Jump to content
Please ensure regular participation (posting/engagement) to maintain your account. ×
The Bangladesh Defence Analyst Forum

Furniture Industries of Bangladesh


Recommended Posts

  • 4 months later...
  • Elite Members

https://www.tbsnews.net/economy/industry/furniture-interior-designing-particle-board-now-taking-over-timber-417554

Abbas Uddin Noyon

11 May, 2022, 02:00 pm

Last modified: 11 May, 2022, 02:19 pm

Furniture to interior designing: Particle board now taking over timber

Low cost, durability and eco-friendliness – these three factors mainly have propelled a rapid growth of the market for particle board amid surging demand for wood-alternative furniture and interior designing. 

The use of particle board, made of wood chips or jute stick chips, in interior decoration, furniture, door and door frames, partitions, false ceilings, shelves and panels at homes and offices has gone up significantly over the last few years. 

Industry insiders say the burgeoning market has been growing at 18%-20% per annum since 2015. 

Some 15-20 companies have stepped in with massive investments amounting to Tk10,000 crore to cash in on growing demand for particle boards, they also say, adding that there are also more than 300 small entrepreneurs engaged in manufacturing such boards.

The annual sales have also crossed the Tk5,000 crore mark, they note.

particle-board-info.png?itok=M5P9Vjnt&ti

Akij Group has recently set up its state-of-the-art plant, which is also the largest in South Asia, at a cost of over Tk1,000 crore for manufacturing modern particle boards in Mymensingh's Trishal. 

Khourshed Alam, director (Sales & Marketing, Particle Board & Ceramics) at Akij Group, said, "We are now planning to set up our third plant as we have got very good response since our second plant came into production."

He hopes that the particle board industry will continue to grow in the future as it is cheaper, eco-friendly than timbers and furniture made from it has more durability.  

Wastage of timber and jute sticks apart, unnecessary tree branches are also used as major ingredients for manufacturing particle board, which is creating an additional source of income for marginalised people, he noted. 

Akij built its second factory on more than 100 acres of land in Trishal in 2017 to produce particle board. The factory, built entirely based on German technology, can produce 25 crore square feet of particle boards a year. 

They procure tree branches from all over the country and process them in the factory. At present, more than 2,000 people are working directly in the factory.

Khorshed Alam said, "The boards they manufacture from mahogany, raintree, akashmoni and chambal tree branches using state-of-the-art technology are more durable than wood."

In 1962, Star Particle Board Mills Ltd, a concern of Partex Star Group, was the first factory in Bangladesh, which started producing jute-based particle boards. The same group also pioneered the manufacturing of wood-based particle boards in 2006.

Other major manufacturers that followed are TK Group's Superboard, Star Particle Board Mills, Super Particle Board Mills, MRS Industries, Amber Boards, Multi Panels, Woodland Plywood & Particle Board Mills, Bengal Plywood Mills, Otobi, Diamond Particle Board Mills, and Maya Particle Board Mills.

The labour-intensive sector has also created jobs for more than 25,000 people.   

Md Shibbir Hossain, head of Business Development of Partex Star Group, said their particle boards are bug repellent and last longer than wooden ones as they apply a special chemical while manufacturing. 

"We are also exporting jutex boards abroad after meeting local demand," he added.

Shibbir Hossain also said particle boards manufactured in the country are melamine, ply board, plain board, veneered board, and PVC board. MDF board is imported from Malaysia.

Local companies cater to 80% of domestic demand, while the remaining 20% demand is met through imports. The annual demand for particle boards is 80 crore square feet.

If social forestry increases, the amount of imports from abroad will come down further, he pointed out, adding that the use of wood has reduced by 60% thanks to the rapid growth of the particle board industry.

The furniture sector consumes 55% of particle boards, while 45% of those are used in housing and corporate sectors.

The furniture making raw material

All companies now produce furniture directly with veneered boards and most of them also apply lacquer on boards.

Shahriar Zaman, manager for marketing of Akij Particle Board Mills, claimed that most Malaysian or Canadian wood furniture available in the local market are made from local wood-based particle boards.

Selim H Rahman, president of Bangladesh Furniture Industries Owners Association, said, "Particle boards are now being used as raw materials for making furniture. The particle board market, which is working as a backward linkage for us, is growing in line with the furniture sector."

Link to comment
Share on other sites

  • 2 weeks later...
  • 2 weeks later...
  • Elite Members

https://www.tbsnews.net/bangla/অর্থনীতি/news-details-96058

জয়নাল আবেদীন শিশির

04 June, 2022, 02:40 pm

Last modified: 04 June, 2022, 03:55 pm

নন-ব্র্যান্ড ফার্নিচার শিল্পে রপ্তানির বিপুল সম্ভাবনা, অভাব তদারকির

এসএমই ফাউন্ডেশনের তথ্য মতে, কম করে হলেও বার্ষিক ২৫ হাজার কোটি টাকার বাজার দেশের ফার্নিচার খাতের, এরমধ্যে নন-ব্র্যান্ড ফার্নিচারের বাজারের বাজার ৫০ শতাংশের বেশি।

furniture-info_0.png?itok=M7keZu9Z&times

 

১৯৯৮ সালে মাত্র ৫ লাখ টাকা ও ৫ জন কাঠমিস্ত্রি নিয়ে ফেনীর ছাগলনাইয়া বাসস্ট্যান্ড বাজারে ফার্নিচারের ব্যবসা শুরু করেন জি এস ফার্নিচার মার্টের মালিক মোঃ শহিদ উল্লাহ। বর্তমানে তার কারখানায় ২৫ জন লোকের কর্মসংস্থান, তার বার্ষিক টার্নওভার ৩ কোটি টাকার বেশি। 

শহিদ উল্লাহ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "আশেপাশে মানুষের কাঠের ফার্নিচারের চাহিদা দেখে আমি ২৪ বছর আগে এ পেশায় আসি, তারপর থেকে ভালোই সাড়া পাই। আস্তে আস্তে আমার ব্যবসার সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে প্রতি মাসে আমার ১২-১৫ লাখ টাকার ফার্নিচার বিক্রি হয়, আশা করি আমার ব্যবসা আরো বিস্তৃতি লাভ করবে।" 

শহিদ উল্লাহ মতো আরেকজন শেরপুর জেলার সদর উপজেলার পশ্চিমশেরী এলাকার ফার্নিচার মার্টের স্বত্মাধিকারী আবদুর রহমান। একসময় কাঠমিস্ত্রি ছিলেন তিনি, কয়েক বছর পরে তিনি শেরপুরের পশ্চিমশেরী এলাকায় নিজেই কারখানা ও দোকান দেন। এরপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে পুঁজি। এখন এ তার বার্ষিক টার্নওভার প্রায় ২ কোটি টাকা। 

"আমার কারখানার আসবাব শেরপুরসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হয়। এই ব্যবসা আমার জীবন বদলে দিয়েছে। এ ব্যবসার আয় দিয়ে গ্রামে জমি কিনেছি, দোতলা বাড়ি করেছি শহরে।"

শহিদ উল্লাহ আর আবদুর রহমানই নয়, নন-ব্র্যান্ড কাঠের ফার্নিচার শিল্প এভাবে আরও অনেক মানুষেরই জীবন বদলে দিয়েছে, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃ্দ্ধি পাওয়ায় এখন ফার্নিচারের চাহিদাও বেড়েছে। 

উদ্যোক্তারা বলছেন সরকারি নীতির সহায়তা পেলে ব্র্যান্ডেড ফার্নিচার কোম্পানির সাথে সাথে এই শিল্পও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সহায়ক হতে পারে, কারণ বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব পণ্যের চাহিদা বাড়ছে।

খাত সংশ্লিষ্টদের তথ্যানুযায়ী, দেশের প্রায় ৯৫% নন-ব্র্যান্ড আসবাবপত্র এসব ক্ষুদ্র কারখানায় তৈরি নির্মিত হয়। তাদের বাদ দিয়ে ছোট ও মাঝারি পর্যায়ের কারখানার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ছয় হাজার। এর বাইরে সারাদেশে প্রায় ৬৫০০টি এসব নন ব্র্যান্ড ফার্নিচার কারখানা গড়ে উঠেছে। 

এরমধ্যে চট্টগ্রামের মীরসরাই বলিরহাটের বর্তমানে সাড়ে ৪ হাজারেরও অধিক, সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার ছালাভরা গ্রামে প্রায় ২০০, পঞ্চগড় সদরে প্রায় ১৫০, শেরপুর সদর উপজেলায় গড়ে উঠেছে ৩০০, পিরোজপুরে ৪০০, টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ধলাপাড়া ১০০, বগুড়ার নন্দীগ্রামে প্রায় ৩০০টির মতো ছোট-বড় রেডিমেড ফার্নিচার কারখানা। লক্ষীপুরে ২০০ টি কারখানা, ফেনীতে ১৫০ টি কারখানা গড়ে উঠেছে।

এছড়াও কুষ্টিয়ার শহরের গড়ে উঠেছে প্রায় ৩০০ টি কারখানা, নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ১০০টি, এবং চট্টগ্রামের উখিয়ার হলদিয়া-পার্বতীপুরে প্রায় শতাধিক কারখানা ঘরে উঠেছে।

আন্তর্জাতিক বাজার গবেষণা সংস্থা গ্র্যান্ড ভিউ রিসার্চের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে ফার্নিচারের বিশ্ববাজারের আকার ৫৬০ বিলিয়ন ডলার।

এসএমই ফাউন্ডেশনের তথ্য মতে, কম করে হলেও বার্ষিক ২৫ হাজার কোটি টাকার বাজার দেশের ফার্নিচার খাতের, এরমধ্যে নন-ব্র্যান্ড ফার্নিচারের বাজারের বাজার ৫০ শতাংশের বেশি। 

৪ লাখের বেশি মানুষ এ খাতে কর্মসংস্থানে নিয়োজিত। এ খাতে সবচেয়ে বেশি বিস্তৃতি ঘটেছে ৯০ এর দশকের পর থেকে।

তবে ব্র্যান্ড ফার্নিচারের উদ্যোক্তারা মনে করেন, দেশে এখন আসবাবপত্রের বাজার প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার মতো। এই খাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি প্রায় ৩০ শতাংশ। গত ১০ বছরে ফার্নিচারের রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ১০ গুণ।

তারা বলছেন, কাঠের পরিবেশবান্ধব ফার্নিচারের প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেশিরভাগ ক্রেতা রেডিমেইড ফার্নিচারের দিকে ঝুঁকছেন। 

ব্যবসায়ীরা জানান, দেশীয় কাঠের, সরকারি অকশনের কাঠ ছাড়াও নেপাল, ভারত, মালয়েশিয়া, আফ্রিকা থেকেও কাঠ আমদানি করে থাকেন কিছু কিছু নন-ব্র্যান্ড উদ্যোক্তারা। 

তারা জানান, এসব কারখানার মালিকরা প্রায় সবাই কারিগর থেকে বর্তমানে মালিক হয়েছেন, ফলে তারা নিজেরাই কারখানার নতুন শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। এভাবেই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শ্রমিকরা কয়েক বছরে দক্ষ কারিগর হয়ে হয়ে গড়েন।

সাধারণত কারখানা মালিকদের অনেকের নিজস্ব দোকান বা শো-রুম আছে। তারা সেসব শো-রুম, দোকানে নিজস্ব তৈরি পণ্য বিক্রয় করে থাকে। উদ্যোক্তাগণ ক্রেতার কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে পণ্য উৎপাদন করে থাকেন। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা তাদের কাছ থেকে কিছু পণ্য সরাসরি ক্রয় করে থাকে।

রফিকুল ইসলাম দীর্ঘ ৮ বছর ধরে এ শিল্পে ফার্নিচার মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করেন। 

তিনি টিবিএসকে বলেন, আমার দৈনিক ৫০০-৬০০ টাকা আয় হয়, কোনো দিন যদি কাজের চাপে রাতে ওভার টাইম কাজ করি তাহলে ওইসব দিনে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা আয় হয়।

তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন- এলাকার অনেক শ্রমিক-কারিগর প্রবাসে উচ্চ বেতনে চলে যাওয়ায় দিন দিন দক্ষ মিস্ত্রি-কারিগরের সংকট তৈরি হয়েছে।

এ ব্যাপারে ফার্নিচার ফেনীর ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন বলেন, "এখান থেকে ফার্নিচার বানানোর কাজ শিখে মিস্ত্রিদের অনেকে মধ্যপ্রাচ্যে, মালয়েশিয়ায় চলে গেছে। ফলে আমরা এখানে মিস্ত্রি সংকটে পরেছি, আর নতুন করে শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না খুবই কম, যারা আসে তারা তো ৪-৫ বছর কাজ শেখার আগে দক্ষ মিস্ত্রি হতে পারে না।"

লক্ষীপুর জেলার শাহীন ফার্নিচারের স্বত্বাধিকারী তোফায়েল আহমেদ বলেন, "সরকারের উচিত এখানকার শ্রমিক ঘাটতি পূরণের জন্য বেশি সংখ্যাক শ্রমিককে এসএমই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়ে কারিগর বানানো,উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে ব্যাংক লোক দেওয়া। উন্নত মেশিনারি প্রযুক্তি, জিজাইন ইত্যাদি সহযোগিতা দিলে এ শিল্পের স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে এক সময় বিদেশেও ফার্নিচার রপ্তানি করতে পারবে।"

স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি গত কয়েক বছর ধরে ফার্নিচার রপ্তানির পরিসংখ্যান নতুন সম্ভাবনার বার্তা দিচ্ছে। এ শিল্প থেকে চীন ধীরে ধীরে সরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। বিশ্ববাজারে ফার্নিচারের সিংহভাগ সরবরাহকারী চীন গুটিয়ে নিচ্ছে তাদের ব্যবসা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্র্যান্ডেড এবং নন-ব্র্যান্ড ফার্নিচার আরএমজির মতো আমাদের শীর্ষ রপ্তানি পণ্য হতে পারে যদি আমরা এই খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারি।

এসএমই'র এই ক্ষুদ্র নন-ব্র্যান্ড ফার্নিচার শিল্প নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করে আসছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্গ্যানাইজেশন স্ট্র‍্যাটেজি অ্যান্ড লিডারশিপ (ওএসএল) বিভাগের অধ্যাপক ড শরিয়ত উল্লাহ। 

তিনি বলেন, "দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ ফার্নিচার কারখানাই মাইক্রো লেভেলের । তাই এসব কারখানা তেমন মালিক সমিতি-সংগঠন নেই, যার ফলে পরিসংখ্যান না থাকায় এসব কারখানায় সরকারি-বেসরকারি তেমন সাপোর্ট পৌছায় না। তবে এই পরিবেশবান্ধব খাতটি খুবই সম্ভাবনাময়।"

তিনি আর বলেন, "সরকারি সুনজরের পাশাপাশি যদি বড় ব্র্যান্ড ফার্নিচার প্রতিষ্ঠানগুলো নন-ব্র্যান্ড (মাঝারি, ছোট, ক্ষুদ্র) কারখানাগুলোকে কন্ট্রাক্ট ম্যানুফেকচারিংয়ের আওতায় নিয়ে আসে তাহলে ব্র্যান্ড কোম্পানিগুলোর যেমন রপ্তানি বাড়বে,তেমনি নন-ব্র্যান্ড কারখানারও বিস্তৃতি বাড়বে, এ খাত আরও তখন দুই-তিনগুন বড় হবে।"

এ ব্যাপারে এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোঃ মুফিজুর রহমান বলেন, "বর্তমানে দেশ-বিদেশে মানুষ পরিবেশবান্ধব পন্যের দিকে ঝুঁকছে, সেই হিসেবে প্লাস্টিকের চেয়েও কাঠের ফার্নিচার পরিবেশ সম্মত হওয়ায় আগামীতেও এর চাহিদা বাড়বে।"

"ইতোমধ্যে সারাদেশে এসব স্বতঃস্ফূর্তভাবে গড়ে উঠা বেশ কিছু ক্লাস্টারে আমরা সম্ভাব্যতা যাচাই গবেষণা করেছি। সামনে কারিগর শ্রমিকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।"

ব্যাংকগুলোকে উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেন তিনি।

Link to comment
Share on other sites

  • 1 month later...
  • Elite Members
  • 1 month later...
  • Elite Members

https://www.prothomalo.com/business/twjmdu714e

বাংলাদেশের আসবাবশিল্পে হাতিলের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ

বিজ্ঞাপন বার্তা

প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২২, ১৭: ০০

1.jpg?auto=format,compress&format=webp&w

বাংলাদেশের বেশির ভাগ আসবাব–ব্র্যান্ড স্বাধীনতার পর থেকে বিকাশ লাভ শুরু করে। গার্মেন্টসশিল্পের মতো আসবাবশিল্পও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও কর্মসংস্থান তৈরির মাধ্যমে। এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০১২-১৩ অর্থবছরের তুলনায় বাংলাদেশে এখন রপ্তানি বেড়েছে ২৫১ শতাংশ, যার পরিমাণ প্রায় ৩১ দশমিক ৪১ মিলিয়ন ডলার। ২৫ লাখের বেশি মানুষ এই শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত।

বিশ্বের সব জায়গায়ই আবাসনের চাহিদা পূরণের পরই যে চাহিদার সৃষ্টি হয়, তা হলো আসবাব। বর্তমানে একক পরিবারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফ্ল্যাটের আকারও ছোট হয়ে আসছে। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক প্রসারের কারণে আধুনিক বিশ্বের নিত্যনতুন ট্রেন্ডগুলো মানুষ গ্রহণ করছে খুব সহজেই। ক্রেতার চাহিদা ও রুচির পরিবর্তন হচ্ছে প্রতিনিয়ত, খুব দ্রুত। মানুষ এখন স্লিম ও সিম্পল ডিজাইনের ফার্নিচার পছন্দ করছে। মাল্টিফাংশনাল আসবাবগুলোও এখন ক্রেতাদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে থাকছে। দ্রুত পরিবর্তনশীল এই রুচি আর চাহিদার সঙ্গে তাল মেলাতে হাতিলও নিত্যনতুন আর উদ্ভাবনী ডিজাইনের আসবাব তৈরির জন্য রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্টের ওপর আগের থেকে বেশি জোর দিচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আধুনিক, স্লিম ও রুচিসম্মত ডিজাইনের আসবাব নিয়ে আসছে হাতিল।

2.jpg?auto=format,compress&format=webp&w

 

তিন দশক ধরে ক্রেতাদের আসবাবের চাহিদা ও রুচির দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে হাতিল। ফলে আসবাবজগতে হাতিল একটি সুপরিচিত ও বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিতি পায় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত ও রুচিশীল ডিজাইনের মাধ্যমে। বর্তমানে দেশব্যাপী হাতিলের ৭২টির বেশি বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে। বাংলাদেশে ভালো একটি অবস্থান তৈরির পাশাপাশি এই ব্র্যান্ডটি আন্তর্জাতিক আসবাব–বাজারেও সুনামের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করছে। অতিসম্প্রতি হাতিল ভারতে তাদের ২৬তম বিক্রয়কেন্দ্র উদ্বোধন করেছে। ভুটানেও রয়েছে হাতিলের দুটি বিক্রয়কেন্দ্র। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, থাইল্যান্ড, মিসর, রাশিয়া, সৌদি আরব, কুয়েত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতেও রপ্তানি হচ্ছে হাতিলের আসবাব।

হাতিল তার নিজস্বতা ধরে রেখে দেশীয় বাজারের জন্য যে আসবাব তৈরি করছে, বিদেশেও একই আসবাব রপ্তানি করছে নিজস্ব ব্র্যান্ডিংয়ে। জিডিপিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য সরকার এই শিল্পকে ‘থ্রাস্ট সেক্টর’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। দেশীয় বাজারে আন্তর্জাতিক মানের আসবাব তৈরি হওয়ায় আসবাব আমদানির পরিমাণও হ্রাস পাচ্ছে প্রতিবছর। এ কারণেই হাতিল ‘বেস্ট ইন ইমপোর্ট সাবস্টিটিউশন’ ক্যাটাগরিতে অর্জন করেছে ‘সেকেন্ড এইচএসবিসি বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’।

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা জোগানের জন্য হাতিলের আসবাব তৈরি হয় হাতিলের নিজস্ব কারখানায়। সাভারের জিরানীতে অবস্থিত কারখানাটিতে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক প্রতিদিন কাজ করেন। হাতিলের কারখানাটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ আসবাব তৈরির কারখানা, যেখানে আসবাব তৈরিতে সর্বাধুনিক ইউরোপিয়ান প্রযুক্তির মেশিনারিজের পাশাপাশি রোবটেরও ব্যবহার হয়ে থাকে। ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ও ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটির মতো অত্যাধুনিক সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে ক্রেতার আসবাব ক্রয়কে আরও সহজতর করেছে হাতিল।

3__1_.png?auto=format,compress&format=we

হাতিল বাংলাদেশের একটি ISO 9001: 2015 সার্টিফায়েড প্রতিষ্ঠান এবং এই সার্টিফিকেট কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মান। পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় হাতিল ‘এফএসসি সার্টিফায়েড’ বন থেকে কাঠ সংরক্ষণ করে থাকে, যাতে গাছ কাটার ফলে পরিবেশে বিরূপ প্রভাব না পড়ে। তা ছাড়া আসবাব তৈরিতে কাঠের অব্যবহৃত অংশ আধুনিক প্রযুক্তির রিসাইক্লিং–ব্যবস্থার মাধ্যমে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে থাকে ব্র্যান্ডটি।

যেসব প্রতিষ্ঠান ব্যবসায়িক অনুশীলনে পরিবেশবান্ধব এবং পরিবেশগতভাবে দায়িত্বশীল প্রক্রিয়া বা প্রযুক্তি গ্রহণ করে ব্যবসা পরিচালনা করে, সেগুলোর মধ্যে হাতিলও রয়েছে। গ্রিন অপারেশনের জন্য ২০১৩ সালে ‘এইচএসবিসি–দ্য ডেইলি স্টার ক্লাইমেট অ্যাওয়ার্ড’ পায় হাতিল।

গ্রিন অপারেশনের অংশ হিসেবে হাতিল ‘গ্রিন অ্যানার্জি প্রজেক্ট’ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এই প্রজেক্টের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য হাতিলের কারখানার ছাদে সোলার প্যানেল স্থাপন করা হবে, যা জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুতের ওপরও চাপ কমাবে।

Link to comment
Share on other sites

Create an account or sign in to comment

You need to be a member in order to leave a comment

Create an account

Sign up for a new account in our community. It's easy!

Register a new account

Sign in

Already have an account? Sign in here.

Sign In Now
×
×
  • Create New...