাশক ব্যবহার করা যাবে, সেটা বলা থাকে। কিন্তু কৃষকেরা এটা মানেন না। এসব বিষয়ে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।

মো. শাহজাহান কবীর

Shahjahan_Kabir.jpg?auto=format,compress

জাতিসংঘ খাদ্য সংস্থা (এফএও) গ্লোবাল ফুড আউটলুক ২০২০ প্রকাশ করেছে। তারা সেখানে বলেছে যে ২০২২ সালে বাংলাদেশের চালের উৎপাদন হবে ৩৮ দশমিক ৪ মিলিয়ন টন। আমরা আশা করছি, ৩৮ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন। আমাদের প্রায় ১৮ কোটি মানুষের জন্য বছরে খাদ্যের চাহিদা ২৫ দশমিক ৩১ মিলিয়ন টন। মাছ, পশুসহ অন্যান্য খাতে খাদ্যের প্রয়োজন হয় ১০ দশমিক ১২ মিলিয়ন টন। তাহলে আমাদের ৩ মিলিয়ন টনের বেশি খাদ্য উদ্বৃত্ত থাকে। আমাদের এক হিসাব বলে, প্রতিদিন একজনের ৪০৫ গ্রাম চাল প্রয়োজন। এক দিনে আমাদের খাবারের চাহিদা হলো প্রায় ৭০ হাজার মেট্রিক টন চাল। মাসে প্রয়োজন হয় প্রায় ২১ লাখ মেট্রিক টন চাল।

আমাদের যে ৩০ লাখ টন খাবার উদ্বৃত্ত থাকে, সেটা হয়তো ৪০ দিনের খাবার। এটা মিলমালিক, কৃষকসহ অনেকের ঘরে থাকে। বাজারে পর্যান্ত চালের সরবরাহ আছে। কিন্তু দাম বেশি। আমরাও মনে করি না যে এত দাম হওয়ার কোনো কারণ আছে। এখন কৃষকের ঘরে কোনো চাল নেই। পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে মিলমালিকদের ওপর। এ জন্য সমস্যা তৈরি হচ্ছে। ডিসেম্বরে আমাদের আমন উৎপাদিত হয়েছে ১ কোটি ৫০ লাখ টন। আমরা ২ কোটি টনের বেশি বোরো ধান উৎপাদন করেছি। আউশ ধান হয় প্রায় ৩২ লাখ টন। চালে আমাদের কোনো সংকট নেই। গমের চাহিদা ৭৫ লাখ টন। আমাদের প্রায় ৬৫ লাখ টন গম আমদানি করতে হয়।

ব্রি ১০৮টি ধানের ভ্যারাইটির উন্নয়ন করেছে। আমাদের অনেক নতুন ভ্যারাইটির উন্নয়ন হয়েছে, যার ফলন বেশি। ২০৫০ সাল পর্যন্ত খাদ্যের চাহিদা ব্যাপকভাবে বাড়বে। এই চাহিদা পূরণ করতে হলে আমাদের বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। বায়োটেকনোলজি আমাদের এই সমস্যার সমাধান দিতে পারে। খাদ্য উৎপাদন, সংগ্রহ এবং প্রক্রিয়াসহ বিভিন্ন কারণে খাদ্য নষ্ট হয়। এটা কমাতে হবে। পোকামাকড়ে খাদ্য নষ্ট করে, এ জন্য আমাদের বিজ্ঞানীরা জিনোম এডিটিং শুরু করেছেন। লবণাক্ততা সহ্য করতে পারে, এমন ১২টি ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন। গমে কিছুটা গ্লুটেন আছে। চাল একেবারে গ্লুটেনমুক্ত। কেউ বলতে পারবে না ভাত খেয়ে ক্ষতি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ১০০ গ্রাম চালে ১০০ গ্রাম ফ্রি সুগার। ১০০ গ্রাম গমে ৩০০ গ্রাম ফ্রি সুগার। কলিফ্লাওয়ারে ৩ হাজার ২০০ মিলিগ্রাম। পেঁপেতে ৭ হাজার ৮০০ মিলিগ্রাম। যেসব দেশের মানুষ ভাত খায়, সেসব দেশের মানুষ কম মোটা।

ধান গ্রিনহাউস গ্যাস গ্রহণ করে পরিবেশকে ভালো রাখে। তাই ধান উৎপাদনকে আরও লাভজনক করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কম সময়ে অধিক উৎপাদনের জন্য বায়োটেকনোলজির কোনো বিকল্প নেই। এখন আমাদের এই পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে।

সুপারিশ

* উদ্ভাবনী উদ্যোগের সঙ্গে খাদ্যের পুষ্টিমান ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে।

* জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা, খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো ও জনস্বাস্থ্য নিশ্চিতে জিন প্রকৌশলের সঙ্গে অন্যান্য কৃষি উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া জরুরি।

* জীবপ্রযুক্তি নীতি অনুসরণ করে ভবিষ্যতের খাদ্যচাহিদা ও পুষ্টিনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষিতে জীবপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে।

* কৃষিপ্রযুক্তি ব্যবহারে গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে এবং বিজ্ঞানভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে নীতি বাস্তবায়ন প্রয়োজন।

* টেকসই কৃষি উন্নয়নে প্রযুক্তি সফলভাবে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সব বাধা অতিক্রম করতে হবে।

* দেশে জিনোম এডিটিং অবমুক্ত ও এর প্রয়োগের ক্ষেত্রে একটি সুস্পষ্ট ও গ্রহণযোগ্য নীতিমালা প্রণয়ন করা জরুরি।

* পাবলিক-প্রাইভেট অংশীদার ভিত্তিতে অ্যাগ্রি–বায়োটেকনোলজি সম্প্রসারণে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।

মো. আরিফ হোসেন

আজকের আলোচনায় অংশগ্রহণের জন্য ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশ ও প্রথম আলোর পক্ষ থেকে সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

Link to comment
Share on other sites

  • 5 weeks later...
  • Elite Members

https://bangla.dhakatribune.com/bangladesh/2022/08/01/16593383092533

জাতীয় জাদুঘরে ডাইনোসরের ফসিল দিলেন পাবনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

পাবিপ্রবি উপাচার্য ১৯৮৪ গবেষণা কাজে কানাডায়  ভ্রমণ করলে সেখানকার দি রয়েল টাইরেল জাদুঘর থেকে ৭০ হাজার বছরের পুরনো ডাইনোসরের চারটি ফসিল সংগ্রহ করেন

dinosor.jpeg

 

৭০ হাজার বছরের পুরনো ডাইনোসরের ফসিল/ সংগৃহীত

ট্রিবিউন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৩৪ দুপুর আগস্ট ০১, ২০২২

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুনের দেওয়া ডাইনোসরের চারটি ফসিল গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষ।

রবিবার (৩১ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানা গেছে।

জনসংযোগ দপ্তরকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পাবিপ্রবি উপাচার্য ১৯৮৪ গবেষণা কাজে কানাডায়  ভ্রমণ করলে সেখানকার দি রয়েল টাইরেল জাদুঘর থেকে ৭০ হাজার বছরের পুরনো ডাইনোসরের চারটি ফসিল সংগ্রহ করেন। প্রায় ৪০ বছর উপাচার্য চারটি ফসিল নিজের তত্ত্বাবধানে রাখার পর ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন। 

যাচাই বাছাই শেষে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ এই মাসে (জুলাই) ফসিল চারটি জাদুঘরের প্রাকৃতিক ইতিহাস বিভাগের সংগ্রহশালায় রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

এ নিয়ে বাংলাদেশ জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান পাবিপ্রবি উপাচার্যকে এক ধন্যবাদপত্র পাঠিয়েছেন। 

ধন্যবাদপত্রে পাবিপ্রবি উপাচার্যকে ধন্যবাদজ্ঞাপন করে মো. কামরুজ্জামান বলেন, এই ফসিল চারটি হস্তান্তরের মাধ্যমে জাতীয় যাদুঘরের সংগ্রহকে সমৃদ্ধ করেছে। ভবিষ্যতে আমরা আপনার আরো বেশি সহযোগিতা কামনা করছি।

জাতীয় জাদুঘরে নিজের সংগ্রহ করা ডাইনোসরের চারটি ফসিল গৃহীত হওয়া নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, কানাডায় বিশেষ জরিপ চালিয়ে এই ফসিল সংগ্রহ করেন সেখানকার বিজ্ঞানীরা, ওদের কাছ থেকে গবেষণার জন্য আমি এগুলো সংগ্রহ করে বাংলাদেশে নিয়ে আসি। এই ফসিল দুর্লভ। ডাইনোসর নিয়ে দেশ-বিদেশের  যারা গবেষণা করবেন তাদের উপকারে আসবে।

কানাডার ড্রামহিলার এলাকার দি রয়েল টাইরেল জাদুঘর ডাইনোসরের ফসিল সংগ্রহ এবং প্রদর্শনের জন্য বিখ্যাত। এ জাদুঘর দীর্ঘদিন ধরে ডাইনোসের ফসিল সংগ্রহ ও প্রদর্শন করছে। ডাইনোসরের ফসিল সংগ্রহে এটি সারা পৃথিবীতে সবচেয়ে সমৃদ্ধ। জীবাশ্মবিজ্ঞান সংগ্রহে এ প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অনেক প্রশংসিত।

Link to comment
Share on other sites

  • Elite Members

https://www.tbsnews.net/bangladesh/health/bcsir-develops-low-priced-covid-test-kits-472966

TBS Report

07 August, 2022, 12:30 pm

Last modified: 07 August, 2022, 09:34 pm

BCSIR develops low-priced Covid test kits

Initial presence of Coronavirus in one’s body can be detected in 4-5 hours using the home test kit

https://www.tbsnews.net/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/08/07/297563503_386821610252325_3482795819308603357_n.jpg?itok=HLjYjxzp&timestamp=1659853799

Bangladesh Council of Science and Industrial Research (BCSIR) has developed an affordable Covid-19 detection kit, each unit costing Tk250 only, announced the institute at a press conference on Sunday morning.

This is the first time that a local organisation has developed an RT-PCR kit to detect Coronavirus.

With this domestically-produced kit, it will be possible to detect the initial presence of Coronavirus in one's body in only four to five hours, said BCSIR Chairman Professor Dr Md Aftab Ali Sheikh.

Kits currently being used by the government are expensive, each Corona test costing around Tk3000-3500.

"About 1,31,58,764 samples have been tested in Bangladesh so far, for which a large number of test kits had to be imported, causing a somewhat negative impact on the country's economy," Dr Aftab Ali added.

The Department of Drug Administration has approved the production of the kit and the Bangladesh Medical Research Council has given ethical clearance for it.

The RT-PCR kit (BCSIR Covid Kit) has been developed under the leadership of BCSIR in collaboration with Bangabandhu Sheikh Mujib Medical University (BSMMU) and the University of Dhaka, which is a simple and cost-effective method for detection of Covid-19, according to BCSIR.

Science and Technology of Bangladesh Minister, Yeafesh Osman, said, "The labs of BCSIR, BSMMU and Dhaka University, need to be utilised properly to produce similar exemplary work. We have to encourage the innovations of the scientists of our country."

Besides saving foreign exchange, the people of the country will greatly benefit if government and private institutions involved in the pharmaceutical industry start manufacturing these kits as soon as possible, according to BCSIR officials.

 

Link to comment
Share on other sites

  • Elite Members

https://www.tbsnews.net/bangladesh/bangladeshs-first-private-astro-observatory-launched-gazipur-474754

TBS Report

10 August, 2022, 04:10 pm

Last modified: 10 August, 2022, 04:16 pm

Bangladesh’s first private astro observatory launched in Gazipur

 

gazipur_astro.jpg?itok=ZoZEDkWG&timestam

The first ever full size private astro observatory has been established in Sreepur of Gazipur.

It has created a new history in the astronomy practice of the country, reads a press release.

Freedom fighter and businessman Shahjahan Mridha Benu funded the observatory with his own expense and established it in his own residential land. 

The work of this non-profitable observatory has already been completed with the design and the technology provided by Benu. 

He said, those interested in astronomical research will have the opportunity to conduct research here in a few days. 

It will become a space research center with the participation of famous astronomy researchers from home and abroad and a new field of research is being introduced through this, he added.

Benu set up the country's first observatory on the roof of the National Museum of Science and Technology in the capital. 

Dipen Bhattacharya, professor of Physics and Astronomy at Moreno Valley College in the United States, Maksuda Afrus Khuki and other Bangladeshi Astro scientists are also affiliated with this observatory.

Dipen said Benu is one of the people who started the practice of astronomy in the country with the science lovers. 

"He led the research, observation, and celebration of all astronomical events in the post-independence era of Bangladesh,'' he added.

Benu hoped that students from public and private universities and colleges will be able to conduct regular space observation and research with NASA, CNSA, the European Space Agency, and the Canadian Space Agency through the Astro observatory. 

Benu's residence stands on about 80 bighas of land adjacent to Bagher Bazar in Sreepur upazila of Gazipur. 

The night sky is being observed at the institution with the help of a 14-inch meade-Cassegrain telescope in the initial stage of this observatory, Benu said. 

More sophisticated 100-inch diameter refractor telescope will be attached in future. There are also plans to install a radio telescope at the observatory, he added

Benu is also president of the Astro division of Anushandhitshu Chokro and Bangladesh Astro Foundation. These organisations will manage the astro observatory.

Link to comment
Share on other sites

  • Elite Members

https://www.thedailystar.net/youth/young-icons/global-achievements/news/bangladesh-secures-10th-position-intl-math-competition-3092561

Bangladesh secures 10th position in int’l math competition

Star Digital Report

Thu Aug 11, 2022 01:43 PM Last update on: Thu Aug 11, 2022 03:14 PM

math_team.jpg?itok=wmyFj2ah&timestamp=16

Bangladesh has secured the 10th position out of 50 participating countries in 29th International Mathematical Competition (IMC) 2022 held in Bulgeria.

More than 700 students took part in the competition on online and offline platforms. The participants are graduation students from universities and within the age limit of 23 years, reports our Dhaka University correspondent.

The five-member team of Bangladesh scored 197.8 in the week-long competition began on August 1 in American University in Bulgeria in collaboration with University College London.

The team members are Sabbir Rahman, fourth-year student of computer science department of Bangladesh University of Engineering and Technology; Atanu Roy Chowdhury, second-year student of mathematics and physics department of BRAC University; Mehedi Hasan Nowshad, third-year student of mathematics department of Dhaka University; and Zubayer Rahman and Md Hasan Kibria, fourth-year students of computer science and engineering department of DU.

Team Bangladesh participated in the competition online from through DU's mathematics department under the supervision of Bangladesh Mathematical Society.

Assistant professor of the department, Md Shariful Islam was the coach of the team and Prof Dr Md Shahidul Islam, president of Bangladesh Mathematical Society and chairman of the department, was its coordinator.

Bangladesh participated in the competition for the first time with the financial and technical support from AF Mujibur Rahman Foundation.

Link to comment
Share on other sites

  • Elite Members

https://www.facebook.com/ku.ac.bd.official/photos/a.363484967162742/2444749115702973/

সুন্দরবনের অকাষ্ঠল বনজসম্পদের বিবরণ রয়েছে এ গবেষণা গ্রন্থে

#বিশ্বের খ্যাতনামা প্রকাশনা সংস্থা স্প্রিঙ্গার থেকে খুবি উপাচার্য সম্পাদিত গবেষণা গ্রন্থ প্রকাশ

বিশ্বের মর্যাদাপূর্ণ খ্যাতনামা প্রকাশনা সংস্থা Springer থেকে Non-Wood Forest Products of Asia Knowledge, Conservation, Livelihood শিরোনামে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন সম্পাদিত একটি যৌথ গবেষণা গ্রন্থ সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। এ গ্রন্থের অন্য দু’জন সম্পাদক হলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. এ জেড এম মঞ্জুর রশিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. নিয়াজ আহমেদ খান।

প্রকাশিত বইটিতে এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ Non-Wood Forest Products এর ব্যপ্তি, ব্যবহার, গুরুত্ব, সংরক্ষণের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। এই গবেষণা-গ্রন্থটির পৃষ্ঠা সংখ্যা ২৬৮, চ্যাপ্টার রয়েছে ১১টি, যেখানে এশিয়ার অকাষ্ঠল বিভিন্ন প্রকার বনজ সম্পদের তথ্য, উৎপন্ন বিভিন্ন দ্রব্যাদি ও তার ব্যবহার, নির্ভরশীল জনগোষ্ঠী, অর্থনৈতিক গুরুত্ব, কর্মসংস্থান, প্রকৃতি সংরক্ষণে ভূমিকা, আবহাওয়া ও জলবায়ুর ওপর তার প্রভাবসহ বিভিন্ন ঝুঁকি নিরূপণ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণামূলক তথ্য-উপাত্ত রয়েছে।

গ্রন্থটির চ্যাপ্টার-৫ এ ÔNon-Wood Forest Products of the Sundarbans, Bangladesh: The Context of Management, Conservation and LivelihoodÕ (নন-উড ফরেস্ট প্রডাক্টস অব দ্য সুন্দরবনস, বাংলাদেশ: দ্য কনটেক্সট অব ম্যানেজমেন্ট, কনজারভেশন এন্ড লিভলিহুড) শিরোনামে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন এর গবেষণা নিবন্ধ স্থান পেয়েছে। এই চ্যাপ্টারে মূলত সুন্দরবনের অকাষ্ঠল উদ্ভিদ শ্রেণি ও তা থেকে আহরিত বনজ দ্রব্যাদি ছাড়াও এর নানা দিকে আলোকপাত করা হয়েছে। সুন্দরবন থেকে আহরিত গোলপাতা, শন, লতা-গুল্ম, মধু, মম জাতীয় দ্রব্যাদির ১৯৯১-৯২ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছর পর্যন্ত তথ্য-উপাত্ত লেখচিত্র সহকারে উপস্থাপন করা হয়েছে। পৃথকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে শুটকি মাছ আহরণের ২০০১-০২ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের তথ্য। একইভাবে রয়েছে চিংড়ি-কাঁকড়া, শামুক জাতীয় সম্পদের আহরণের পরিসংখ্যান। তুলনামূলক আলোচনায় উঠে এসেছে এসব দ্রব্যাদির আর্থ-সামাজিক গুরুত্ব এবং সময়ের সাথে, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে উৎপাদনের প্রভাব। সুন্দরবন থেকে রাজস্ব আয়ের একটি চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে। সুন্দরবনের ঔষধিবৃক্ষ, লতা-গুল্মের গুরুত্ব স্থান পেয়েছে। কেবল বনজ দ্রব্যাদি নয়, তা আহরণে ব্যবহৃত সামগ্রী, ব্যবস্থাপনা, সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর তথ্য ও উপাত্তও তুলে ধরা হয়েছে এ গ্রন্থটিতে। প্রাসঙ্গিকভাবে সুন্দরবনের প্রাণি ও প্রজাতিভিত্তিক উদ্ভিদের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

সুন্দরবন থেকে মাত্রাতিরিক্ত সম্পদ আহরণের নেতিবাচক প্রভাব ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সুন্দরবনের ওপর প্রাকৃতিক দুর্যোগের থাবা, লবণাক্ততা বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলো নিয়েও গবেষণাধর্মী তথ্য-উপাত্ত সন্নিবেশ করা হয়েছে। একই সাথে মাত্রাতিরিক্ত সম্পদ আহরণে জীববৈচিত্রের ওপর ঝুঁকির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সুন্দরবনের নানাদিকে আলোকপাত শেষে এ চ্যাপ্টারে গবেষক নিবন্ধের সমাপনী টেনে কিছু সুপারিশও করেছেন। একাডেমিক ক্ষেত্রে এবং গবেষক-পাঠকের জন্য গ্রন্থটি তথ্যসমৃদ্ধ ও উচ্চমানসম্পন্ন। এটি রেফারেন্স বুক হিসেবে, অধিকতর বহুমুখী গবেষণার ক্ষেত্রে গবেষক ও তথ্যানুসন্ধানীদের প্রভূত উপাকারে আসবে বলে গ্রন্থটির মুখবন্ধে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।

https://scontent.ffjr1-5.fna.fbcdn.net/v/t39.30808-6/298440645_2444749102369641_3721440248691862642_n.jpg?_nc_cat=111&ccb=1-7&_nc_sid=730e14&_nc_ohc=ybwUuNBcvvwAX_GS-Em&_nc_ht=scontent.ffjr1-5.fna&oh=00_AT-HIeAb3en3WXitWMJrNoy8eBS6IHpzbVtBh_EkLfxrjA&oe=62FAE46D

 

Link to comment
Share on other sites

  • Elite Members

https://www.thedailystar.net/youth/education/news/bangladeshis-3rd-highest-receiving-european-scholarships-3092831

Bangladeshis 3rd highest in receiving European scholarships

Star Digital Report

Thu Aug 11, 2022 10:02 PM Last update on: Thu Aug 11, 2022 10:05 PM

A total of 151 Bangladeshi students have received scholarships to study in various European countries for completing a Master's degree, making Bangladesh third in terms of number of awarded scholarships.

The areas they will study include data science, engineering, climate change, gender studies, circular economy, public health, public policy and human rights. The knowledge and skills gained will be applied in Bangladesh and contribute to achieving the 2030 Agenda for Sustainable Development.

The European Union (EU) in Bangladesh, together with EU Member States, hosted a reception today for 151 Bangladeshi students who will benefit from an Erasmus Mundus Joint Masters scholarship under the Erasmus+ programme.

The Erasmus Mundus Joint Masters programme offers fully-funded scholarships and the beneficiaries are awarded a joint, double degree, or multiple degrees, upon graduation.

At the event, Hans Lambrecht, Chargé d'Affaires of EU said, "A flagship programme like Erasmus+, with a strong external dimension that aims to promote people-to-people exchanges, can and should be a game-changer."

The new, larger programme for the period 2021-2027 has an increased budget of €26.2 billion. It enables the EU to support new initiatives and attract an even greater number of participants, according to a statement of the EU Embassy in Bangladesh.

Worldwide and in Bangladesh, the demand for highly skilled, socially engaged people is increasing, Hans Lambrecht said.

"We are proud to contribute to Bangladesh's future through the Erasmus+ scholarships. Erasmus+ helps the Bangladeshi beneficiaries to build resilience, adapt to the changing global environment, seize new opportunities and be the connector between Europe and Bangladesh.''

More information on the 'Erasmus+' programme can be found on the following website and Facebook page of European Delegation in Bangladesh.

Link to comment
Share on other sites

  • Elite Members

https://www.tbsnews.net/bangla/ফিচার/news-details-106002

সুস্মিতা চক্রবর্তী মিশু

14 August, 2022, 03:00 pm

Last modified: 14 August, 2022, 03:18 pm

ব্র্যাকইউ দ্বিচারী: বিশ্বজয় করা একদল যুবকের গল্প

দেশের গণ্ডি পেরিয়ে খোদ পোল্যান্ডে গিয়ে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা তো চাট্টিখানি কথা নয়। তার ওপর যেখানে কিনা এশিয়া মহাদেশের মধ্যে বাংলাদেশের ‘ব্র্যাকইউ দ্বিচারী’ দল ছাড়া আর কেউ সুযোগই পায়নি!

team_on_erl_2022.jpeg?itok=51YCW-VJ&time

 

পোল্যান্ডে ব্র্যাকইউ দ্বিচারী দলের সদস্যরা। ছবি: ব্র্যাকইউ দ্বিচারীর সৌজন্যে

'ছোটবেলা থেকে ইচ্ছে ছিল আন্তর্জাতিক কোনো জায়গায় গিয়ে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার। বাকেট লিস্টে থাকা ইচ্ছে পরিপূর্ণ হলো', বলছিলেন 'ব্র্যাকইউ দ্বিচারী'র গবেষণা দলের প্রধান সাদীকুল আলীম ত্বকি। স্বপ্ন সত্যি হলো তো বটেই। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে খোদ পোল্যান্ডে গিয়ে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা তো চাট্টিখানি কথা নয়। তার ওপর যেখানে কিনা এশিয়া মহাদেশের মধ্যে বাংলাদেশের 'ব্র্যাকইউ দ্বিচারী' দল ছাড়া আর কেউ সুযোগই পায়নি!

পোল্যান্ডের পোজনান শহরে ২০ জুন শুরু হয় ইউরোপিয়ান রোবোটিকস লীগ (ইআরএল) প্রতিযোগিতা। ইউরোপের চারটি দল ও এশিয়ার একটি দল অর্থাৎ পাঁচটি দল অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায় এখানে। ৫ দিনের এই প্রতিযোগিতায় পর পর ভালো ফলাফলের কারণে 'ব্র্যাকইউ দ্বিচারী' দল অর্জন করেন পারসিভিয়ারেন্স এওয়ার্ড। ইউরোপের বাইরে থেকে একটি দল গিয়ে ক্রমাগত নিজেদের প্রমাণ করে ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্যই দেওয়া হয় এই এওয়ার্ড।  

'ইআরএল ইমার্জেন্সি লোকাল কম্পিটিশন' শিরোনামের আওতায় ইউরোপিয়ান রোবোটিকস লীগ (ইআরএল) প্রতিযোগিতার যৌথ আয়োজক ছিল ইউরোপিয়ান স্পেস ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড অ্যারোস্পেস টেকনোলজিস ও পোজনান ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি। দুই ধাপের বাছাইপর্ব শেষে মোট পাঁচটি দলকে পোল্যান্ডে আমন্ত্রণ জানানো হয়। দুই ধাপ পার করে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণের সুযোগ পায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের দল 'ব্র্যাকইউ দ্বিচারী'।

প্রতিযোগিতাটি ছিল  মূলত ঝুঁকিপূর্ণ বা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে রোবট ও ড্রোনকে কাজে লাগিয়ে বিপদ মোকাবেলা করা। এখানে স্থলের জন্য ছিল রোভার আর আকাশের জন্য ছিল  ড্রোন, এই দুটিকে সমন্বয় করেই মূল প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতায় ড্রোনকে ব্যবহার করা হয়েছে একটি বিশাল এলাকা ওপর থেকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য আর রোভার ব্যবহার করা হয়েছে ঝুঁকি এড়িয়ে যাওয়ার জন্য। ড্রোন আর রোবটকে একসঙ্গে ব্যবহার করে মিশন শেষ করাই হলো প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য।

erl-all_teams_.jpg?itok=BQeb9JUt&timesta

নাম কেন 'ব্র্যাকইউ দ্বিচারী'

'আমাদের দুইটা রোবট আছে। এর মধ্যে একটা এয়ারে চলে, আরেকটা গ্রাউন্ডে চলে। দুইটা রোবট যেহেতু একসঙ্গে চলে; এই আইডিয়া থেকেই দ্বিচারী নাম রাখা হয়', বলছিলেন ব্র্যাকইউ দ্বিচারী দলের পাইলট মোহাম্মদ ফিরোজ ওয়াদুদ।

সকলেই ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দ্বিচারীর আগে যুক্ত করে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। ফলে দলের নাম দাঁড়ায় 'ব্র্যাকইউ দ্বিচারী'। এই দলের মূল স্লোগান হলো 'এক্সপ্যান্ডিং হরাইজন' অর্থাৎ দিগন্ত বিস্তৃত করা। তাই পোল্যান্ডের প্রতিযোগিতা শেষ করে আসার পরেও পুরো দল  'ব্র্যাকইউ দ্বিচারী' হিসেবেই কাজ করছে।

যাত্রা শুরুর গল্প...

'আমরা সবাই শুরুতে অন্য আরেকটা দলের অংশ ছিলাম। সেই দলটা ভেঙ্গে যাওয়ার পর আমরা সবাই খুঁজছিলাম নতুন কিছু একটা করতে হবে। আত্মপ্রকাশের জন্য আমরা তখন নতুন কোনো প্রতিযোগিতা খুঁজছিলাম, খুঁজতে খুঁজতেই এই প্রতিযোগিতার সন্ধান পাই', বলছিলেন পাইলট মোহাম্মদ ফিরোজ ওয়াদুদ। বিভিন্ন বিভাগের বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সমন্বিত দল হিসেবে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে 'ব্র্যাকইউ দ্বিচারী' হিসেবে কাজ করার। যারা একসঙ্গে মিলে পার করেছে ইউরোপিয়ান রোবোটিকস লীগ (ইআরএল) প্রতিযোগিতা।

'এপ্রিলের ৫ তারিখ রাতের বেলায় ত্বকী ভিডিও কল দিয়েছিল আমাকে আর অর্ণবকে। আমরা তিনজন বসে ঠিক করি আমরা এখানে যাব। ওদের গাইডলাইন পড়ে আমরা জানতে পারলাম প্রতিযোগিতায় যাওয়ার জন্য একজন একাডেমিক উপদেষ্টা আমাদের সাথে লাগবে। ১৭ তারিখ ছিল রিপোর্টের সাবমিশন টাইম। আমাদের হাতে সময় ছিল খুব কম। এই সময়ের মধ্যে নিজেদের কাজ ঠিক করা, ফান্ডিং ম্যানেজ করা, এডভাইজরকে রাজি করানোসহ কিছু ঝামেলা তো ছিলই। এরপর ৮ তারিখ আমরা উপদেষ্টা হিসেবে আবদুল্লাহ হিল কাফি স্যারকে রাজি করাতে যাই। স্যার প্রথমে আমাদের বলেন তোমরা কী পারো যে আমি রাজি হব? আমরা বললাম, স্যার আপনাকে কোনো প্রেশার নিতে হবে না। আমরা কাজ জমা দিই আগে', বলছিলেন প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজার জহির উদ্দীন।

শিক্ষককে কোনোভাবে রাজি করিয়ে তারা প্রতিযোগিতার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেন। এর মধ্যে তারা রিপোর্ট রেডি করে এপ্রিলের ১৫ তারিখে প্রথম ড্রোন শিক্ষককে দেখানোর জন্য টেস্ট ফ্লাইট দেন। উড়ানোর সময় গোঁড়াতেই দেখা যায় গলদ। শুরুতেই ড্রোনের তার ছিঁড়ে যায়। সেটা অবশ্য সঙ্গে সঙ্গেই পাশের দোকানে গিয়ে ঝালাই করে আনেন তারা। পরে সেটা ভালোভাবেই উড়ে আর শিক্ষক আবদুল্লাহ হিল কাফিও তাদের নেতৃত্ব দিতে রাজি হন।

img-20220705-wa0003.jpg?itok=ljaYfDLc&ti

কীভাবে বানালেন তারা ড্রোন?

এপ্রিলের ১৭ তারিখ 'ব্র্যাকইউ দ্বিচারী' প্রজেক্টের রিপোর্ট ও ভিডিও ইআরএল প্রতিযোগিতায় জমা দেয়। ফলাফল চলে আসে পাঁচ-ছয়দিনের মধ্যেই। শুরুর দিকে যে ড্রোনটা তারা বানিয়েছিলেন সেটা দেখতে অনেকটা খেলনার মতোই ছিল। উপদেষ্টা তখন তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করে আরও ভালোভাবে কাজ করার জন্য। কারণ অংশগ্রহণকারী অন্যান্য দলের কাজ আরও ভালো ছিল। শুরুতে তাদের কাছে তেমন ফান্ডিং ছিল না বিধায় কাজও ভালো হচ্ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফান্ডিং পাওয়ার পর তারা এই খেলনা ড্রোনকে কার্বন ফাইভার ড্রোনে পরিণত করে।

ড্রোন বানানোর জন্য প্রথমে কীভাবে কাটা হবে বা ফ্রেমে ডিজাইন করা হবে তা ঠিক করা হয়। এরপর মোটর আউটসোর্স করার কাজ করে তারা, কারণ দেশে এই ধরনের মোটর সহজলভ্য ছিল না। অবশেষে তারা আড়াই কেজির ব্রাস দেয়া চারটি মোটর সংগ্রহ করতে পারে। এর মধ্যে একটি মোটর আবার বেশ পুরোনো।

মোটরের জন্যই তারা ভালো প্রপেলারটি পায়নি, পরিবর্তে অন্য আরেকটি প্রপেলার তাদের সংগ্রহ করতে হয়। বাংলাদেশের প্রপেলারগুলো খুবই পাতলা হয়, বাতাসের তোড়েই ভেঙ্গে যায়। কীভাবে না ভেঙ্গে প্রপেলার ঠিক রাখা যায় সেটি নিয়ে তারা ভিন্ন পরিকল্পনা করে। এক্ষেত্রে ত্রাতা হয়ে এগিয়ে আসেন তাদেরই একজন বড় ভাই। তার কাছে কার্বন ফাইভার প্রপেলার থাকায় এ যাত্রাতেও দল দ্বিচারী বেঁচে যায়। একসেট মোটর আর একসেট প্রপেলার নিয়েই পোল্যান্ডের পথে যাত্রা করে তারা।

এ তো গেলো ড্রোনের গল্প। রোভার কীভাবে পায় তা জানতে চাইলে সাদীকুল আলীম ত্বকী জানান, 'রোভারের আইডিয়ার জন্য আমরা খলিল স্যারের কাছে যাই। স্যারের কাছে আগের একটা বেইস ছিল, জাস্ট বডির অংশ। স্যার আমাদের সেটি নিয়ে কাজ করতে বলেন। আমরা সেটা নিয়ে কাজ শুরু করি। আস্তে আস্তে আরও মেকানিক্যাল ইম্প্রুভমেন্ট করি। সেটাই আমরা প্রতিযোগিতায় নিয়ে যাই'।  

কী ছিল প্রতিযোগিতায়?

প্রতিযোগিতায় অনেকগুলো পর্যায় বা লেভেল আছে। একটি পার করে আরেকটি পর্যায়ে যেতে হয়। কেমন ধরনের  প্রতিযোগিতা ছিল জানতে চাইলে প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজার জহির উদ্দীন জানান, 'প্রতিযোগিতা এমন ছিল যে আমরা একটা জায়গায় যাব, গিয়ে দেখব মানুষ বেঁচে আছে কী না, সেখানে কী ধরনের  ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি কী কী হয়েছে তা বোঝানোর জন্য ওরা কিছু কালার ইন্ডিকেশন দিতে থাকে। আবার মানুষের মতো কিছু ম্যানিকুইন বসানো থাকে। রোভারকে এগুলো খুঁজে বের করতে হবে'।

প্রতিযোগিতার জন্য কর্তৃপক্ষ একটি দৃশ্য তৈরি করে দেবে আর সেই দৃশ্যের মাধ্যমে প্রতিযোগীদের পরিস্থিতি বুঝে নিতে হবে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে রোভার ও ড্রোনকে কাজে লাগাতে হবে তাদের।

পোল্যান্ডে দুঃসাহসিক অভিযান!

প্রতিযোগিতার দিকে যাওয়ার পথেও উপস্থিত হয় পদে পদে বিপদ। যেদিন দলটি বার্লিন পৌঁছায় সেদিন এয়ারপোর্টে লাগেজ আটকে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ড্রোনের পাইলট মোহাম্মদ ফিরোজ ওয়াদুদ জানান, 'আমাদের আবার হোটেল বুক দেওয়া ছিল পোল্যান্ডে। আমরা যদি না যাই তাহলে বার্লিনে আবার হোটেল বুক দেওয়া লাগবে সেক্ষেত্রে রিফান্ডও পাব না। তাই স্যারসহ দুইজন বার্লিনে থেকে যায় আর আমরা বাকিরা চলে যাই পোল্যান্ডে।'

কোনোরূপ লাগেজ ছাড়াই দল দ্বিচারী রওনা হয় পোল্যান্ডের পোজনান শহরের উদ্দেশ্যে। পোল্যান্ডে খালি হাতে পৌঁছানোর কারণে অখণ্ড অবসর। যদিও তাদের পূর্ব পরিকল্পনা ছিল  পোল্যান্ডে পৌঁছে তারা রোভার সেটাপ করবে, পরীক্ষা করে দেখবে তা ঠিকঠাক চলছে কী না। কিন্তু বিধি বাম, সেটা এ যাত্রায় সম্ভব হলো না।

অবশ্য লাগেজ সময়মতো না পৌঁছানো কিঞ্চিৎ শাপে বর হয়ে এলো তাদের কাছে। দুদিন সময় পাওয়ায় পোজনান শহরে ইচ্ছেমতো ঘোরাঘুরি করার সুযোগ কিন্তু তারা হাতছাড়া করেননি।

img-20220705-wa0013.jpg?itok=SurmAAW1&ti

'কোয়াইট আওয়ার' ভঙ্গ

পোল্যান্ড শহরের একটি অদ্ভুত অলিখিত নিয়ম আছে। রাত দশটা থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত জোরে আওয়াজ করে কথা বলা যাবে না। একে 'কোয়াইট আওয়ার' বলে বিবেচনা করা হয়। যদি উক্ত সময়ের মধ্যে নিয়মের বাত্যয় ঘটে কিংবা জোরে আওয়াজ করার কারণে কোনো প্রতিবেশী বিরক্ত হন, তবে পুলিশ ডাকার অধিকারও তাদের আছে।

পোজনান শহরে এই নিয়ম নিয়েও মজার ঘটনা ঘটে তাদের সাথে। কথায় আছে, 'ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে'। তাই স্বর্গে গিয়ে ঢেঁকির ধান ভানার মতো হুল্লোড়প্রিয় বাঙালি জাতির চুপ করে থাকা ধাতে নেই। ফলে সেই শহরে থাকাকালীন ভোর চারটার সময় দলের কয়েকজন সদস্য গান গেয়ে ওঠে।

ব্যস নিয়ম ভাঙায় হোটেল কর্তৃপক্ষ থেকে একজন এসে চেঁচামেচি জুড়লো। অবশ্য কোনো সাজা পেতে হয়নি। কিন্তু কোলাহলপূর্ণ ঢাকা শহরে দাঁড়িয়ে এ কথা বলতে গিয়ে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে দ্বিচারী দলের সদস্যরা।

আত্মবিশ্বাস ছিল তুঙ্গে

লাগেজ কিংবা যন্ত্রপাতি সময়মতো না পৌঁছানো তাদের আত্মবিশ্বাসে বিন্দুমাত্র ফাটল ধরাতে পারেনি। যন্ত্রপাতি সমেত লাগেজ হাতে পান প্রতিযোগিতার একদিন আগে।

পোজনান শহরের সৌন্দর্য অতুলনীয়। ইউরোপের অনেক মানুষ এই শহরে ছুটিতে সময় কাটাতে আসে। দ্বিচারী দল তাই এই ভীড়ের মধ্যে পোজনান শহরে আর লাগেজ খুলে রোভার আর ড্রোন সংস্থাপন করেননি। একদিনের জন্য তারা যান পোল্যান্ডের বাবিমোস্ট শহরে। সন্ধ্যাবেলা শহরে পৌঁছে হোটেলে গিয়ে রাতের খাবারদাবার শেষে শুরু হয় রোভার আর ড্রোনের সব যন্ত্রপাতি একত্রিত করার কাজ। দুটি দলে ভাগ হয়ে নির্ঘুম রাতে ড্রোন আর রোভার নিয়ে কাজ করে তারা।

ভোর পাঁচটার নাগাদ তাদের কাজ শেষ হয়। কিন্তু যে স্থানটি তাদের যন্ত্রপাতি একত্রিত করার জন্য বরাদ্দ ছিল। সেখানে আকস্মিক বৃষ্টি শুরু হয়। অগত্যা তাদের ফিরতে হয় হোটেলের লবিতে।

লবিতেই তারা রোভার রান করে। কিন্তু এখানেও শুরু হয় যান্ত্রিক গোলযোগ। রোভার রান দেওয়ার পরে সেখান থেকে আওয়াজ করা শুরু করে। তারপর তারা সেখানে থেকে রোভারের চাকা ঠিকঠাক চলছে কী না তা যাচাই করার পর বাবিমোস্ট শহর ত্যাগ করে।

পরদিন সকালে তাদের যাত্রা শুরু হয় ওয়াজা শহরের উদ্দেশ্যে। সেখানে গিয়ে তারা অন্যান্য যন্ত্রপাতি ঠিকমতো আছে কী না সেটা পরীক্ষা করে দেখেন। এরপর শুরু হয়ে যায় প্রতিযোগিতা।

meeting_with_eu_delegation.jpeg?itok=VRz

প্রতিযোগিতার দিনগুলি

পুরো প্রতিযোগিতাটিকে তিনভাগে ভাগ করা হয়। প্রথম ধাপটি হলো রিপোর্ট ও ভিডিও সাবমিশন। এই ধাপ উত্তীর্ণ হলে তারা মূল প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য বিবেচিত হবে। এরপর সেফটি চেক নামে আরেকটি পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয় তাদের। ড্রোনের সাথে যুক্ত থাকে সেফটি সুইচ, যার উপর ভিত্তি করে দ্বিতীয় ধাপ পার করতে হয়। এই ধাপ উত্তীর্ণ হলেই যাওয়া যায় মূল প্রতিযোগিতায়। কোডিং-এ কিছু ভুল থাকার কারণে সেফটি চেক পরীক্ষায়ও শুরু হয় সাময়িক গোলযোগ। পরে অবশ্য উপদেষ্টার সহায়তায় এই সমস্যাও মিটে যায়। এরপর শুরু হয় চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা।

মূল প্রতিযোগিতার আগেরদিন তারা সব যন্ত্র সংস্থাপন করলেও চূড়ান্তভাবে সব ঠিক আছে কী না তা যাচাই করে দেখতে পারেননি। এর পেছনে সময় স্বল্পতাও অন্যতম কারণ ছিল। তার ওপর পোল্যান্ডে তাদের ব্যক্তিগত গাড়ি না থাকায় অন্যান্য দলের সাথে পাঁচটার মধ্যেই হোটেলে ফিরে আসতে হতো। ফলাফলস্বরূপ কোনোরকম যান্ত্রিক যাচাই ছাড়াই তাদের পা রাখতে হয় প্রতিযোগিতায়।

শূন্য পেয়ে শুরু

এর ফলও অবশ্য তাদের ভুগতে হয়। প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজার জহির উদ্দীন জানান, 'যাচাই করে প্রতিযোগিতায় না যাওয়ায় আমরা ফার্স্ট ডে ফার্স্ট ট্রায়ালে বড়সড় মারা খাই। আমাদের রোভার চলেনি, টেস্ট ফ্লাই না দেওয়ার কারণে আমাদের ড্রোন কেমন আচরণ করবে সেটাও আমরা জানতাম না। আমাদের প্ল্যানিং-এ একটু সমস্যা ছিল, যার জন্য ফার্স্ট ট্রায়ালে আমরা জিরো পাই'।

প্রথম পরীক্ষাতেই শূন্য পাওয়ায় কিছুটা হতাশা তাদের গ্রাস করে। তারপরেও তারা আবার পরের ট্রায়ালে ভালো নাম্বার পাওয়ার জন্য নতুনভাবে পরিকল্পনা করতে বসে। প্রতিদিন দুটি করে ট্রায়ালে তাদের অংশ নিতে হতো। প্রথম দিনের দ্বিতীয় ট্রায়ালে তারা গাইডলাইন মেনে ড্রোন উড়ানোর কারণে কিছু নাম্বার পায়।

img-20220705-wa0021.jpg?itok=81ubXojF&ti

এরপর থেকেই শুরু হয় তাদের প্রবল অধ্যবসায়। প্রতিদিনই তাদের চেষ্টা থাকতো আগের দিনের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার। কখনো ভাগ্য হয়তো সহায় হতো, কখনো হতো না। দ্বিতীয় দিনের প্রথম ট্রায়ালে তাদের আবার নতুন ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয়। 'আমাদের ড্রোনে একটা বার্জার লাগানো আছে, যেটা ব্যাটারি লো হলে বিপ বিপ বিপ করে আওয়াজ করে। কিন্তু ড্রোনের পপের সাউন্ড এর থেকে বেশি হওয়ায় সেই বিপ সাউন্ড আমরা শুনতে পাইনি। ফলে ড্রোনের ব্যাটারি শেষ হয়ে যায়, ড্রোন ক্র্যাশ করে। আর আমাদের যেহেতু সব হ্যান্ডমেইড ছিল ক্র্যাশ করার কারণে ল্যান্ডিং গিয়ার ভেঙে যায়। বাংলাদেশে ড্রোনের কম্পোনেন্টস এভেইলএবল না হওয়ায় আমরা এক সেটের বেশি কিছুই নিয়ে যেতে পারিনি', বলছিলেন জহির উদ্দীন।

হোটেলে ফিরে শুরু হয় নতুন চ্যালেঞ্জ। ফেটে যাওয়া ড্রোন ঠিক করতে না পারলে যাত্রাপথ এখানেই শেষ হয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে। ল্যান্ডিং গিয়ার জিপ-টাই দিয়ে কোনোভাবে চালানোর মতো ঠিকঠাক করা হয়। ড্রোনের পপের ওপর ইপোক্সি আর সুপারগ্লু দিয়ে মেরামত করার চেষ্টা করা হয়। এরপর গ্লাইন্ডার দিয়ে ঘষে মসৃণ করা হয়।

শেষ দানে বাজিমাত

প্রতিযোগিতার স্থলে তাদের সাথে একজন সেফটি পাইলট ছিলেন, যিনি পোল্যান্ডেরই অধিবাসী। পরদিন সবাইকে তাক লাগিয়ে তারা পুনরায় প্রতিযোগিতার স্থলে যান। জোড়া লাগানো ড্রোন দেখে সেফটি পাইলটও অবাক হয়ে যান। এবার অবশ্য ড্রোন ভালোভাবেই উড়ল। আর কোনো সমস্যা হয়নি। তৃতীয় দিনের ট্রায়ালে সবকিছুই ঠিকঠাকভাবে চলে। ম্যানিকুইন পর্যন্ত পৌঁছে যান তারা।

চতুর্থ দিন প্রতিযোগিতার স্থানে বাতাসের বেগ ছিলো ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটারের মতো। সেদিন দ্বিচারী ছাড়া আরেকটি দল ড্রোন নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। সেদিন বাতাসের বেগ এত বেশি ছিল যে ড্রোন নিজেদের আয়ত্বে রাখাও কষ্টকর হয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু এবারেও টাল সামলাতে না পেরে ড্রোন ওপর থেকে পড়ে ভেঙ্গে যায়।

ভাঙ্গা ড্রোন পরে অবশ্য আবার ঠিক করা হয়। সেই ড্রোন এবার আর প্রতিযোগিতায় নয়, নিজেদের কাজেই ব্যবহার করে দল দ্বিচারী। দলের পাইলট মোহাম্মদ ফিরোজ ওয়াদুদ হেসে জানান, 'প্রতিযোগিতার শেষে আমরা বারবিকিউর জন্য কয়লা জ্বালানোর চেষ্টা করছিলাম। বাতাস করে আমরা আর পারছিলাম না। তখন ওই ড্রোন ঠিকঠাক করে ফ্লাই দিয়ে বাতাস দিচ্ছিলাম'।

img-20220625-wa0004.jpg?itok=r79v4UAT&ti

উপদেষ্টার ভরসার জায়গা

'ব্র্যাকইউ দ্বিচারী' দলের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এর গবেষণা সহযোগী আবদুল্লাহ হিল কাফি। এ প্রেক্ষিতে আবদুল্লাহ হিল কাফি জানান, 'গত এপ্রিল মাসে দ্বিচারী দল আসে আমার কাছে। কম্পিটিশনে বেশি সময় ছিলো না; প্রজেক্ট প্রপোজাল জমা দেয়ার জন্য হাতে সময় ছিল ৭দিন। এত কম সময় দেখে আমি তখন এই প্রজেক্টে ইনভলভ হতে চাচ্ছিলাম না। কিন্তু ওরা আমাকে ভুল প্রমাণ করে। তারপরেই শুরু হলো সবাই মিলে পথ চলা'।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তৈরি প্রথম ক্ষুদ্রাকৃতির কৃত্রিম উপগ্রহ 'ব্র্যাক অন্বেষা'র পেছনেও আবদুল্লাহ হিল কাফির কৃতিত্ব কোনো অংশে কম নয়। দুই বছর ধরে চলা এই প্রকল্পের একজন ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন তিনি। জাপানে বসে 'ব্র্যাক অন্বেষা' স্যাটেলাইটের প্রকল্পের কাজ করেছেন, যার স্টেকহোল্ডার ছিল ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।

বর্তমানে 'ব্র্যাকইউ দ্বিচারী' নিয়ে ভীষণ আশাবাদী আবদুল্লাহ হিল কাফি। এই দলের পরিশ্রম, ক্রমাগত নিজেদের ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার প্রাণান্তকর চেষ্টা, সর্বোপরি ভেঙে না পড়ে ইতিবাচকতা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার গুণ-মুগ্ধ করেছে তাকে। তাই শুরুতে এতটা ভরসা করতে না পারলেও পরে এই দলটিই তাকে ভুল প্রমাণ করে।

শুরু থেকেই নেতৃত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে নিজের পূর্ব অভিজ্ঞতা দলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে থাকেন আবদুল্লাহ হিল কাফি। রোবট কীভাবে ডিজাইন হতে পারে, কীভাবে করলে ভালো হতে পারে এসব নিয়ে দলকে প্রাথমিক নেতৃত্ব তিনিই দেন। দলের সদস্যের চেষ্টা, অধ্যবসায়ের কারণেই অল্প সময়ের মধ্যেই বাজিমাত করে দলটি। ভবিষ্যতে এরা আরও এগিয়ে যাবেন এমনটাই কামনা আবদুল্লাহ হিল কাফির।

বর্তমান পরিকল্পনা

দেশে ফেরার পর দল 'ব্র্যাকইউ দ্বিচারী'র মূল লক্ষ্য প্রতিযোগিতায় তাদের যেসব উদ্ভাবন ছিলো সেগুলো নামকরা আন্তর্জাতিক প্রকাশনায় প্রকাশ করার। সেখানে কীভাবে আগানো হবে সেটা নিয়েই পরিকল্পনা চলছে।

তাদের প্রকল্পটি দেশের কাজে ব্যবহার করার চিন্তাভাবনাও তাদের আছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্পটি নিয়ে দেশের বনবিভাগের সাথেও আলাপ আলোচনা করেছেন। জহির উদ্দীন জানান, 'বন বিভাগ ড্রোন দিয়ে বন পর্যবেক্ষণ করে, এজন্য তারা বাইরে থেকে অনেক টাকা খরচ করে তাদের ড্রোন কেনে। ড্রোনগুলোর দামও অনেক বেশি, আমরা এই ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারি। আমরা উনাদের এটি নিয়ে একটা প্রপোজালও দিয়েছিলাম। যেখানে বলা হয়েছে, স্বয়ংক্রিয় ড্রোন একটা নির্দিষ্ট জায়গা থেকে উড়ে গিয়ে নির্ধারিত এলাকার গাছগুলো কেমন আছে বা কেউ গাছ পাচার করছে কী না বা কোনো অনৈতিক কাজ হচ্ছে কী না, তা ঘুরে দেখবে। এতে কাজটা যেমন সহজ হবে, নিজেদের বানানো ড্রোন হওয়ায় খরচও কমে যাবে। তাছাড়া আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো দুর্যোগের সময় রোভার ও ড্রোন কাজে লাগিয়ে উদ্ধার কার্যক্রমে সাহায্য করা। সেটি নিয়ে আমাদের ওয়ালটনের সহযোগী হয়ে কাজ করছি'।

'ছোটবেলা থেকে ইচ্ছে ছিল আন্তর্জাতিক কোনো জায়গায় গিয়ে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার। বাকেট লিস্টে থাকা ইচ্ছে পরিপূর্ণ হলো', বলছিলেন 'ব্র্যাকইউ দ্বিচারী'র গবেষণা দলের প্রধান সাদীকুল আলীম ত্বকি। স্বপ্ন সত্যি হলো তো বটেই। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে খোদ পোল্যান্ডে গিয়ে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা তো চাট্টিখানি কথা নয়। তার ওপর যেখানে কি না এশিয়া মহাদেশের মধ্যে বাংলাদেশের 'ব্র্যাকইউ দ্বিচারী' দল ছাড়া আর কেউ সুযোগই পায়নি!

পোল্যান্ডের পোজনান শহরে ২০ জুন শুরু হয় ইউরোপিয়ান রোবোটিকস লীগ (ইআরএল) প্রতিযোগিতা। ইউরোপের চারটি দল ও এশিয়ার একটি দল অর্থাৎ পাঁচটি দল অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায় এখানে। ৫ দিনের এই প্রতিযোগিতায় পর পর ভালো ফলাফলের কারণে 'ব্র্যাকইউ দ্বিচারী' দল অর্জন করেন পারসিভিয়ারেন্স এওয়ার্ড। ইউরোপের বাইরে থেকে একটি দল গিয়ে ক্রমাগত নিজেদের প্রমাণ করে ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্যই দেওয়া হয় এই এওয়ার্ড।  

'ইআরএল ইমার্জেন্সি লোকাল কম্পিটিশন' শিরোনামের আওতায় ইউরোপিয়ান রোবোটিকস লীগ (ইআরএল) প্রতিযোগিতার যৌথ আয়োজক ছিল ইউরোপিয়ান স্পেস ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড অ্যারোস্পেস টেকনোলজিস ও পোজনান ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি। দুই ধাপের বাছাইপর্ব শেষে মোট পাঁচটি দলকে পোল্যান্ডে আমন্ত্রণ জানানো হয়। দুই ধাপ পার করে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণের সুযোগ পায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের দল 'ব্র্যাকইউ দ্বিচারী'।

প্রতিযোগিতাটি ছিল  মূলত ঝুঁকিপূর্ণ বা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে রোবট ও ড্রোনকে কাজে লাগিয়ে বিপদ মোকাবেলা করা। এখানে স্থলের জন্য ছিল রোভার আর আকাশের জন্য ছিল  ড্রোন, এই দুটিকে সমন্বয় করেই মূল প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতায় ড্রোনকে ব্যবহার করা হয়েছে একটি বিশাল এলাকা ওপর থেকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য আর রোভার ব্যবহার করা হয়েছে ঝুঁকি এড়িয়ে যাওয়ার জন্য। ড্রোন আর রোবটকে একসঙ্গে ব্যবহার করে মিশন শেষ করাই হলো প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য।    

নাম কেন 'ব্র্যাকইউ দ্বিচারী'

'আমাদের দুইটা রোবট আছে। এর মধ্যে একটা এয়ারে চলে, আরেকটা গ্রাউন্ডে চলে। দুইটা রোবট যেহেতু একসঙ্গে চলে; এই আইডিয়া থেকেই দ্বিচারী নাম রাখা হয়', বলছিলেন ব্র্যাকইউ দ্বিচারী দলের পাইলট মোহাম্মদ ফিরোজ ওয়াদুদ।

সকলেই ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দ্বিচারীর আগে যুক্ত করে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। ফলে দলের নাম দাঁড়ায় 'ব্র্যাকইউ দ্বিচারী'। এই দলের মূল স্লোগান হলো 'এক্সপ্যান্ডিং হরাইজন' অর্থাৎ দিগন্ত বিস্তৃত করা। তাই পোল্যান্ডের প্রতিযোগিতা শেষ করে আসার পরেও পুরো দল  'ব্র্যাকইউ দ্বিচারী' হিসেবেই কাজ করছে।

যাত্রা শুরুর গল্প...

'আমরা সবাই শুরুতে অন্য আরেকটা দলের অংশ ছিলাম। সেই দলটা ভেঙ্গে যাওয়ার পর আমরা সবাই খুঁজছিলাম নতুন কিছু একটা করতে হবে। আত্মপ্রকাশের জন্য আমরা তখন নতুন কোনো প্রতিযোগিতা খুঁজছিলাম, খুঁজতে খুঁজতেই এই প্রতিযোগিতার সন্ধান পাই', বলছিলেন পাইলট মোহাম্মদ ফিরোজ ওয়াদুদ। বিভিন্ন বিভাগের বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সমন্বিত দল হিসেবে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে 'ব্র্যাকইউ দ্বিচারী' হিসেবে কাজ করার। যারা একসঙ্গে মিলে পার করেছে ইউরোপিয়ান রোবোটিকস লীগ (ইআরএল) প্রতিযোগিতা।

'এপ্রিলের ৫ তারিখ রাতের বেলায় ত্বকী ভিডিও কল দিয়েছিল আমাকে আর অর্ণবকে। আমরা তিনজন বসে ঠিক করি আমরা এখানে যাব। ওদের গাইডলাইন পড়ে আমরা জানতে পারলাম প্রতিযোগিতায় যাওয়ার জন্য একজন একাডেমিক উপদেষ্টা আমাদের সাথে লাগবে। ১৭ তারিখ ছিল রিপোর্টের সাবমিশন টাইম। আমাদের হাতে সময় ছিল খুব কম। এই সময়ের মধ্যে নিজেদের কাজ ঠিক করা, ফান্ডিং ম্যানেজ করা, এডভাইজরকে রাজি করানোসহ কিছু ঝামেলা তো ছিলই। এরপর ৮ তারিখ আমরা উপদেষ্টা হিসেবে আবদুল্লাহ হিল কাফি স্যারকে রাজি করাতে যাই। স্যার প্রথমে আমাদের বলেন তোমরা কী পারো যে আমি রাজি হব? আমরা বললাম, স্যার আপনাকে কোনো প্রেশার নিতে হবে না। আমরা কাজ জমা দিই আগে', বলছিলেন প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজার জহির উদ্দীন।

শিক্ষককে কোনোভাবে রাজি করিয়ে তারা প্রতিযোগিতার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেন। এর মধ্যে তারা রিপোর্ট রেডি করে এপ্রিলের ১৫ তারিখে প্রথম ড্রোন শিক্ষককে দেখানোর জন্য টেস্ট ফ্লাইট দেন। উড়ানোর সময় গোঁড়াতেই দেখা যায় গলদ। শুরুতেই ড্রোনের তার ছিঁড়ে যায়। সেটা অবশ্য সঙ্গে সঙ্গেই পাশের দোকানে গিয়ে ঝালাই করে আনেন তারা। পরে সেটা ভালোভাবেই উড়ে আর শিক্ষক আবদুল্লাহ হিল কাফিও তাদের নেতৃত্ব দিতে রাজি হন।

কীভাবে বানালেন তারা ড্রোন?

এপ্রিলের ১৭ তারিখ 'ব্র্যাকইউ দ্বিচারী' প্রজেক্টের রিপোর্ট ও ভিডিও ইআরএল প্রতিযোগিতায় জমা দেয়। ফলাফল চলে আসে পাঁচ-ছয়দিনের মধ্যেই। শুরুর দিকে যে ড্রোনটা তারা বানিয়েছিলেন সেটা দেখতে অনেকটা খেলনার মতোই ছিল। উপদেষ্টা তখন তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করে আরও ভালোভাবে কাজ করার জন্য। কারণ অংশগ্রহণকারী অন্যান্য দলের কাজ আরও ভালো ছিল। শুরুতে তাদের কাছে তেমন ফান্ডিং ছিল না বিধায় কাজও ভালো হচ্ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফান্ডিং পাওয়ার পর তারা এই খেলনা ড্রোনকে কার্বন ফাইভার ড্রোনে পরিণত করে।

ড্রোন বানানোর জন্য প্রথমে কীভাবে কাটা হবে বা ফ্রেমে ডিজাইন করা হবে তা ঠিক করা হয়। এরপর মোটর আউটসোর্স করার কাজ করে তারা, কারণ দেশে এই ধরনের মোটর সহজলভ্য ছিল না। অবশেষে তারা আড়াই কেজির ব্রাস দেয়া চারটি মোটর সংগ্রহ করতে পারে। এর মধ্যে একটি মোটর আবার বেশ পুরোনো।

মোটরের জন্যই তারা ভালো প্রপেলারটি পায়নি, পরিবর্তে অন্য আরেকটি প্রপেলার তাদের সংগ্রহ করতে হয়। বাংলাদেশের প্রপেলারগুলো খুবই পাতলা হয়, বাতাসের তোড়েই ভেঙ্গে যায়। কীভাবে না ভেঙ্গে প্রপেলার ঠিক রাখা যায় সেটি নিয়ে তারা ভিন্ন পরিকল্পনা করে। এক্ষেত্রে ত্রাতা হয়ে এগিয়ে আসেন তাদেরই একজন বড় ভাই। তার কাছে কার্বন ফাইভার প্রপেলার থাকায় এ যাত্রাতেও দল দ্বিচারী বেঁচে যায়। একসেট মোটর আর একসেট প্রপেলার নিয়েই পোল্যান্ডের পথে যাত্রা করে তারা।

এ তো গেলো ড্রোনের গল্প। রোভার কীভাবে পায় তা জানতে চাইলে সাদীকুল আলীম ত্বকী জানান, 'রোভারের আইডিয়ার জন্য আমরা খলিল স্যারের কাছে যাই। স্যারের কাছে আগের একটা বেইস ছিল, জাস্ট বডির অংশ। স্যার আমাদের সেটি নিয়ে কাজ করতে বলেন। আমরা সেটা নিয়ে কাজ শুরু করি। আস্তে আস্তে আরও মেকানিক্যাল ইম্প্রুভমেন্ট করি। সেটাই আমরা প্রতিযোগিতায় নিয়ে যাই'।  

কী ছিল প্রতিযোগিতায়?

প্রতিযোগিতায় অনেকগুলো পর্যায় বা লেভেল আছে। একটি পার করে আরেকটি পর্যায়ে যেতে হয়। কেমন ধরনের  প্রতিযোগিতা ছিল জানতে চাইলে প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজার জহির উদ্দীন জানান, 'প্রতিযোগিতা এমন ছিল যে আমরা একটা জায়গায় যাব, গিয়ে দেখব মানুষ বেঁচে আছে কী না, সেখানে কী ধরনের  ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি কী কী হয়েছে তা বোঝানোর জন্য ওরা কিছু কালার ইন্ডিকেশন দিতে থাকে। আবার মানুষের মতো কিছু ম্যানিকুইন বসানো থাকে। রোভারকে এগুলো খুঁজে বের করতে হবে'।

প্রতিযোগিতার জন্য কর্তৃপক্ষ একটি দৃশ্য তৈরি করে দেবে আর সেই দৃশ্যের মাধ্যমে প্রতিযোগীদের পরিস্থিতি বুঝে নিতে হবে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে রোভার ও ড্রোনকে কাজে লাগাতে হবে তাদের।

পোল্যান্ডে দুঃসাহসিক অভিযান!

প্রতিযোগিতার দিকে যাওয়ার পথেও উপস্থিত হয় পদে পদে বিপদ। যেদিন দলটি বার্লিন পৌঁছায় সেদিন এয়ারপোর্টে লাগেজ আটকে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ড্রোনের পাইলট মোহাম্মদ ফিরোজ ওয়াদুদ জানান, 'আমাদের আবার হোটেল বুক দেওয়া ছিল পোল্যান্ডে। আমরা যদি না যাই তাহলে বার্লিনে আবার হোটেল বুক দেওয়া লাগবে সেক্ষেত্রে রিফান্ডও পাব না। তাই স্যারসহ দুইজন বার্লিনে থেকে যায় আর আমরা বাকিরা চলে যাই পোল্যান্ডে।'

কোনোরূপ লাগেজ ছাড়াই দল দ্বিচারী রওনা হয় পোল্যান্ডের পোজনান শহরের উদ্দেশ্যে। পোল্যান্ডে খালি হাতে পৌঁছানোর কারণে অখণ্ড অবসর। যদিও তাদের পূর্ব পরিকল্পনা ছিল  পোল্যান্ডে পৌঁছে তারা রোভার সেটাপ করবে, পরীক্ষা করে দেখবে তা ঠিকঠাক চলছে কী না। কিন্তু বিধি বাম, সেটা এ যাত্রায় সম্ভব হলো না।

অবশ্য লাগেজ সময়মতো না পৌঁছানো কিঞ্চিৎ শাপে বর হয়ে এলো তাদের কাছে। দুদিন সময় পাওয়ায় পোজনান শহরে ইচ্ছেমতো ঘোরাঘুরি করার সুযোগ কিন্তু তারা হাতছাড়া করেননি।

'কোয়াইট আওয়ার' ভঙ্গ

পোল্যান্ড শহরের একটি অদ্ভুত অলিখিত নিয়ম আছে। রাত দশটা থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত জোরে আওয়াজ করে কথা বলা যাবে না। একে 'কোয়াইট আওয়ার' বলে বিবেচনা করা হয়। যদি উক্ত সময়ের মধ্যে নিয়মের বাত্যয় ঘটে কিংবা জোরে আওয়াজ করার কারণে কোনো প্রতিবেশী বিরক্ত হন, তবে পুলিশ ডাকার অধিকারও তাদের আছে।

পোজনান শহরে এই নিয়ম নিয়েও মজার ঘটনা ঘটে তাদের সাথে। কথায় আছে, 'ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে'। তাই স্বর্গে গিয়ে ঢেঁকির ধান ভানার মতো হুল্লোড়প্রিয় বাঙালি জাতির চুপ করে থাকা ধাতে নেই। ফলে সেই শহরে থাকাকালীন ভোর চারটার সময় দলের কয়েকজন সদস্য গান গেয়ে ওঠে।

ব্যস নিয়ম ভাঙায় হোটেল কর্তৃপক্ষ থেকে একজন এসে চেঁচামেচি জুড়লো। অবশ্য কোনো সাজা পেতে হয়নি। কিন্তু কোলাহলপূর্ণ ঢাকা শহরে দাঁড়িয়ে এ কথা বলতে গিয়ে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে দ্বিচারী দলের সদস্যরা।

আত্মবিশ্বাস ছিল তুঙ্গে

লাগেজ কিংবা যন্ত্রপাতি সময়মতো না পৌঁছানো তাদের আত্মবিশ্বাসে বিন্দুমাত্র ফাটল ধরাতে পারেনি। যন্ত্রপাতি সমেত লাগেজ হাতে পান প্রতিযোগিতার একদিন আগে।

পোজনান শহরের সৌন্দর্য অতুলনীয়। ইউরোপের অনেক মানুষ এই শহরে ছুটিতে সময় কাটাতে আসে। দ্বিচারী দল তাই এই ভীড়ের মধ্যে পোজনান শহরে আর লাগেজ খুলে রোভার আর ড্রোন সংস্থাপন করেননি। একদিনের জন্য তারা যান পোল্যান্ডের বাবিমোস্ট শহরে। সন্ধ্যাবেলা শহরে পৌঁছে হোটেলে গিয়ে রাতের খাবারদাবার শেষে শুরু হয় রোভার আর ড্রোনের সব যন্ত্রপাতি একত্রিত করার কাজ। দুটি দলে ভাগ হয়ে নির্ঘুম রাতে ড্রোন আর রোভার নিয়ে কাজ করে তারা।

ভোর পাঁচটার নাগাদ তাদের কাজ শেষ হয়। কিন্তু যে স্থানটি তাদের যন্ত্রপাতি একত্রিত করার জন্য বরাদ্দ ছিল। সেখানে আকস্মিক বৃষ্টি শুরু হয়। অগত্যা তাদের ফিরতে হয় হোটেলের লবিতে।

লবিতেই তারা রোভার রান করে। কিন্তু এখানেও শুরু হয় যান্ত্রিক গোলযোগ। রোভার রান দেওয়ার পরে সেখান থেকে আওয়াজ করা শুরু করে। তারপর তারা সেখানে থেকে রোভারের চাকা ঠিকঠাক চলছে কী না তা যাচাই করার পর বাবিমোস্ট শহর ত্যাগ করে।

পরদিন সকালে তাদের যাত্রা শুরু হয় ওয়াজা শহরের উদ্দেশ্যে। সেখানে গিয়ে তারা অন্যান্য যন্ত্রপাতি ঠিকমতো আছে কী না সেটা পরীক্ষা করে দেখেন। এরপর শুরু হয়ে যায় প্রতিযোগিতা।

b3726a7e-d0a8-4a2a-865c-6085ac363582.jpe

প্রতিযোগিতার দিনগুলি

পুরো প্রতিযোগিতাটিকে তিনভাগে ভাগ করা হয়। প্রথম ধাপটি হলো রিপোর্ট ও ভিডিও সাবমিশন। এই ধাপ উত্তীর্ণ হলে তারা মূল প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য বিবেচিত হবে। এরপর সেফটি চেক নামে আরেকটি পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয় তাদের। ড্রোনের সাথে যুক্ত থাকে সেফটি সুইচ, যার উপর ভিত্তি করে দ্বিতীয় ধাপ পার করতে হয়। এই ধাপ উত্তীর্ণ হলেই যাওয়া যায় মূল প্রতিযোগিতায়। কোডিং-এ কিছু ভুল থাকার কারণে সেফটি চেক পরীক্ষায়ও শুরু হয় সাময়িক গোলযোগ। পরে অবশ্য উপদেষ্টার সহায়তায় এই সমস্যাও মিটে যায়। এরপর শুরু হয় চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা।

মূল প্রতিযোগিতার আগেরদিন তারা সব যন্ত্র সংস্থাপন করলেও চূড়ান্তভাবে সব ঠিক আছে কী না তা যাচাই করে দেখতে পারেননি। এর পেছনে সময় স্বল্পতাও অন্যতম কারণ ছিল। তার ওপর পোল্যান্ডে তাদের ব্যক্তিগত গাড়ি না থাকায় অন্যান্য দলের সাথে পাঁচটার মধ্যেই হোটেলে ফিরে আসতে হতো। ফলাফলস্বরূপ কোনোরকম যান্ত্রিক যাচাই ছাড়াই তাদের পা রাখতে হয় প্রতিযোগিতায়।

শূন্য পেয়ে শুরু

এর ফলও অবশ্য তাদের ভুগতে হয়। প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজার জহির উদ্দীন জানান, 'যাচাই করে প্রতিযোগিতায় না যাওয়ায় আমরা ফার্স্ট ডে ফার্স্ট ট্রায়ালে বড়সড় মারা খাই। আমাদের রোভার চলেনি, টেস্ট ফ্লাই না দেওয়ার কারণে আমাদের ড্রোন কেমন আচরণ করবে সেটাও আমরা জানতাম না। আমাদের প্ল্যানিং-এ একটু সমস্যা ছিল, যার জন্য ফার্স্ট ট্রায়ালে আমরা জিরো পাই'।

প্রথম পরীক্ষাতেই শূন্য পাওয়ায় কিছুটা হতাশা তাদের গ্রাস করে। তারপরেও তারা আবার পরের ট্রায়ালে ভালো নাম্বার পাওয়ার জন্য নতুনভাবে পরিকল্পনা করতে বসে। প্রতিদিন দুটি করে ট্রায়ালে তাদের অংশ নিতে হতো। প্রথম দিনের দ্বিতীয় ট্রায়ালে তারা গাইডলাইন মেনে ড্রোন উড়ানোর কারণে কিছু নাম্বার পায়।

এরপর থেকেই শুরু হয় তাদের প্রবল অধ্যবসায়। প্রতিদিনই তাদের চেষ্টা থাকতো আগের দিনের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার। কখনো ভাগ্য হয়তো সহায় হতো, কখনো হতো না। দ্বিতীয় দিনের প্রথম ট্রায়ালে তাদের আবার নতুন ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয়। 'আমাদের ড্রোনে একটা বার্জার লাগানো আছে, যেটা ব্যাটারি লো হলে বিপ বিপ বিপ করে আওয়াজ করে। কিন্তু ড্রোনের পপের সাউন্ড এর থেকে বেশি হওয়ায় সেই বিপ সাউন্ড আমরা শুনতে পাইনি। ফলে ড্রোনের ব্যাটারি শেষ হয়ে যায়, ড্রোন ক্র্যাশ করে। আর আমাদের যেহেতু সব হ্যান্ডমেইড ছিল ক্র্যাশ করার কারণে ল্যান্ডিং গিয়ার ভেঙে যায়। বাংলাদেশে ড্রোনের কম্পোনেন্টস এভেইলএবল না হওয়ায় আমরা এক সেটের বেশি কিছুই নিয়ে যেতে পারিনি', বলছিলেন জহির উদ্দীন।

হোটেলে ফিরে শুরু হয় নতুন চ্যালেঞ্জ। ফেটে যাওয়া ড্রোন ঠিক করতে না পারলে যাত্রাপথ এখানেই শেষ হয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে। ল্যান্ডিং গিয়ার জিপ-টাই দিয়ে কোনোভাবে চালানোর মতো ঠিকঠাক করা হয়। ড্রোনের পপের ওপর ইপোক্সি আর সুপারগ্লু দিয়ে মেরামত করার চেষ্টা করা হয়। এরপর গ্লাইন্ডার দিয়ে ঘষে মসৃণ করা হয়।

শেষ দানে বাজিমাত

প্রতিযোগিতার স্থলে তাদের সাথে একজন সেফটি পাইলট ছিলেন, যিনি পোল্যান্ডেরই অধিবাসী। পরদিন সবাইকে তাক লাগিয়ে তারা পুনরায় প্রতিযোগিতার স্থলে যান। জোড়া লাগানো ড্রোন দেখে সেফটি পাইলটও অবাক হয়ে যান। এবার অবশ্য ড্রোন ভালোভাবেই উড়ল। আর কোনো সমস্যা হয়নি। তৃতীয় দিনের ট্রায়ালে সবকিছুই ঠিকঠাকভাবে চলে। ম্যানিকুইন পর্যন্ত পৌঁছে যান তারা।

চতুর্থ দিন প্রতিযোগিতার স্থানে বাতাসের বেগ ছিলো ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটারের মতো। সেদিন দ্বিচারী ছাড়া আরেকটি দল ড্রোন নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। সেদিন বাতাসের বেগ এত বেশি ছিল যে ড্রোন নিজেদের আয়ত্বে রাখাও কষ্টকর হয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু এবারেও টাল সামলাতে না পেরে ড্রোন ওপর থেকে পড়ে ভেঙ্গে যায়।

ভাঙ্গা ড্রোন পরে অবশ্য আবার ঠিক করা হয়। সেই ড্রোন এবার আর প্রতিযোগিতায় নয়, নিজেদের কাজেই ব্যবহার করে দল দ্বিচারী। দলের পাইলট মোহাম্মদ ফিরোজ ওয়াদুদ হেসে জানান, 'প্রতিযোগিতার শেষে আমরা বারবিকিউর জন্য কয়লা জ্বালানোর চেষ্টা করছিলাম। বাতাস করে আমরা আর পারছিলাম না। তখন ওই ড্রোন ঠিকঠাক করে ফ্লাই দিয়ে বাতাস দিচ্ছিলাম'।

award.jpg?itok=lItxzWBn&timestamp=166046

উপদেষ্টার ভরসার জায়গা

'ব্র্যাকইউ দ্বিচারী' দলের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এর গবেষণা সহযোগী আবদুল্লাহ হিল কাফি। এ প্রেক্ষিতে আবদুল্লাহ হিল কাফি জানান, 'গত এপ্রিল মাসে দ্বিচারী দল আসে আমার কাছে। কম্পিটিশনে বেশি সময় ছিলো না; প্রজেক্ট প্রপোজাল জমা দেয়ার জন্য হাতে সময় ছিল ৭দিন। এত কম সময় দেখে আমি তখন এই প্রজেক্টে ইনভলভ হতে চাচ্ছিলাম না। কিন্তু ওরা আমাকে ভুল প্রমাণ করে। তারপরেই শুরু হলো সবাই মিলে পথ চলা'।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তৈরি প্রথম ক্ষুদ্রাকৃতির কৃত্রিম উপগ্রহ 'ব্র্যাক অন্বেষা'র পেছনেও আবদুল্লাহ হিল কাফির কৃতিত্ব কোনো অংশে কম নয়। দুই বছর ধরে চলা এই প্রকল্পের একজন ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন তিনি। জাপানে বসে 'ব্র্যাক অন্বেষা' স্যাটেলাইটের প্রকল্পের কাজ করেছেন, যার স্টেকহোল্ডার ছিল ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।

বর্তমানে 'ব্র্যাকইউ দ্বিচারী' নিয়ে ভীষণ আশাবাদী আবদুল্লাহ হিল কাফি। এই দলের পরিশ্রম, ক্রমাগত নিজেদের ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার প্রাণান্তকর চেষ্টা, সর্বোপরি ভেঙে না পড়ে ইতিবাচকতা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার গুণ-মুগ্ধ করেছে তাকে। তাই শুরুতে এতটা ভরসা করতে না পারলেও পরে এই দলটিই তাকে ভুল প্রমাণ করে।

শুরু থেকেই নেতৃত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে নিজের পূর্ব অভিজ্ঞতা দলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে থাকেন আবদুল্লাহ হিল কাফি। রোবট কীভাবে ডিজাইন হতে পারে, কীভাবে করলে ভালো হতে পারে এসব নিয়ে দলকে প্রাথমিক নেতৃত্ব তিনিই দেন। দলের সদস্যের চেষ্টা, অধ্যবসায়ের কারণেই অল্প সময়ের মধ্যেই বাজিমাত করে দলটি। ভবিষ্যতে এরা আরও এগিয়ে যাবেন এমনটাই কামনা আবদুল্লাহ হিল কাফির।

বর্তমান পরিকল্পনা

দেশে ফেরার পর দল 'ব্র্যাকইউ দ্বিচারী'র মূল লক্ষ্য প্রতিযোগিতায় তাদের যেসব উদ্ভাবন ছিলো সেগুলো নামকরা আন্তর্জাতিক প্রকাশনায় প্রকাশ করার। সেখানে কীভাবে আগানো হবে সেটা নিয়েই পরিকল্পনা চলছে।

তাদের প্রকল্পটি দেশের কাজে ব্যবহার করার চিন্তাভাবনাও তাদের আছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্পটি নিয়ে দেশের বনবিভাগের সাথেও আলাপ আলোচনা করেছেন। জহির উদ্দীন জানান, 'বন বিভাগ ড্রোন দিয়ে বন পর্যবেক্ষণ করে, এজন্য তারা বাইরে থেকে অনেক টাকা খরচ করে তাদের ড্রোন কেনে। ড্রোনগুলোর দামও অনেক বেশি, আমরা এই ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারি। আমরা উনাদের এটি নিয়ে একটা প্রপোজালও দিয়েছিলাম। যেখানে বলা হয়েছে, স্বয়ংক্রিয় ড্রোন একটা নির্দিষ্ট জায়গা থেকে উড়ে গিয়ে নির্ধারিত এলাকার গাছগুলো কেমন আছে বা কেউ গাছ পাচার করছে কী না বা কোনো অনৈতিক কাজ হচ্ছে কী না, তা ঘুরে দেখবে। এতে কাজটা যেমন সহজ হবে, নিজেদের বানানো ড্রোন হওয়ায় খরচও কমে যাবে। তাছাড়া আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো দুর্যোগের সময় রোভার ও ড্রোন কাজে লাগিয়ে উদ্ধার কার্যক্রমে সাহায্য করা। সেটি নিয়ে আমাদের ওয়ালটনের সহযোগী হয়ে কাজ করছি'।

Link to comment
Share on other sites

  • Elite Members

https://www.dhakatribune.com/education/2022/08/14/webometrics-ranking-sust-best-science-and-technology-university-in-bangladesh

Webometrics Ranking: Sust best science and technology university in Bangladesh

It holds the second position among other public, private universities in Bangladesh

 

Md Serajul Islam, Sylhet

August 14, 2022 7:36 AM

Shahjalal University of Science and Technology (Sust) ranked first among all Bangladeshi science and technology universities in a recent Webometrics ranking.

The university holds the second position among the other public, private and medical universities of Bangladesh, according to the 

The 20th revision of Webometrics ranking, a Madrid-based educational and research organization, published a list of over 31,000 educational institutions from around the world recently.

Among the Bangladeshi universities, Dhaka University ranked number one, Sust second and Bangladesh University of Engineering and Technology (Buet) secured the third position. 

In this regard, Sust Vice Chancellor Prof Farid Uddin Ahmed said: "Our goal is to hold the first position among Bangladeshi universities. We hope we will be able to secure a good place among international universities as well.”

A total of 700 research papers were published from Sust last year, with 90% of them being featured in international journals, he added.

Webometrics takes into account each university's teaching methods, scientific research, technology innovation and expansion, economic relevance, and communal inclusion such as a social, cultural, and environmental role in creating the lists.

Webometrics also counts the institutions’ researchers and their published articles.  

Link to comment
Share on other sites

  • 2 weeks later...
  • Elite Members

https://www.jamuna.tv/news/376768

বুক না কেটে হৃদযন্ত্রে টাভি ভালভ প্রতিস্থাপন করলেন ডা. মোস্তফা জামান

জাতীয় | 19TH AUGUST, 2022 2:02 PM

-5Fwk34_9I8Viuf_OmvRa0i54jUZTGIocFy4DxIX

এই প্রথম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে রোগীর বুক না কেটে অ্যাওরটিক ভালভ বসানো হলো। অস্ত্রোপাচারে নেতৃত্ব দেয়া চিকিৎসক মোস্তফা জামান বলেন, প্রয়োজনীয় সহায়তা পেলে দেশেই উন্নত চিকিৎসা দেয়া সম্ভব। এতে রোগীর জীবন রক্ষার পাশাপাশি বাঁচবে চিকিৎসার বাড়তি খরচ।

হৃৎপিন্ডে অ্যাওরটিক ভালব প্রতিস্থাপনের পর মনোবল বেড়েছে রায়পুর লক্ষীপুর থেকে আসা ৭৩ বছর বয়সী মোস্তাফিজুর রহমানের। তিনি বলেন, আমি চাই দেশের মানুষ এখানে এসেই চিকিৎসা গ্রহণ করুক।

অস্ত্রোপাচারে নেতৃত্ব দেয়া চিকিৎসক মোস্তফা জামান বলেন, এই ধরণের অপারেশন নতুন একটি অভিজ্ঞতা। আমরা উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে দেশে এই অপারেশন করেছি। যেহেতু এই ধরণের ভালভগুলো বিদেশ থেকে আসে এবং অত্যন্ত ব্যয়বহুল সেহতু তারা যদি পৃষ্ঠপোষকতা করে তাহলে বাংলাদেশেই এই ভালভ তৈরি করা সম্ভব।

অ্যাওরটিক ভালভ’র কাজ সম্পর্কে এবং হৃৎপিন্ডের কাজ সর্ম্পকে অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান বলেন, হার্ট সংকুচিত হলে খুলে যায় অ্যাওটিক ভালভ। হার্ট প্রসারিত হলে ভালভ বন্ধ হয়ে যায়। অতএব অ্যাওরটিক ভালভে গন্ডগোল হলে রক্ত সংবহনেও তৈরি হয় অব্যবস্থা।

সাধারণত ৬০-৬৫ বছর বয়সের পরে অ্যাওরটিক ভালভের এই ধরণের সমস্যা শুরু হতে পারে। ডা. জামান টাভি সর্ম্পকে বলেন আগে অ্যাওটিক ভালভে সমস্যা হলে, এই ভালভ প্রতিস্থাপন করতে হলে ওপেন হার্ট সার্জারির সাহায্য নিতে হতো। সেক্ষেত্রে রোগীর বুকে প্রায় ৭-৮ ইঞ্চি ক্ষত তৈরি হতো। এমনকী অপারেশনের সময় রোগীকে রাখতে হতো হার্ট-লাং মেশিনের তত্ত্বাবধানে। টাভি পদ্ধতিতে এত কাটাছেঁড়া করার দরকার পড়ে না। রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। দুই থেকে তিনদিনের বেশি হাসপাতালে থাকতে হয় না। 

/এনএএস

 

Link to comment
Share on other sites

  • Elite Members

The Lancet has published a feature on icddr,b's Senior Scientist and Acting Senior Director of Infectious Diseases Division, Dr Firdausi Qadri.

In 2021, Dr Qadri was awarded the Ramon Magsaysay Award, often cited as 'Asia’s Nobel Prize.' Dr Qadri is also a laureate of the 2020 L’Oréal-Unesco For Women in Science Award.

Read more about Dr Qadri's illustrious career: https://cutt.ly/wXAJrtg

300950897_5707383509292613_9565586890485

 

Link to comment
Share on other sites

  • Elite Members

https://dhakamail.com/offbeat/36154

গাড়ির বাতাসের চাপে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে আন্তর্জাতিক পুরস্কার

আসাদুজ্জামান লিমন

প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট ২০২২, ০৯:২৮ এএম

main-pic-20220825092818.jpg

হাইওয়ে বা মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি চলে। এগুলো দ্রুতগতিতে গন্তব্যে ছুটি যায়। গতির কারণে হাইওয়ের দুই পাশে প্রচণ্ড বাতাসের চাপ সৃষ্টি করে। বায়ুর এই চাপ কাজে লাগিয়ে আইডিইবির রিসার্চ অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল ইনস্টিটিউটের ৩ ইনোভেটর টারবাইন উদ্ভাবন করেছেন। যা থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে। এই উদ্ভাবন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। 

inno-vation-5-20220825092229.jpg

থাইল্যান্ড শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিস অব দ্যা ভোকেশনাল এডুকেশন কমিশনের উদ্যোগে গত ১৬-১৯ আগস্ট দেশটির থাইল্যান্ডের পাংগা প্রদেশে দ্যা সেভেন্থ ইন্টারন্যাশনাল কনভেশন অন ভোকেশনাল স্টুডেন্টস ইনোভেশন প্রজেক্টের সপ্তম আসর অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রতিযোগিতায় ছয়টি  দেশের শিক্ষার্থীরা দুইটি ক্যাটাগরিতে ৯৪টি রিসার্চ প্রকল্প নিয়ে অংশগ্রহণ করে। যেখানে ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যাটাগরি থেকে বাংলাদেশের প্রজেক্ট ‘হাইওয়ে উইন্ড টারবাইন দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। 

বাংলাদেশ ছাড়াও থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, চীন, জাপান, ভারত, থেকে ৪০০ জন শিক্ষার্থী তাদের উদ্ভাবিত ইনোভেশনগুলো এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। 

এবার বাংলাদেশের পক্ষে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইডিইবি) চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল থাইল্যান্ডে গিয়ে অংশগ্রহণ করে।

প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন- আব্দুল্লা আল আরাফ, রাহাত উদ্দিন, রেজাউল খান ও টিম লিডার মো. কামরুজ্জামান। 

inno-vation-1-20220825092256.jpg

প্রতিনিধিদলের সদস্যরা আইডিইবি আইওটি অ্যান্ড রোবটিক্স রিসার্চ ল্যাবে উদ্ভাবিত হাইওয়ে উইন্ড টারবাইন প্রকল্প রিসার্চ পেপারসহ উপস্থাপন করেন। 

থাইল্যান্ড সরকারের শিক্ষা উপমন্ত্রী ড. খুনাইং কালায় সোফোনপানিচ বাংলাদেশ টিমের প্রকল্প দেখেন ও বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেন।

তরুণদের উদ্ভাবিত উইন্ড টারবাইনে দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু আইওটি সেন্সর। যার সাহায্যে ওই মহাসড়কের তাপমাত্রা, বাতাসের আদ্রতা ও কার্বনডাইঅক্সাইডের পরিমান জানা যাবে। যা মহাসড়কের আশেপাশের মানুষদের অ্যাপের মাধ্যমে সরবরাহ করবে। 

inno-vation-4-20220825092316.jpg

হাইওয়ের বাতাসের চাপ থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করার এই প্রকল্পের নেতৃত্ব দিয়েছেন রাহাত উদ্দিন। যিনি ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছেন।  এখন প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিতে ইলেট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেট্রোনিক্স ইঞ্জিনিইয়ারিংয়ে বিএসসি করছেন।

রাহাত ঢাকা মেইলকে বলেন, দেশে জীবাশ্ম জ্বালানি নিঃশেষ হওয়ার পথে। এই সময়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের তাগিদ উঠেছে। যা জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ হ্রাস করার অন্যতম উপায়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি, কারণ এখানে কিছু সমস্যা বিদ্যমান। প্রথমত আমাদের দেশে যে টারবাইনগুলো ব্যবহার হচ্ছে এগুলো আকারে অনেক বড়। রক্ষণাবেক্ষণ খরচও অনেক বেশি। এই টারবাইনগুলোর জন্য অনেক বেশি পরিমানে বাতাসের চাপ প্রয়োজন। এতে করে দেশের ভেতর বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে পারিনি। এছাড়া এই টারবাইনগুলোর ব্লেড পাখির জন্য বিপদজনক। তাই এই সব কিছু বিবেচনা করে আমরা একটি টারবাইনের ডিজাইন করি, যা আমাদের হাইওয়ে এবং নৌপথে জাহাজ গুলোতে স্থাপন করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব।

inno-vation-3-20220825092337.jpg

প্রকল্পের অন্যতম সদস্য আব্দুল্লা আল আরাফ। যিনি ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে এখন সাউথ ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিইয়ারিং ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী।

তিনি জানান, এই প্রকল্পের মূল উদ্দ্যেশ হচ্ছে দেশে বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনের পদ্ধতিকে আরো সহজ করা। যাতে করে দেশে সোলারের পাশাপাশি বায়ু বিদ্যুৎ জনপ্রিয় হয়ে উঠে। এই প্রকল্পের আরেকটি উদ্দেশ্য হচ্ছে- সেন্সরের মাধ্যমে বাতাসে কার্বনের পরিমান ও বায়ু দূষণের পরিমাণ সম্পর্কে মানুষকে জানানো।

pic-1-20220825092853.jpg

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের দাবি তাদের উদ্ভাবিত টারবাইন দিয়ে ১০০০ ওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। যেই বিদ্যুৎ দিয়ে ১০টি এলইডি লাইট জ্বালানো যাবে। বড় আকারে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বিদ্যুতের স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা যাবে। 

কম খরচে হাইওয়ে ও নৌযানে উইন্ড টারবাইন উদ্ভাবনে দলটির মেন্টর হিসেবে ছিলেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিইয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রফেসর ড. খন্দকার আব্দুল্লা আল মামুন।

 

 

Link to comment
Share on other sites

  • Elite Members

https://www.dhakatribune.com/parliament/2022/08/30/icddrb-bill-placed-in-parliament

icddr,b bill placed in parliament

As per the bill, the institution would be an autonomous, international, philanthropic and nonprofit centre for research, education and training as well as clinical service

 

UNB

August 30, 2022 6:33 PM

The International Centre for Diarrhoeal Disease Research, Bangladesh Act, 2022 was placed in parliament on Tuesday in order to repeal the military regime ordinance on the icddr,b in line with a verdict of the higher court.

Health Minister Zahid Maleque placed the bill and it was sent to the respective standing committee for further examination. The committee was asked to submit its report within one month.

As per the bill, the institution would be an autonomous, international, philanthropic and nonprofit centre for research, education and training as well as clinical service.

The headquarters of the centre would be in Dhaka. The centre may establish its branches any place in the country subject to the approval of the respective governments.

The bill said that there will be a board consisting of 12-17 members. Of them, four will be nominated by the government, a member nominated by the World Health Organization, a member to be nominated by a United Nations agency, 5-10 members nominated by the board and executive director of the centre.

At any given time, no country shall have more than two members except for Bangladesh.

All members will be appointed for three years and it can be extended for one time. No member can be appointed for more than six years.

The centre shall be administered by a director who shall be selected and appointed by the board for a term of three years which may be renewable for another term.

The centre shall have its own fund which shall consist of grants made by the government, grants and contributions from other governments and their agencies, international organizations and private organizations, gifts and endowments, sale proceeds and royalties of publications, income from research and contractual undertakings; and other sources.

All funds of the centre shall be kept in any scheduled bank or banks in Bangladesh as approved by the board.

The centre shall be exempted from the labour laws in force in the country. It shall be governed by its own by-laws as may be prescribed.

The centre shall not be liable to pay any tax, rate or duty other than those paid by any other person in respect of any movable or immovable property which the centre purchases or otherwise acquires from such person and other than those payable in respect of public utilities like water, gas, electricity, telephone and municipal rates.

All non-Bangladeshi experts, technicians and research scholars employed by the centre and working in Bangladesh for the furtherance of the objectives of the centre shall be exempt from paying income tax.

Link to comment
Share on other sites

  • Elite Members

https://www.tbsnews.net/bangla/অর্থনীতি/news-details-107930

আবু আজাদ

28 August, 2022, 01:50 pm

Last modified: 29 August, 2022, 05:26 pm

শিমুল আলুর খোসা থেকে পরিবেশবান্ধব ব্যাগ: বছরে ৫০ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি করছে ইকোস্পিয়ার 

ব্যাপক সম্ভাবনা থাকার পরও দীর্ঘ চারবছর ধরে চেষ্টা করেও দেশের বাজারে প্রবেশের লাইসেন্স পায়নি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ইকোস্পিয়ার।

cassava_products_hold_export_potential-a

২০০২ সালে বাংলাদেশ বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে প্লাস্টিকের ব্যাগ নিষিদ্ধ করে। অভূতপূর্ব সেই পদক্ষেপটি বেশ প্রশংসিত হয়েছিলো। তবে সেই আইন পাশের বিশ বছর পরেও দৃশ্যপট বদলায়নি। সকাল-বিকাল প্লাস্টিকের ব্যাগ হাতে মানুষের বাড়ি ফেরা আর সেই ব্যাগ যত্রতত্র ছুঁড়ে ফেলার চিত্র নিত্যকার।  

পরিবেশ বিধ্বংসী এই ঘটনাটি যখন সবাই স্বাভাবিক হিসেবে মেনে নিয়েছে; তখন চট্টগ্রামের এক যুবক প্রচলিত প্লাস্টিক ব্যাগের বিকল্প খোঁজা শুরু করেন। ২০১৮ সালে ইন্দোনেশিয়ার প্রযুক্তিগত সহযোগিতা নিয়ে কাসাভা (শিমুল আলু) থেকে দেশেই পরিবেশবান্ধব ব্যাগের উৎপাদন শুরু করেন তিনি। এখন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও কানাডায় প্রতিবছর প্রায় ৫০ কোটি টাকার পরিবেশবান্ধব ব্যাগ রপ্তানি করছে দেশি প্রতিষ্ঠান ইকোস্পিয়ার। 

ইকোস্পিয়ার এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রায়হান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'সময়টা ২০১৬ সালের মে মাস। আমরা তখন চট্টগ্রামের হালিশহরে বসবাস করছিলাম। ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতে শহরের উপকূলবর্তী এলাকার পুরোটাই ডুবে গেছে। এ দুর্যোগের মাঝে আমি আরও একটি মহা দুর্যোগ আবিষ্কার করলাম। পানি নেমে যেতেই শহরের সব রাস্তা ও নালাগুলোকে প্লাস্টিকে প্লাবিত অবস্থায় পেলাম। তখনই আমি প্লাস্টিকের বিকল্প নিয়ে খোঁজ শুরু করি।'

২০১৭ সালে ইন্দোনেশিয়াসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে কাসাভা নামের এক ধরনের আলুর খোসা ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব (বায়োডিগ্রেডেবল) ব্যাগ তৈরী শুরু হয়। ২০১৮ সালে ইন্দোনেশিয়া থেকে একটি মেশিন আমদানি করে চট্টগ্রামের হালিশহরে কারখানা স্থাপন করে মোহাম্মদ রায়হান। বর্তমানে রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় তাদের একটি কারখানা আছে। যেখানে কাসাভা, ভুট্টা ও পিবিএটি (বায়োম্যাটেরিয়াল) ব্যবহার করে প্রতিমাসে ১৫ টনের বেশি পরিবেশবান্ধব প্লাস্টিকের ব্যাগ তৈরী করা হয়।

মোহাম্মদ রায়হান বলেন, 'সাধারণ প্লাস্টিক যেখানে ৪০০ বছরেও পচে না। সেখানে কাসাভা ও ভুট্টা থেকে তৈরী ৩০ মাইক্রনের ব্যাগগুলি ৯০ দিন এবং ৫৫ মাইক্রনের ব্যাগগুলি একবার ফেলে দেওয়া হলে প্রাকৃতিকভাবে সম্পূর্ণ বায়োডিগ্রেড হতে ১৪৭ দিন লাগে। আর গরম পানিতে এটি মাত্র তিন মিনিটেই তরলে পরিণত হয়। বায়ো-ডিগ্রেডেবল এই ব্যাগ পুনঃব্যবহারেরও সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া বিসিএসআইআর ল্যাবে পরীক্ষা করে ইকোস্পিয়ারের পণ্যগুলোতে প্লাস্টিকের কোনো উপাদান পাওয়া যায়নি।' 

কাসাভা দিয়ে ব্যাগ উৎপাদনের পাশাপাশি ২০২১ সাল থেকে ইকোস্পিয়ার পরিবেশবান্ধব প্লাস্টিক তৈরীর সর্বাধুনিক প্রযুক্তি পলিমেটেরিয়া-এর ব্যবহার করছে। ইকোস্পিয়ার পরিবেশবান্ধব এ প্লাস্টিকের নামকরণ করেছে ফাসটিক্স (FASTIX)। এটি মাটিতে মিশে যেতে সময় নেয় মাত্র ১৮ মাস। ফাসটিক্স দিয়ে উৎপাদন করা হচ্ছে কাপ, বোতল, স্ট্র, লন্ড্রিব্যাগ, জুস ক্যাপ, প্যাকেজিং ব্যাগ, হোয়াইট পলি, গার্মেন্টস পলিব্যাগ ও ফুড কনটেইনার। প্রতিমাসে এ জাতীয় দুই টন ফাসটিক্স পণ্য তৈরী করছে ইকোস্পিয়ার। এসব পণ্যের গ্রাহকদের তালিকায় রয়েছে আমেরিকার প্যাবেল চাইল্ড এর মতো বিশ্বখ্যাত শিশুদের খেলনা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানও।

ইকোস্পিয়ার এর প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রায়হান বলেন, 'দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় যেটিকে কাসাভা বলা হয়, সেটি মূলত আমাদের দেশের শিমুল আলু। কিন্তু দেশে এই আলুর খোসা প্রসেসিং করার কোনো যন্ত্র না থাকায় আমরা ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া থেকে প্রক্রিয়াজাত খোসা (রেজিন) আমদানি করে পণ্য উৎপাদন করি। তবে আমরা ধীরে ধীরে ফাসটিক্স তৈরীতে মনোযোগ দিচ্ছি। এতে আমদানি খরচ যেমন বাঁচবে, তেমনি দেশে ব্যবহৃত যে কোনো মেশিন ব্যবহার করেই এই ফাসটিক্স তৈরী করা যাবে।'

কী এই ফাসটিক্স

প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলায় একটি ব্রিটিশ অ্যাডভান্সড টেকনোলজি ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির নাম পলিমেটেরিয়া (Polymateria) লিমিটেড। যাদের ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের ক্যাম্পাসে একটি ল্যাব রয়েছে। ব্রিটিশ কোম্পানি পলিমেটেরিয়া আবিষ্কৃত বায়োট্রান্সফরমেশন টেকনোলজি সব ধরনের প্লাস্টিককে প্রাকৃতিক পরিবেশে সম্পূর্ণরূপে বায়োডিগ্রেডেবল করতে পারে। বিশ্বে চলমান প্লাস্টিক দূষণকে মহামারির সঙ্গে তুলনা করে, একে রুখতে তারা নিজেদের উদ্ভাবিত পদ্ধতিকে বলছে 'ভ্যাকসিন ফর প্লাস্টিকস'। বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ইকোস্পিয়ার পলিমেটেরিয়ার সঙ্গে মিলিতভাবে কাজ করছে এবং বায়োট্রান্সফরমেশন টেকনোলজির মাধ্যমে উৎপাদিত প্লাস্টিকের স্থানীয় নামকরণ করা হয়েছে ফাসটিক্স। 

এ প্রযুক্তি সম্পর্কে পলিমেটেরিয়ার প্রধান নির্বাহী নি'ল ডুন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ব্লুমবার্গে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য এমন প্লাস্টিক যা সহজেই প্রকৃতিতে মিশে যাবে, যার জন্য কোনো কম্পোস্টিং প্রযুক্তির প্রয়োজন হবে না।'

মোহাম্মদ রায়হান বলেন, 'পলিমেটেরিয়া হলো এমন একটি রাসায়নিক, যা প্লাস্টিকের পলিথিন, কাপ বা বোতল তৈরির সময় ব্যবহার করা হয়। ফলে এটি প্লাস্টিককে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ধ্বংসে সহায়তা করে। এটি প্লাস্টিকের পলিমারগুলোকে ভেঙে মোমে পরিণত করে। সবচেয়ে চমৎকার বিষয় হলো এ প্রক্রিয়ায় প্লাস্টিকগুলো মাইক্রো বা ন্যানো আকারে পরিবেশে থেকে যায় না। বরং সম্পূর্ণরূপে প্রাকৃতিক ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের খাবারে পরিণত হয়।'

তিনি আরও জানান, ইকোস্পিয়ার শীঘ্রই বায়োডিগ্রেডেবল রেইনকোট, এপ্রোন এবং স্যানিটেশন কভার তৈরি করবে।

সম্ভাবনা থাকার পরেও মিলছে না দেশের বাজারে প্রবেশের অনুমতি 

ইকোস্পিয়ার ২০১৮ সাল থেকে বিদেশে পরিবেশবান্ধব ব্যাগ রপ্তানি করছে। এমনকি পরিবেশবান্ধব প্লাস্টিক তৈরীতে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তৈরী করা প্রতিষ্ঠান পলিমেটেরিয়া সম্প্রতি বাংলাদেশের বাজার পর্যবেক্ষণ করে এর ব্যাপক সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে।

পলিমেটেরিয়া ইউকের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার রিচার্ড হর্ন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'ইতোমধ্যে আমরা এশিয়ায় তাইওয়ান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ভারতে আমাদের প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেছি। সম্প্রতি তাইওয়ানের ফরমোসা প্লাস্টিক কর্পোরেশন আমাদের সঙ্গে ১০০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে। আইনগতভাবে আগে থেকেই সুযোগ তৈরী থাকায় বাংলাদেশে বায়োডিগ্রেডেবল প্লাস্টিক পণ্য তৈরী ও বাজারজাতকরণের দারুণ সুযোগ রয়েছে। তবে এ জন্য দেশটির শিল্প অনুমোদনকারী প্রতিষ্ঠানটিকে প্রস্তুত থাকতে হবে।'

তিনি জানান, বিশ্বব্যাপী খাদ্য উৎপাদনকারী কোম্পানি, ঔষধ শিল্প, প্যাকেজিং সংস্থাগুলো এই ধরনের প্লাস্টিক ব্যবহারে আগ্রহী হয়েছে। এদের মধ্যে মুম্বাইভিত্তিক ব্র্যান্ড গোদরেজ অন্যতম।

কিন্তু দীর্ঘ চারবছর ধরে চেষ্টা করেও দেশীয় বাজারে প্রবেশের লাইসেন্স পায়নি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ইকোস্পিয়ার।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) সহকারী পরিচালক মোনোতোষ কুমার দাশ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'দেশের বাজারে যে কোনো পণ্য আনতে গেলে লাইসেন্সের প্রয়োজন হয়। বর্তমানে আমাদের ২২৯টি প্রোডাক্ট পরীক্ষার ল্যাব রয়েছে। তবে ইকোস্পিয়ার যে স্ট্যান্ডার্ডের পণ্য বাজারে আনতে চাচ্ছে তা পরীক্ষা করার মতো ল্যাব আমাদের নেই। তাই এই মুহূর্তে আমাদের লাইসেন্স দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে মৌখিকভাবে পণ্য বিপণনের অনুমতি দেয়া আছে।'

ইকোস্পিয়ারের প্রধান মোহাম্মদ রায়হান বলেন, 'শুধুমাত্র মৌখিক অনুমতিতে দেশে ব্যবসা করা সম্ভব নয়। দেশের অনেকগুলো সংস্থাকে ম্যানেজ করে ব্যবসা করতে হয়। তারা লাইসেন্স ছাড়া আমাকে ব্যবসা করতে দিচ্ছে না।'

তিনি বলেন, '২০১৮ সালে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণাগার আমাদের উৎপাদিত ব্যাগ ১৪৭ দিনের মধ্যে পুরোপুরি বায়োডিগ্রেডেবল বলে সার্টিফাই করে। যেখানে এক শতাংশ প্লাস্টিকও নেই।'

এছাড়া ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক স্বাধীন প্লাস্টিক বিশেষজ্ঞদের প্রতিষ্ঠান ইমপ্যাক্ট সলিউশনস ও নেদারল্যান্ড ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ওয়েল রিসার্চ তাদের প্রতিবেদনে ইকোস্পিয়ারের পণ্যকে "কম্পোস্টেবল" ও "বায়োডিগ্রেডেবল" হিসেবে সার্টিফিকেট দিয়েছে বলে জানান তিনি।

পরিবেশ অধিদপ্তরের (ঢাকা অঞ্চলের) পরিচালক মো. জিয়াউল হক বলেন, 'ইকোস্পিয়ারের তৈরী করা ব্যাগটি বিসিএসআইআর ল্যাবে পরীক্ষা করে বায়োডিগ্রেডেবল এবং কম্পোস্টেবল হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু আমরা প্রতিষ্ঠানটিকে লাইসেন্স দেওয়ার জন্য সুপারিশ করে চিঠি দিলেও বিএসটিআই এর এ পরীক্ষার সক্ষমতা নেই জানিয়ে সম্প্রতি আবেদনটি ফেরত পাঠিয়েছে।'

বায়োডিগ্রেডেবল প্লাস্টিক নিয়ে বিতর্ক

সাধারণ প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে বায়োডিগ্রেডেবল প্লাস্টিক ব্যবহার নিয়ে বিশ্বের বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত একমত হতে পারেন নি।

জিএআইএ (গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইনসিনারেটর অল্টারনেটিভস)-এর গ্লোবাল ক্লাইমেট প্রোগ্রামের পরিচালক মারিয়েল ভিয়েলা বলেন, 'বায়োডিগ্রেডেবল প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমাধান নয়। এটি এখনো বৈজ্ঞানিকভাবে স্পষ্টভাবে প্রমাণ করা যায়নি।' 

তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, 'বায়োডিগ্রেডেবল এবং কম্পোস্টেবল প্লাস্টিক মানুষকে আরও বেশি প্লাস্টিক আবর্জনা তৈরীতে উৎসাহিত করবে।' 

তবে পলিমেটেরিয়া ইউকের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার রিচার্ড হর্ন বলেন, 'প্রতি বছর প্রায় ৩৩০ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক পরিবেশে প্রবেশ করে, যার ৪০ শতাংশ ল্যান্ডফিলে যায়, ১৪ শতাংশ পুনর্ব্যবহৃত হয় এবং ১৪ শতাংশ বর্জ্য থেকে শক্তি হিসেবে রূপান্তরিত হয়। বাকি ৩২ শতাংশ প্রাকৃতিক পরিবেশে বর্জ্য হিসাবে থেকে যায় সর্বনিম্ন ৪০০ থেকে ১০০০ বছর পর্যন্ত। এ অবস্থায় পলিমেটেরিয়া চাইছে অন্তত এই পণ্যগুলোকে প্রকৃতিতে পচিয়ে ফেলতে।'  

Link to comment
Share on other sites

  • Elite Members

https://thefinancialexpress.com.bd/education/govt-aims-to-increase-enrolment-in-technical-education-to-30pc-by-2030-1662444948

Govt aims to increase enrolment in technical education to 30pc by 2030

 FE ONLINE DESK | Published:  September 06, 2022 12:15:48

1662444948.jpg

The government plans to increase the number of students in technical education to 30 per cent by 2030, from the existing 17 per cent.

The government has taken the move as one of its principal aims to create skilled human resources in information technology compatible with the Fourth Industrial Revolution.

To that end, the government is laying emphasis on STEM (Science, Technology, Engineering and Mathematics) based education and training, according to an official document.

To meet the demands of the Fourth Industrial Revolution the government is giving importance to teaching appropriate technology-based subjects in the classroom and is allocating a budget to the National Curriculum and Textbook Board, or NCTB, for bringing necessary changes in the curriculum.

In addition, the government has undertaken several important training programmes aimed at creating a skilled IT workforce.

For example, the Bangladesh Hi-Tech Park Authority has set a target to train more than sixty thousand young people by 2025 and one lakh by 2030 to fulfil the demand of the IT sector.

More than 36,000 people have already been trained under various projects and programmes.

The project implemented by the Bangladesh Computer Council (BCC) has provided training on Information and Communication Technology to about 2.34 lakh people and most of them are doing jobs in various ICT companies/organisations at home and abroad.

To adapt to the Fourth Industrial Revolution, including augmented reality and virtual reality, the document said, specialised labs will be set up at every university of the country and work is underway to set up 57 such specialised labs.

Work on establishment of Sheikh Kamal IT Training and Incubation Centres in 64 districts and 10 Digital Village is in progress to provide proper training for young people.

Besides this, the training programmes on emerging technologies, artificial intelligence, Internet of Things, block-chain, robotics, big data, cloud computing etc. are in progress.

Prime Minister Sheikh Hasina recently in the first meeting of the Governing Board of the National Skill Development Authority (NSDA) held at her office (PMO) directed the officials to take necessary steps for realising the demographic dividend.

She mentioned that each year some 2.2 million individuals enter the job market. If this huge manpower could be trained up properly with appropriate training it would bring enormous benefits for the country.

She also asked the officials to pay attention to technology-based training programmes for grabbing the opportunities in the coming Fourth Industrial Revolution.

According to the official document, the enrolment rate in technical education, which was less than 1.0 per cent 12 years ago, is now 17.25 per cent.

The technical education enrolment rate is the percentage of secondary students enrolled in technical / vocational education programmes, including teacher training programmes.

In the 2022 academic year, 26,846 students have been enrolled in pre- vocational courses from 6th to 8th grade and 20,613 students from the 9th grade of 134 technical schools and colleges have been enrolled up to January 2022.

Link to comment
Share on other sites

  • Elite Members

https://www.tbsnews.net/features/habitat/natural-paramount-agro-shop-when-architecture-reflects-ethos-company-490906

Nafisa Sadia Sultana

06 September, 2022, 11:15 am

Last modified: 06 September, 2022, 12:10 pm

Natural Paramount Agro Shop: When architecture reflects the ethos of a company

Natural Paramount Agro Shop embraces the regenerative approach of architectural design by using feasible and relocatable materials. It was designed to spread awareness about the production and consumption of organic products

1.o-nataral_092.jpg?itok=F9lX86TV&timest

 

The exterior facade of the outlet is composed of a brown wooden texture to resemble a natural look. PHOTOS: Studio Dhaka Ltd

In the midst of the hustle and bustle of the city stands a tree-house like structure, with a wooden exterior, embracing a banyan tree in its vicinity. It sticks out like an oasis surrounded by the city's concrete. 

The structure - Paramount Agro Ltd at Kamal Ataturk Avenue - promotes nature-based and regenerative architectural design. The fountain, pond, and green patches on the exterior facade of the Natural Paramount Agro Shop is driven by that nature-based concept.

Upon entering the place, one notices the hut-shaped wooden structure in the middle of the outlet displaying dry organic products. The small greeneries hanging from the ceiling further add to the theme of the setting - of being enveloped in nature.

Studio Dhaka Ltd designed Natural Paramount Agro Shop, an outlet of  Paramount Agro, in 2017. It was designed by architect Muhammad Moniruzzaman, Principal Architect of the firm. 

The design was done using feasible and relocatable materials to spread awareness about the production and consumption of organic products.

"We wanted to portray an organic and nature-based theme in the design of the city display and sales centre of the Paramount Agro Ltd, according to our client's needs," architect Moniruzzaman explained. 

Paramount Agro produces organic agro and dairy products. It is a sister concern of Paramount Group, which specialises in textiles, insurance, chemicals, real estate, and construction. Alongside raising awareness of organic products, the structure of the display and sales centre also intends to encourage others to adopt organic farming in Bangladesh.

"Our brand name is O'Natural. As our products are all healthy and organic, our concept was to display our products within nature in a spacious area," said Md. Robiul Islam, the company secretary of Paramount Agro Ltd. 

"From that point of view, we wanted to have such a nature-friendly design, which was also well appreciated by our long-term, trusted customers." 

Paramount Agro and Architect Moniruzzaman collaborated in earlier projects of the company as well.

The exterior

The exterior facade of the outlet is composed of a brown wooden texture to resemble a natural look. The glass walls used in the design seamlessly connect the interior to the surrounding environment and create a spacious facade.

3.o-nataral_161-1.jpg?itok=O0jJ8nbN&time

The fountain and waterbody on the exterior facade leaves a soothing impact on the minds of the passers-by.

To ensure maximum natural light in the space, glass walls and wooden louvre doors have been used. The wooden louvre doors can be folded to let more daylight in whenever necessary.

On the exterior, a fountain and waterbody have been installed to replicate the beauty of nature. The waterfall-like fountain and small greeneries were added not only to soothe the minds of the workers and consumers, but also the pedestrians.

"The fountain and little pond leaves a soothing impact on the minds of the passers-by," added Moniruzzaman. The sound of water, emerging from behind a foliage, interrupts the sounds of the busy roads. 

Amid the high-rises in Banani, the nature-based one-storey outlet of Paramount Agro reflects the need to incorporate nature into our urban environment.

Cost-effective materials for the composition of the outlet were chosen with the aim to ensure reusability of the materials in the long run.

"We used wood, boards, and glass instead of bricks for the composition so that it can be relocated if necessary. It was designed with a vision of long-term cost-effective sustainability," explained the principal architect.

A challenge in designing the display and sales centre of Paramount Agro was incorporating the existing banyan tree on the site into the design of the outlet.

"Instead of cutting down the tree, we focused on how we can incorporate it into our project design", added architect Moniruzzaman.

The colour and texture of the building exterior was kept as close as possible to the banyan tree, which gives the entire space a sense of uniform cohesion. 

The interior

"Since we chose a dark wooden texture for the exterior facade, soft and subtle colours like white and grey were chosen for the interior's colour scheme," elaborated architect Moniruzzaman.

The contrast of the interior colour scheme from the exterior aligns with the structure's theme. The hues of white and pastel green are soothing to the eyes and brighten up the space. Floors, shelves, and baskets for the display of the organic products have a light wooden texture and the shelves themselves are made of wood and metal frames.

4.o-nataral_110.jpg?itok=TuIXoRKD&timest

To ensure maximum natural light in the space, glass walls and wooden louvre doors have been used. Photo: Studio Dhaka

To add to the soothing effect, warm ambient lights have been used throughout the display and sales centre. The climate controlled interior helps maintain a relaxed atmosphere for customers and also doubles as a way to keep the products fresh. However, the outlet does not have a sitting area. Customers will have to walk around the store and purchase the organic products.

The city display and sales centre of the Paramount Agro is designed on a 334.5 sq metres plot. The main structure is designed on 95 sq metres with a green area of approximately 120 sq metres.

"The challenge in designing the outlet of the Paramount Agro was the small area. We had to keep enough space behind the main structure for processing of the products," explained architect Moniruzzaman.

8280b847-d668-4b7e-96c5-79ff065e9644.jpg

The design was done using feasible and relocatable materials to spread awareness about the production and consumption of organic products.

Time was another constraint for Studio Dhaka Ltd in designing the outlet. "We completed the design and construction of the outlet within three months as per our client's requirement," said Moniruzzaman.

The overall project cost was around Tk56 lakhs. "Apart from designing and constructing the outlet, we laid the foundation and constructed a drainage system for the infrastructure," added Moniruzzaman.

The cost-effective and nature-based Natural Paramount Agro Shop makes a bold statement about using regenerative ethos in architectural design.  

capture.jpg?itok=btsLA7_g&timestamp=1662

Link to comment
Share on other sites

  • Elite Members

https://www.dhakapost.com/country/139951

বিমানের পর এবার ড্রোন বানিয়ে তাক লাগালেন সবুজ

ইমরান আলী সোহাগ, দিনাজপুর

০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:৩২ এএম

https://www.youtube.com/watch?v=gwyppassxc0

অর্থের অভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া বন্ধ হয়েছিল সবুজের। তবে তিনি থেমে থাকেননি। ককশিট দিয়ে তৈরি করেছেন চালকবিহীন ছোট বিমান। আকাশেও উড়িয়েছিলেন। বিমানের পর এবার জমিতে কীটনাশক ছিটানোর ড্রোন তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামের তরুণ সবুজ সরদার। 

জানা গেছে, ড্রোনটি রিমোটের সাহায্যে এবং জিপিএসের মাধ্যমে দূর থেকেও নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ড্রোন তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। এটি দিয়ে আবাদী জমিতে কীটনাশকসহ শুকনা রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা যাবে। 

সবুজ সরদার ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের পলি শিবনগর মহেশপুর গ্রামের ভ্যানচালক একরামুল সরদারের ছেলে। ফুলবাড়ী কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২১ সালে এসএসসি পাস করে ভর্তি হয়েছিলেন দিনাজপুর শহরের একটি বেসরকারি পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগে। প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা দেওয়ার পর অর্থাভাবে আর পড়া হয়নি তার। ভ্যানচালক বাবার সামান্য আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

dinaj-2-20220906102918.jpg

 

জানা গেছে, ছোটবেলা থেকে সবুজের স্বপ্ন ছিল নিজের তৈরি বিমান আকাশে উড়াবেন। শখ থেকে মাত্র ৪৫ দিনে তৈরি করেন চালকবিহীন ছোট বিমান। এরপর স্বপ্ন দেখতে থাকেন কীভাবে মেধাকে কাজে লাগিয়ে কৃষি প্রধান এই দেশের জন্য কিছু করা যায়। শুরু হয় দ্বিতীয় প্রজেক্টের কাজ করা। অর্থাৎ চালকবিহীন ড্রোন তৈরি। তিন মাসের প্রচেষ্টায় সফল হন সবুজ। তৈরি হয় ড্রোন। এই ড্রোন দিয়ে ধানক্ষেতে কীটনাশক স্প্রে করা সম্ভব। তার তৈরি ড্রোন ইতোমধ্যেই এলাকাবাসীর দৃষ্টি কেড়েছে। কারণ এই ড্রোন দিয়ে ফসলের জমিতে স্প্রে করা যাচ্ছে। ড্রোনটি রিমোট কন্ট্রোল সিস্টেমের মাধ্যমে অনায়াসে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। একইসঙ্গে এটাতে সংযোগ করা হয়েছে জিপিএস। এতে ঘরে বসেই এটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

সরেজমিনে দেখা যায়, ফুলবাড়ী উপজেলার পলি শিবনগর গ্রামের ফসলের মাঠে চালকবিহীন একটি ড্রোন সবুজ ধান ক্ষেতে কীটনাশক স্প্রে করছে। তা দেখতে ভিড় জমিয়েছে এলাকার উৎসুক জনতা।

dinaj-3-20220906102951.jpg

 

মহেশপুর গ্রামের হামিদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সবুজ লেখাপড়ার পাশাপাশি পাঠকপাড়া বাজারে মোবাইল মেকানিকের কাজ করেন। এরই মাঝে চালকবিহীন বিমান ও জমিতে কীটনাশক স্প্রে করার ড্রোন তৈরি করে এলাকার সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সে। তার এই ড্রোন দেখতে স্থানীয়রাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ ভিড় করে।

পলিনগর গ্রামের হুমায়রা বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের এলাকার ছোট ভাই সবুজের জমিতে কীটনাশক স্প্রে করার ড্রোন দেখতে আসছি। দেখে খুব ভালো লাগল। আগে এমন যন্ত্র আমাদের গ্রামে দেখি নাই। জমিতে কীটনাশক ছিটানোর জন্য মানুষকে ঘাড়ে করে মেশিন নিয়ে আসতে দেখছি। এখন মানুষ ছাড়া ড্রোন দিয়ে জমিতে স্প্রে করা যাচ্ছে।

dinaj-4-20220906103118.jpg

 

সবুজের মা শেফালী বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, অভাবের সংসারে সব সময় এটা-সেটা কিনে টুকটাক কাজ করে সবুজ। বাবার বকুনির ভয়ে অনেক সময় চুপিচুপি এসব কাজ করে। একটু একটু করে টাকা জমিয়ে যন্ত্র কেনে। ভয়ে অনেক সময় বাবার কাছে যন্ত্রপাতির দাম অনেক কম বলে। এভাবেই আমার ছেলে এসব তৈরি করছে।

সবুজের বাবা একরামুল সরদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রথম প্রথম ছেলের এসব কাজে বিরক্ত লাগত। মনে হতো এমনিতেই সংসার চলে না তার ওপর অহেতুক টাকা-পয়সা নষ্ট করছে। কিন্তু এখন দেখছি, ছেলে যা করছে তা হয়তো দেশের কাজে লাগতে পারে। তবে সরকারি সহায়তা পেলে ছেলেটা আরও ভালো কিছু করতে পারত।

ড্রোন তৈরির কারিগর সবুজ সরদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, সব সময় ব্যতিক্রম কিছু করার চিন্তা মাথায় আসে। অর্থের অভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না। এর আগে চালকবিহীন ছোট বিমান তৈরি করেছি। কিন্তু সব সময় একটা স্বপ্ন ছিল, কীভাবে কৃষি কাজের জন্য কিছু একটা করা যায়? তারপর শুরু হয় এই ড্রোন তৈরির পরিকল্পনা। ড্রোন তৈরি করতে তিন মাস সময় লেগেছে। এখন আমার তৈরি এই ড্রোন আকাশে উড়ে। জমিতে স্প্রে করা যায়। তবে আমি প্রাথমিক অবস্থায় সফল হয়েছি।ড্রোনটি দুই লিটার তরল পদার্থ নিয়ে উড়তে পারে এবং স্প্রে করতে সক্ষম।

dinaj-1-20220906103149.jpg

 

তিনি বলেন, ড্রোন তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। এখানে আরও ৩০-৪০ হাজার টাকা যোগ করলে ২০-২৫ লিটার তরল পদার্থ নিয়ে উড়তে পারবে আকাশে। এই ড্রোন দিয়ে ৩০ মিনিটে প্রায় ১০ বিঘা জমিতে কীটনাশক স্প্রে করা সম্ভব।

সবুজ আরও বলেন, একবার চার্জ করলে ড্রোনটি ৩০ মিনিট আকাশে উড়তে পারবে। রিমোটের সাহায্যে এবং জিপিএসের মাধ্যমে দূর থেকেও এটি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। প্রযুক্তির সাহায্যে এ ধরনের কিছু উদ্ভাবন করতে হলে প্রয়োজন অর্থের। তাই সরকারি বা বেসরকারিভাবে যদি আমাকে সহায়তা করা হতো, তাহলে আরও নতুন নতুন জিনিস উদ্ভাবন করেতে পারতাম। 

ইউপি সদস্য মো. শাহিন সরদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, হাঠাৎ করে সবুজের এই উদ্ভাবন দেখে আমি অবাক হয়ে গেছি। যা করছে তা দেখে ভালোই মনে হচ্ছে। কারণ এখন সবকিছু যন্ত্র নির্ভর হয়ে গেছে। তাই সবুজের এই আবিষ্কার যদি সরকারিভাবে কাজে লাগানো যেত, তাহলে দেশের কৃষকের উপকার হবে।

এসপি

 

 

Link to comment
Share on other sites

  • Elite Members

https://www.thedailystar.net/tech-startup/news/team-bangladesh-becomes-finalist-world-robotics-championship-2022-3114841

Spotlight

Team from Bangladesh becomes finalist at World Robotics Championship 2022

Ahmad Tousif Jami

Fri Sep 9, 2022 12:09 AM Last update on: Fri Sep 9, 2022 12:16 AM

team_atlas_wrc_photo.jpg?itok=n0lQwUbr&t

Team Atlas from Bangladesh reached the finals and ranked 4th at the World Robotics Championship 2022, one of the largest robotics competitions in the world, with more than 300 teams participating worldwide. 

The World Robotics Championship is an annual global robotics competition organised by Technoxian with the help of All India Council For Robotics & Automation (AICRA) and the Ministry of Electronics & Information Technology of the Government of India. It aims to stimulate and increase young people's interest in science and technology by involving them in engaging project-based learning sessions with professionals, providing a cross-border networking platform for knowledge and experience sharing, and providing opportunities to compete to recognize their achievements. 

After a two-year gap because of the pandemic, the competition was held in New Delhi, India, from August 21-24, 2022. This year, more than 18 countries and 300 teams participated from across the globe. The event consisted of nine tracks, one of which was the 'WRC Fastest Line Follower' challenge. Team Atlas ranked 4th in the world in that track. 

The 'WRC Fastest Line Follower' challenge includes constructing an autonomous robot within the prescribed dimensions to obtain the top speed necessary and outpace other robots on the provided track in the shortest amount of time. Any element of the robot that crosses the finishing line during a full lap of the course counts as having crossed it, hence the robot must begin behind the starting point. 

This year's team consisted of Bangladeshi university, college and school students Sunny Jubayer, Mir Tanzid Ahmed, Mir Sazid Hassan, Mahtab Newaz, Sifat Tonmoy, Kazi Md. Muhaimin-Ul-Islam Mahi, S.M. Towfiqunnobi, Waliul Islam Nohan, Md. Fahim Shahriar, Md. Tamzid Mahmud Talib, Reza Abdullah, Md. Adham Wahid and Mir Sadia Afrin.

It is worth noting that this is the second time Team Atlas has participated in the championship. In 2019, when they first attended, they ranked 13th internationally. 

Mir Tanzid Ahmed, Administrator of Team Atlas, said, "We worked hard even within the challenges of the pandemic, we spent countless hours in the lab working on research and development of our robots." He added, "Our hard work was inspired by our motivation to represent Bangladesh better than last time and to at least make it to the top five in our next attempt."

Since 2016, the robotics-based squad Team Atlas has been engaged in various endeavours. The team has created a variety of mechanical projects, ranging from Mars rovers to submerged machines, including Farmover (a farming robot), BrainBot (an artificial intelligence-based robot for research work), Atlas - UV1 (an autonomous underwater robot for research underwater), Alpha 21 (a fire rescue robot for use in the fire area) and Fire Defender Robot. 

Team Atlas is currently a team of over 50 individuals working on different projects. They have previously reached the finals of other prestigious global competitions such as the Singapore Autonomous Underwater Vehicle Challenge 2019, along with holding many national-level championship titles in their repository. 

"We will continue to work hard, develop and participate in other major global competitions so that we can bring more glory to Bangladesh," says Sunny Jubayer, Team Leader of Team Atlas. "We are preparing our best to win the World Robotics Championship next year among other titles," he adds.

Link to comment
Share on other sites

  • 3 months later...
  • Elite Members

https://www.tbsnews.net/bangladesh/prof-saleemul-huq-named-one-natures-10-people-who-helped-shape-science-2022-552050

TBS Report 

15 December, 2022, 02:00 pm

Last modified: 15 December, 2022, 03:31 pm

Prof Saleemul Huq named one of Nature's 10 people who helped shape science in 2022

dr._saleemul_huq.jpg

 

Dr Saleemul Huq is addressing in a world conference

Bangladeshi scientist Professor Saleemul Huq has made it to the coveted list of people who helped shape the biggest science stories of 2022.

Saleemul Huq, a climate researcher, has been recognised for his role in forcing wealthy countries to pay for the losses and damages from climate change.

The list prepared by Nature – one of the world's top science journals – was revealed on Wednesday (14 December).

The list selected total 10 individuals, from all around the globe, who made key developments in science and helped to make amazing discoveries and brought attention to crucial issues this year. 

The other influential figures that made the Nature list, compiled by the journal's editors to highlight key events in science through the compelling stories of those involved, are – 

Jane Rigby - helped launch the James Webb Space Telescope

  • Yunlong 'Richard' Cao - identified emerging Covid variants
  • Svitlana Krakovska - advocated for Ukraine 
  • Dimie Ogoina - led monkeypox research
  • Lisa McCorkell - advocated for long-Covid policies
  • Diana Greene Foster - studied abortion ban impacts
  • António Guterres - served as UN secretary-general
  • Muhammad Mohiuddin - transplanted pig heart into human

Alondra Nelson - informed scientific policy in USA 

Recognising Professor Saleemul Huq's exemplary contributions to countries plagued with climate change, British science writer Hassan Ehsan Masood for Nature penned – 

In the final hours before the close of last month's United Nations climate conference in Egypt, exhausted delegates slumped on sofas outside the formal meeting rooms. But not Saleemul Huq, who was sitting upright, rapidly checking messages on his phone.

The meeting's final text had yet to be agreed. But Huq told Nature he was confident that negotiators from the world's governments attending the conference would agree to a new kind of climate fund: one that would cover the costs of the 'loss and damage' suffered by climate-vulnerable countries. "Don't worry," he said. "It's in the bag."

And so it was. The final agreement signed in the Red Sea resort town of Sharm El-Sheikh includes a commitment to establish a loss-and-damage fund to help lower-income countries deal with the impacts of climate change. That provision is the culmination of a nearly 30-year campaign to get the world's historically high carbon emitters to acknowledge they have some financial responsibility to low-emitting countries that face devastation as temperatures continue to rise. And for more than a decade, that movement's unofficial leader has been Huq, originally a plant biologist who now directs the International Centre for Climate Change and Development in Dhaka.

"Loss and damage isn't aid," says Huq. It is based on the 'polluter pays' principle, and that, says Huq, is why it has been opposed since before the 1992 Earth Summit in Rio de Janeiro in Brazil, which gave rise to today's climate agreements. "When money is given as aid, all the power rests with the donor." It's an unequal relationship, he adds.

Huq's experience with the turmoil of international politics started young. He was born in Karachi to parents in Pakistan's diplomatic service, before East Pakistan broke away from West Pakistan to become independent Bangladesh after the 1971 war of liberation. His parents, who opted for Bangladesh, escaped capture by Pakistan's military by travelling overland on a donkey to India through Afghanistan.

Growing up in Europe, Africa and Asia through his parent's diplomatic postings, he developed a passion for science and moved to London 50 years ago to study biochemistry, eventually doing a PhD at Imperial College London. Huq later returned to Bangladesh and co-founded, with Atiq Rahman, the Bangladesh Centre for Advanced Studies (BCAS), an independent think tank focused on environment policy. Bangladesh has a long history of environmental disasters, especially flooding. Huq and his colleagues persuaded their government that it needed an environment department, and that BCAS would be its thinking and research arm. BCAS helped the department to write Bangladesh's first environmental action plan, says Mirza Shawkat Ali, the government's director for climate change.

Huq led the establishment of a worldwide network of experts who work in a branch of development called community-based adaptation, says Lisa Schipper, a climate researcher at the University of Oxford, UK. This long-standing idea, pioneered in Bangladesh, focuses on helping rural communities to find their own research-based solutions to problems, such as improving flood defences or adjusting cropping patterns in response to climate change.

The communities, Huq says, "need to be in the driving seat".

By the 1990s, he had become active in international climate negotiations, as an adviser to climate-vulnerable countries, especially small island states, helping them to put their needs on the agenda in UN talks. The idea of funding for loss and damage gained traction in the years leading up to the 2015 Paris climate agreement, says Achala Abeysinghe, an environmental lawyer now at the Global Green Growth Institute in Seoul, who worked with Huq advising climate-vulnerable countries. Huq's strategy, she says, was to persuade more countries (including China and India) of the case for loss and damage "so the least developed countries and small island states are not alone". But persuading the high-emitting wealthy countries was a tougher task.

An early breakthrough came at the 2015 Paris talks. Article 8 of the final agreement explicitly uses the term: "Parties recognize the importance of averting, minimizing and addressing loss and damage associated with the adverse effects of climate change." But getting those words into the text needed nerves of steel, Abeysinghe says. "We were told that if we insist on including loss and damage, we would be blamed if the treaty failed. But it was an absolute red line. We were ready to walk."

Huq faced the same response from the European Union and the United States at Sharm El-Sheikh. But once again, the advocates of loss and damage held firm as some of the world's wealthiest nations pushed to keep the commitment out of the treaty, says Huq. "We didn't blink."

Link to comment
Share on other sites

  • 2 months later...
  • Elite Members

https://bonikbarta.net/home/news_description/333851/দেশে-গবেষণায়-গড়ে-ওঠেনি-পেটেন্টের-সংস্কৃতি

দেশে গবেষণায় গড়ে ওঠেনি পেটেন্টের সংস্কৃতি

সাইফ সুজন

মার্চ ১২, ২০২৩

https://bonikbarta.net/uploads/news_image/news_333851_2.jpg?t=1678622873

গবেষণার প্রধান লক্ষ্যই হলো নতুন জ্ঞান সৃজন। বিশ্বব্যাপী উদ্ভাবিত জ্ঞান, প্রযুক্তি ও পণ্যের স্বত্ব সংরক্ষণে ‘পেটেন্ট’ গ্রহণ করতে হয় গবেষকদের। যদিও বাংলাদেশের গবেষণা খাতে পেটেন্ট গ্রহণের সংস্কৃতি গড়ে উঠছে না। প্রতি বছরই বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত বিভিন্ন জার্নালে বাংলাদেশী গবেষকদের কয়েক হাজার বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। যদিও প্রকাশনার বিপরীতে পেটেন্ট গ্রহণ বা প্রাপ্তির হার খুবই নগণ্য।

 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গবেষণার ক্ষেত্রে পেটেন্টযোগ্য বিষয় বা পণ্য নির্বাচন না করা, গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনায় পেটেন্ট প্রাপ্তির নির্দেশনা অনুসরণের অভাব, পেটেন্ট পাওয়ার পর বাজারজাতের উদ্যোগের অভাব, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশীয় গবেষণার ভাবমূর্তি গড়ে না ওঠা, গবেষকদের অসচেতনতা, পেটেন্ট লাভে দীর্ঘসূত্রতাসহ নানা কারণে দেশের গবেষকদের মধ্যে পেটেন্ট গ্রহণের সংস্কৃতি গড়ে উঠছে না।

দেশের পেটেন্ট খাতের সার্বিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে একটি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। সেখানে গত কয়েক বছরে বিশ্বের বিভিন্ন জার্নালে দেশের গবেষকদের প্রকাশিত প্রবন্ধের সংখ্যা ও পেটেন্ট প্রাপ্তির তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। গবেষণার ভিত্তিতে প্রণীত ‘পেটেন্ট ইকোসিস্টেম ইন বাংলাদেশ: কারেন্ট স্ট্যাটাস, চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড প্রসপেক্টস’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি হেলিয়ন জার্নাল অনলাইনে ‘প্রি-প্রিন্ট’ হিসেবে প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে দেয়া তথ্যমতে, ২০২১ সালে দেশীয় গবেষকদের প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধের সংখ্যা ১২ হাজার ৬৪৮। ওই বছর অনুমোদনপ্রাপ্ত দেশীয় পেটেন্টের সংখ্যা ছিল মাত্র ২৯। অর্থাৎ ওই বছর দেশীয় গবেষকদের পেটেন্ট ও পাবলিকেশনের অনুপাত ছিল ১:৪৩৬। যদিও একই বছর পাশের দেশ ভারতের গবেষকদের আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত প্রবন্ধের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৩৭ হাজার ৪২৯। ওই বছর ভারতীয়রা পেটেন্ট পেয়েছেন ১৪ হাজার ৬১৩টি। পেটেন্ট-পাবলিকেশনের আনুপাতিক হার দাঁড়ায় ১:১৬.২৫। চীনের গবেষকদের ৮ লাখ ৬০ হাজার ১২টি গবেষণা প্রবন্ধ বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হয়। দেশটির গবেষকদের পেটেন্ট সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ৩৯ হাজার ৩০৯। অর্থাৎ দেশটির পেটেন্ট-পাবলিকেশন অনুপাত দাঁড়ায় ১:১.৩৫। ২০২১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার গবেষকদের প্রকাশিত গবেষণাপত্রের সংখ্যা ১ লাখ ১ হাজার ৬৯২। ওই বছর দেশটির গবেষকরা পেটেন্ট পান ১ লাখ ৫৮ হাজার ৪৯৫টি। অর্থাৎ দেশটির গবেষকদের গবেষণা প্রবন্ধের চেয়ে পেটেন্টের সংখ্যাই বেশি। পেটেন্ট পাবলিকেশন অনুপাত ছিল ১:০.৬৪। একই অবস্থা জাপানের ক্ষেত্রেও। দেশটির গবেষকদের প্রকাশনা ১ লাখ ৪৪ হাজার ৭৭৮টি ও পেটেন্ট ছিল ২ লাখ ৭৮ হাজার ১১৭টি। অর্থাৎ প্রকাশনার চেয়ে পেটেন্টর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ। আর যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকদের ২০২১ সালে প্রকাশনা ছিল ৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৫২টি ও পেটেন্ট ছিল ২ লাখ ৯৮ হাজার ৫৭৫টি। দেশটির পেটেন্ট ও পাবলিকেশনের অনুপাত দাঁড়ায় ১: ২.৪৩।

অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের গবেষকদের পেটেন্ট প্রাপ্তির হার খুবই কম। পেটেন্ট কম হওয়ার কারণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘দেশে পেটেন্ট না হওয়ার প্রধান কারণ হলো এর সংস্কৃতি গড়ে ওঠা। গবেষকদের মধ্যে পেটেন্ট-বিষয়ক সচেতনতা ও আগ্রহ অনেক কম। এজন্য গবেষণার বিষয় পরিকল্পনার সময়ই পেটেন্টের বিষয়টা সামনে আনা হয় না। আর যারা পেটেন্ট-কেন্দ্রিক কাজ করছেন তারাও পেটেন্ট অফিসের দীর্ঘসূত্রতার কারণে নানাভাবে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। আমি ২০১৮ সালে একটি পেটেন্টের জন্য আবেদন করেছি, এখন পর্যন্ত সেটা উন্মুক্তই করা হয়নি। আবার একটা গবেষণাকে পেটেন্ট পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি কাঠামোর প্রয়োজন হয়। এ ধরনের সেবা দেয়ার জন্য বিভিন্ন দেশে বিশেষায়িত ফার্ম রয়েছে। যদিও আমাদের এখানে তা নেই। বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আয়ের একটি বড় খাত পেটেন্ট। অথচ আাামদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এক্ষেত্রে বেশ নিষ্ক্রিয়।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞানের এ অধ্যাপক আরো বলেন, ‘এক দশক আগেও দেশের গবেষণা খাত বেশ অবহেলিত ছিল। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এক্ষেত্রে বেশকিছু ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। প্রতি বছরই উল্লেখযোগ্যসংখ্যক গবেষণা প্রবন্ধ আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশ হচ্ছে। সংখ্যাগত দিক থেকে হলেও এটা আরো সামনের দিকে নিয়ে যেতে হবে। পাশাপাশি ক্রমান্বয়ে ফোকাসড রিসার্চ তথা উচ্চতর গবেষণায় জোর দিতে হবে। এর মাধ্যমে নতুন নতুন উদ্ভাবন নিয়ে আসতে হবে। এ প্রক্রিয়ায় এগোলে পেটেন্টের সংখ্যাও বাড়বে। এক্ষেত্রে নীতিগত জায়গায় সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনেক বেশি কাজ করতে হবে। কেননা বাংলাদেশ এলডিসি উত্তরণ করলে বিদেশী অনেক পেটেন্ট বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবে না।’

জাতিসংঘের স্বত্ব সংরক্ষণবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশন (ডব্লিউআইপিও)। জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো এ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন নীতিমালা অনুসরণ করে পেটেন্ট দেয়। বাংলাদেশে এ বিষয়ে কাজ করে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেড মার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি)। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য বলছে, দেশে পেটেন্টের জন্য আবেদনের প্রবণতাও অনেক কম। আবার যে আবেদনগুলো পড়ছে তার বড় অংশই বিদেশী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের।

ডিপিডিটির তথ্যমতে, ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠানটিতে পেটেন্ট প্রাপ্তির আবেদন পড়ে ৪৪৭টি। এর মধ্যে ৩৭৮টি বিদেশী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের। আর ৬৯টি দেশের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের। ওই বছর ২৪০টি পেটেন্ট দেয়া হয়, যার মধ্যে ২১টিই বিদেশী। দেশীয় মাত্র ২৯টি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিপিডিটির ডেপুটি রেজিস্ট্রার (পেটেন্ট ও ডিজাইন) আলেয়া খাতুন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমাদের এখানে পেটেন্টের জন্য যে আবেদনগুলো পড়ে এর বেশির ভাগই বিদেশী। দেশ থেকে আবেদন পড়ে খুবই কম। এজন্য পেটেন্ট প্রাপ্তির হারেও বিদেশী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানই এগিয়ে থাকে। বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দেশের বাজারে পণ্য নিয়ে আসার জন্য পেটেন্টের আবেদন করে। আবেদন পাওয়ার পর আইন ও ডব্লিউআইপিওর বিভিন্ন নির্দেশনার আলোকে বিভিন্ন ধাপ সম্পন্ন করে পেটেন্ট দেয়া হয়।

Link to comment
Share on other sites

  • 1 month later...
  • Elite Members

https://www.tbsnews.net/features/panorama/hilsa-can-year-round-supply-our-favourite-fish-now-reality-627162

Hilsa in a can: Year-round supply of our favourite fish now a reality

Coming at a price of Tk320 for four slices, the canned hilsa developed by researchers at the Sher-e-Bangla Agricultural University might change the country’s ready-to-eat food industry for the better

from_left_asst_professor_masud_rana_abed

Sher-e-Bangla Agricultural University’s researchers have recently developed canned ‘shorshe ilish’, which will be available in the market at an affordable price. (From left) Asst. Professor Masud Rana, entrepreneur Abed Ahsan Sagar and Professor Dr Kazi Ahsan Habib holding canned hilsha. Photo: Courtesy

On a rainy day, suppose you want to serve guests at your house khichuri with shorshe ilish (hilsa cooked with mustard). But there is no ilish in the refrigerator, and none in the market. 

Worry not, as you can soon serve them canned hilsa. Researchers at Sher-e-Bangla Agricultural University (SAU) have recently developed locally manufactured chemical-free canned shorshe ilish which will be made available at an affordable price. 

Worldwide, canned fish is a quick and hassle-free meal option for people on the go as the processed food - unlike fresh fish that requires preparation and cooking - is ready-to-eat straight out of the container. 

"Our objective behind researching fish canning was the preservation of the valuable but perishable hilsa for a long period, maintaining international standards. At the same time, we wanted to make our favourite fish available all year round for consumers from all walks of life," said Md Masud Rana, co-researcher and assistant professor of fishing and post harvest technology at SAU. 

Professor Dr Kazi Ahsan Habib, chairman of the fisheries biology and genetics department at SAU, supervised the research funded under the Sustainable Coastal and Marine Fisheries Project of the Department of Fisheries. 

1683355317972.jpg

Photo: Saqlain Rizve

According to the fisheries department, there are 260 freshwater and 475 marine fish species in the country. So, why was hilsa chosen for canning? 

Citing hilsa as the national fish of Bangladesh, Masud explained, "Hilsa is fondly called the 'king of fishes' because of its unique taste and flavour. Only a few countries, including Bangladesh, have an abundance of hilsa. And more than 80% of the global hilsa is produced in Bangladesh," adding, "even if it is iced, export of hilsa is very challenging. But there is a high demand for this fish worldwide."  

Another factor at play for canning hilsa, Masud added, was that the fish cannot be dried because of its high fat content. Moreover, only hilsa weighing no more than 600 grams or 700 grams will be canned.   

In 2020-21, the total fish production in the country was 4.62 million tonnes, where hilsa alone contributed 0.56 million tonnes. Due to the department's various conservation measures, hilsa production has increased by around 80% in the last decade, according to the fisheries department. 

However, the high production rate does not benefit the fishermen all the time. Masud cited the famous novel 'Padma Nadir Majhi' by Manik Bandyopadhyay as an example. In the story, through the system of dadan, (informal lending of money), middleman Shital exploited the poor fisherman Kuber. 

During peak harvesting season, these middlemen hoard huge amounts of fresh hilsa and sell the remaining at a high price. They pay the fishermen a cheap price and add salt to the surplus fish to extend its preservation period. But salted hilsa is valued much less than a fresh one.  

1683355318010.jpg

"Industrial canning of hilsa can help the fishermen get fair prices for the surplus catches," Masud opined.  

Traditional fish traders might argue that canning hilsa will make the fish much more expensive, although the researchers disagree with it.  

They said that canning fish is not actually adding value; its industrialisation will not compete with the traditional fish trade, because the market for canned hilsa is different.   

Worldwide, tuna, salmon, sardine, pilchard and a few other sea fishes are canned. However, at the initial stage of the project, the researchers examined canned fish products of some other Asian countries like Malaysia and Thailand, because the recipes and fish varieties in those places are a bit similar to ours.  

Locally available cans are not suitable for canning hilsa because the fatty acid in the fish chemically reacts with the tin. So, the researchers imported containers having a zinc-oxide layer between the aluminum can and the fish. 

Sealing machines and the machines used to free the fish from bacteria were also imported. 

The researchers also examined hilsa's fat content and other nutrient values. They ensured that all the essential fatty acids, like Omega 3 and 6 - rich nutrients for pregnant mothers and children, containing EPA (Eicosapentaenoic Acid) and DHA (docosahexaenoic acid), and good for the cardiovascular system - remain intact in the containers. According to Masud, no chemicals were used in the preservation process. 

1683355317929.jpg

Then they planned the recipes prioritising local consumers' taste. "Bangalis quite like hilsa with mustard, compared to other recipes of the fish. So, we tried this one first," Masud said.  

Currently, they are piloting three recipes: mustard hilsa, chilli hilsa, and vegetables with hilsa without any spice. The last item is meant for foreigners. 

The SAU researchers cannot engage in manufacturing and marketing of the product so they were looking for capable industrialists, as it is a sophisticated process requiring high quality maintenance and monitored food processing.

A private organisation called Sagar Fish Export was invited to pilot the canned hilsa. After several months of information exchange, Abed Ahsan Sagar, owner of Sagar Fish Export and director at Cox's Bazar Chamber of Commerce and Industries, adopted the idea in December 2022 and transformed a small portion of his 1.5 land at North Nuniar Chata of Cox's Bazar into a piloting plant. 

The second-generation businessman inherited a fish trading business of more than 40 years.  

"Canning fish has a great future both in domestic and export markets. The shelf life of fishes around the Bay of Bengal is comparatively high. So, there is a high potential of Bangladeshi canned fish in the export market," Sagar said while explaining his interest in the canned fish industry.  

Already the first batch of canned hilsa have been distributed for multiple panel tests (samples given to different groups for taste test). According to the researchers, since the beginning of March this year, at least 500 people have consumed the product and provided positive reviews. At present, the shelf life of the product is three months.

Currently, multiple analyses on nutrient content and shelf life are going on at laboratories of SAU, Bangladesh Livestock Research Institute, and Jashore University of Science and Technology. The analyses will go on for at least one year to determine the product's expiry date.   

The researchers believe, as does Sagar, that the industrialisation of canned hilsa will ensure employment of millions of people.  

Sagar said that usually, following the establishment of a major industry, backward-and-forward linkage industries begin to grow in phases. 

"Containers for condensed milk are now made in the country following a demand in local dairy industries. Similarly, there is a hope that we too can produce the containers for the canned fish," he said.  

The SAU researchers' canned hilsa is priced at Tk320. Is this a subsidised price when there are four slices of the fish in a single container? 

The researchers said that they have fixed the price after all necessary economic analysis. "The model containers are imported from China. If the containers are made locally, the price will fall further. Even a rickshaw puller can then afford canned hilsa more than once a month," said Masud, sounding hopeful.

Link to comment
Share on other sites

  • 4 months later...
  • Elite Members

https://www.dhakatribune.com/bangladesh/325072/first-hybrid-rocket-engine-in-bangladesh-tested

First hybrid rocket engine in Bangladesh tested successfully

AERD will continue developing hybrid rocket engines

Szu Heng Baldwin Chen led project

hybrid-rocket-engine-416524c199fd2a76604

 

Amateur Experimental Rocketry Dhaka (AERD), a hybrid rocket propulsion research organization sponsored by Dr Anwarul Abedin Institute of Innovation (D2A2I) and American International University – Bangladesh (AIUB), has successfully tested the first hybrid rocket engine in Bangladesh at AIUB’s research facility. 

After a day of preparation at a window after the pouring rain, the engine successfully ignited under the witness of AERD members, parents, as well as students from BRAC, NSU, and AIUB who attended as visitors, reads a press release.

“After months of hard work and data collection, we were finally able to see what we have designed come to life. It felt incredible, and everyone on the team was relieved,” AERD project leader Szu Heng Baldwin Chen said.

“We have come a long way and we do not plan on stopping,” AERD member Shahzaib Muaz Abedin. 

AERD will continue developing hybrid rocket engines as well as fostering collaboration efforts amongst communities and universities here in Bangladesh. 

The group is open to members who are interested in space exploration and rocketry.

Members of AERD include Szu Heng Baldwin Chen, Shahzaib Muaz Abedin, Sam Cui, Ian Meservey, Razeen Ali, Mushfiqur Shadhin, N M Saif Kabir, Aanha Islam, Yohann Coulibaly, Liam Oliver Novak, Eojin Kim.

Link to comment
Share on other sites

Create an account or sign in to comment

You need to be a member in order to leave a comment

Create an account

Sign up for a new account in our community. It's easy!

Register a new account

Sign in

Already have an account? Sign in here.

Sign In Now
×
×
  • Create New...