Jump to content
Please ensure regular participation (posting/engagement) to maintain your account. ×
The Bangladesh Defence Analyst Forum

Remittance and foreign currency reserves of Bangladesh


Recommended Posts

  • Elite Members

https://bonikbarta.net/home/news_description/322503

১৪ হাজার কেজি স্বর্ণ আছে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে

হাছান আদনান

ডিসেম্বর ০৩, ২০২২

https://bonikbarta.net/uploads/news_image/news_322503_1.jpg?t=1677081561

রিজার্ভ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে মজুদ আছে ১৪ হাজার ৩৩ কেজি স্বর্ণ। তবে এর মাত্র ১৭ শতাংশ জমা আছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে। রিজার্ভে থাকা স্বর্ণের ৪২ শতাংশই গচ্ছিত আছে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডে। বাকি ৪১ শতাংশ বিনিয়োগ করা হয়েছে লন্ডনের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও এইচএসবিসি ব্যাংকের মাধ্যমে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভে থাকা স্বর্ণের মূল্য নির্ধারণ হয়েছে ৭ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা। স্বর্ণ ছাড়াও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে রিজার্ভ হিসেবে রুপা রয়েছে ৫ হাজার ২৪৮ কেজি। বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২১-২২ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

 

চলতি বছরের ৩০ জুনের তথ্য অনুযায়ী, রিজার্ভ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ের ভল্টে স্বর্ণ রয়েছে ২ হাজার ৩৬৩ কেজি। আর ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের ভল্টে জমা আছে ৫ হাজার ৮৭৬ কেজি স্বর্ণ। বাকি ৫ হাজার ৭৯৪ কেজি স্বর্ণ লন্ডনের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও এইচএসবিসি ব্যাংকে বিনিয়োগ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে রিজার্ভ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মজুদকৃত স্বর্ণের পরিমাণ ১৪ হাজার ৩৩ কেজি।

একই দিনে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৪ হাজার ১৮৬ কোটি বা ৪১ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার। ওই দিন ডলারের বিনিময় হার ছিল ৯৩ টাকা ৪৫ পয়সা। সে অনুযায়ী টাকার অংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৯১ হাজার ২২৮ কোটি টাকা। বৈদেশিক মুদ্রা হিসেবে উল্লেখ করা হলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের একটি অংশ থাকে স্বর্ণ ও রুপায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, রিজার্ভে থাকা স্বর্ণের হিসাব শুধু ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। লন্ডনের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক এবং এইচএসবিসির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক মজুদকৃত স্বর্ণের একটি অংশ বিনিয়োগ করে। এ বিনিয়োগ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক মুনাফা পায়।

চাওয়া মাত্র বৈদেশিক মুদ্রায় রূপান্তর করা যায়, এমন সম্পদকে রিজার্ভ হিসেবে গণনা করা হয় বলে জানালেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. মো. হাবিবুর রহমান। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘রিজার্ভের বাইরেও বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্পদ রয়েছে। রিজার্ভ হিসেবে ততটুকুই গণনা করা হয়, যা চাওয়া মাত্র বৈদেশিক মুদ্রায় রূপান্তর করা যায়। রিজার্ভের ভিত মজবুত করার জন্য প্রায় সব দেশই স্বর্ণ মজুদ রাখে। এক্ষেত্রে পছন্দের শীর্ষে থাকে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। বাংলাদেশের মজুদকৃত স্বর্ণেরও বড় অংশ ব্যাংক অব ইংল্যান্ডে গচ্ছিত রয়েছে।

তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, রিজার্ভের অংশ হিসেবে থাকা স্বর্ণের বাইরেও বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে প্রায় ৩ হাজার কেজি স্বর্ণ রয়েছে। এ স্বর্ণের কোনো অংশই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিবেদনের অন্তর্ভুক্ত নয়। চোরাচালানসহ বিভিন্ন সময়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও কাস্টমসের জব্দ করা স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখা হয়। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কেবল কাস্টডিয়ান হিসেবে ভূমিকা রাখে। আইনি নিষ্পত্তি শেষে কোনো স্বর্ণ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হলে সেটি স্থায়ী খাতে স্থানান্তর করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিশুদ্ধ স্বর্ণের বার হিসেবে থাকলে সেটি বাংলাদেশ ব্যাংক নিজেই কিনে নিয়ে রিজার্ভে অন্তর্ভুক্ত করে। আর অলংকার হিসেবে থাকলে নিলামের মাধ্যমে বাজারে বিক্রি করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অস্থায়ী খাতে ২ হাজার ৮৫০ কেজি স্বর্ণ রয়েছে। আর স্থায়ী খাতে স্বর্ণ রয়েছে প্রায় ১৫০ কেজি।

গত এক বছরে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কয়েক দফায় বেড়েছে। এ কারণে রিজার্ভে থাকা স্বর্ণের মূল্যমানও বাড়িয়ে দেখিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০২১ সালের ৩০ জুন রিজার্ভে থাকা স্বর্ণের মূল্য ছিল ৬ হাজার ৭১৬ কোটি টাকা। চলতি বছরের ৩০ জুন রিজার্ভের স্বর্ণের মূল্য ৭ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা দেখিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের স্বর্ণের দাম ৯৪৪ কোটি টাকা বেড়েছে।

প্রায় দেড় বছর ধরে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আমদানি ঋণপত্রের (এলসি) দায় পরিশোধের জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে রিজার্ভ বিক্রি করা হচ্ছে। শুধু চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসেই (জুলাই-নভেম্বর) রিজার্ভ থেকে বিক্রি করা হয়েছে ৬০৫ কোটি ডলার। গত অর্থবছরেও রিজার্ভ থেকে প্রায় সাড়ে ৭ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছিল। গত বছরের আগস্টে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলার। বৃহস্পতিবার রিজার্ভের পরিমাণ ৩৩ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। এ হিসাবে এক বছরেরও কম সময়ে রিজার্ভের পরিমাণ প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলার কমেছে। ধারাবাহিকভাবে রিজার্ভ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রি করা হলেও এ সময়ে মজুদ থাকা কোনো স্বর্ণ বিক্রি করেনি বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বণিক বার্তাকে বলেন, একসময় স্থানীয় মুদ্রা ছাপাতেও স্বর্ণের মজুদ থাকতে হতো। কিন্তু বেশ আগেই বিশ্ব অর্থনীতিতে স্বর্ণের গুরুত্ব কমে এসেছে। এখন টাকার মতো স্থানীয় মুদ্রা ছাপাতে স্বর্ণের মজুদ থাকার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে রিজার্ভ হিসেবে স্বর্ণের গুরুত্ব এখনো একেবারে হারিয়ে যায়নি। বিশ্বের শক্তিশালী অর্থনীতির দেশগুলো স্বর্ণের মজুদ বাড়াচ্ছে। যদিও আইএমএফ নিজেই অনেক স্বর্ণ বাজারে বিক্রি করে দিয়েছে।

রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে ডলারের বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দিতে হবে বলে মনে করেন ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বিনিময় হার নিয়ে চাপাচাপির কারণে রেমিট্যান্স হুন্ডিতে চলে যাচ্ছে। এ কারণে দেশে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহে পতন হয়েছে। আবার রফতানি আয়ও কমে যাচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান দুই মাধ্যমই এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশের অর্থনীতির ক্ষত আরো গভীর হবে।

Link to comment
Share on other sites

  • 2 months later...
  • Elite Members

https://www.tbsnews.net/bangla/বাংলাদেশ/news-details-143454

কামরান সিদ্দিকী

13 April, 2023, 01:20 pm

Last modified: 18 April, 2023, 01:04 pm

বিদেশে কর্মী নিয়োগ বাড়ছে, গত বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে

গত বছর বাংলাদেশ রেকর্ড ১১.৩৫ লাখ কর্মী বিদেশে পাঠিয়েছে। কর্মী পাঠানোর বর্তমান ক্রমবর্ধমান ধারা অব্যাহত থাকলে এ বছর বাংলাদেশ গেল বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন জনশক্তি রপ্তানিকারকরা। 

চলতি বছরের প্রথম তিনমাসে বিদেশে বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মীদের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারে বেড়েছে। নিয়োগকারীদের আশা, এই ধারা অব্যাহত থাকলে এ বছর বিদেশে কর্মী পাঠানোর সংখ্যা গত বছরের সর্বোচ্চ রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। 

চলতি বছরের প্রতিমাসেই বিদেশে কর্মী পাঠানোর সংখ্যা বেড়েছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে মাসিক রেমিট্যান্স আয়ের পরিমাণও। ছয় মাস পর চলতি বছরের মার্চে দেশের রেমিট্যান্স আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ বিলিয়ন ডলারে।

এ বছরের প্রথম তিন মাসে দেশ থেকে প্রায় ৩.২৩ লাখ কর্মী বিদেশে গিয়েছেন। এরমধ্যে জানুয়ারিতে গিয়েছেন প্রায় ১.০৪ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ১.০৯ এবং মার্চে গিয়েছেন ১.০৯ লাখ। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুসারে, মাসভিত্তিতে অভিবাসী কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধির হার জানুয়ারিতে ছিল ৬.২০ শতাংশ, ফেব্রুয়ারিতে ৪.৩৫ শতাংশ এবং মার্চে ছিল ০.৩৫ শতাংশ।

গত বছর বাংলাদেশ রেকর্ড ১১.৩৫ লাখ কর্মী বিদেশে পাঠিয়েছে। কর্মী পাঠানোর বর্তমান ক্রমবর্ধমান ধারা অব্যাহত থাকলে এ বছর বাংলাদেশ গেল বছরের রেকর্ড ভাঙতে সক্ষম হবে বলে আশা করছেন জনশক্তি রপ্তানিকারকরা। 

মালয়েশিয়ার বাজার পুনরায় খুলে দেওয়ায় সম্প্রতি বিদেশে কর্মী পাঠানোর সংখ্যা বেড়েছে। সৌদি আরবের পর একমাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ দিয়েছে মালয়েশিয়া। 

চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছেন প্রায় ১.২২ লাখ (৩৮ শতাংশ) কর্মী; আর মালয়েশিয়াতে গিয়েছেন ৮২,৯৮৩ জন (২৬ শতাংশ)।
এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, ইতালি এবং যুক্তরাজ্যে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধিও চলতি বছরে অভিবাসী শ্রমিকদের সংখ্যা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

growth_in_number_of_migrant_workers-ai.j

বিএমইটির তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালের প্রতিমাসে ৯৩,৭৫০ জন কর্মী বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন, যেখানে কোভিড পূর্ববর্তী সময়ে এই সংখ্যা ছিল প্রায় ৭০,০০০।

রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর মতে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশি কর্মীরা মালয়েশিয়ায় যেতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। কারণ এই দেশের আবহাওয়া প্রায় বাংলাদেশের মতোই এবং বেতনও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যদেশের তুলনায় বেশি।

মালয়েশিয়া সরকারের নতুন বেতন কাঠামো অনুযায়ী, দেশটিতে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত একজন কর্মী মাসিক কমপক্ষে ১,৫০০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৭,০০০ টাকা) বেতন পাবেন। অন্যদিকে, সৌদি আরবে স্বল্প-দক্ষ বা অদক্ষ শ্রমিকরা বেতন পান ২৫,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা।

বর্তমানে মালয়েশিয়ায় কৃষি, উত্পাদন, পরিষেবা, খনি, নির্মাণ ও গৃহস্থালি পরিষেবাসহ সব সেক্টরেই বাংলাদেশি কর্মীদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

"সৌদি আরবে অভিবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকরা মূলত নির্মাণ ও পরিচ্ছন্নতা খাতে এবং হোটেল ও রেস্টুরেন্টে কাজ করেন। এছাড়া, কিছু সংখ্যক স্বল্পদক্ষ কর্মী যেমন- প্লাম্বার, ইলেকট্রিশিয়ান এবং ড্রাইভারও সেখানে নিয়োগ পাচ্ছেন," বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা)-এর সেক্রেটারি-জেনারেল আলী হায়দার চৌধুরী টিবিএসকে এ কথা বলেন। 

সৌদি আরবে অভিবাসী অনেক শ্রমিক চুক্তি অনুযায়ী কাজ পাচ্ছেন না এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, "এই সংখ্যাটা সেখানে মোট বাংলাদেশি শ্রমিকের ০.১%-এর বেশি হবে না। মূলত, যারা আত্মীয়-স্বজনদের সহায়তায় তথাকথিত 'ফ্রি ভিসায়' যাচ্ছেন, তারাই এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।"

মধ্যপ্রাচ্যের বাইরেও বাড়ছে কর্মসংস্থানের সুযোগ 

মালয়েশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, যুক্তরাজ্য ও ইতালিসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে বিগত বছরের তুলনায় এ বছর বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ছে।

বাংলাদেশ থেকে গত তিনমাসে দক্ষিণ কোরিয়া ১,৬৯৮ জন কর্মী নিয়োগ দিয়েছে। গত বছর মোট নিয়োগ পেয়েছিল ৫,৯১০ জন কর্মী।

এদিকে, যুক্তরাজ্যে গত বছর পাড়ি দিয়েছিলেন ৯৪২ বাংলাদেশি কর্মী; আর এ বছরের প্রথম তিন মাসেই সে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৭১ জনে।

ইউরোপে কর্মী প্রেরণকারী সংস্থা ইনফিনিটি এইচসিএম-এর সিইও সিরাজুল আমিন বলেন, যুক্তরাজ্যে প্রধানত বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পেশাজীবী যেমন- ডাক্তার, প্রকৌশলী এবং আইটি পেশাদারদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, ইতালি নিয়োগ দিচ্ছে মৌসুমী কৃষি শ্রমিক।

এই দুই দেশ ছাড়াও প্রতিমাসে কিছু সংখ্যক কর্মী রোমানিয়া, বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, পোল্যান্ড, সার্বিয়া, হাঙ্গেরি, মাল্টা ও আলবেনিয়ায় পাড়ি জমাচ্ছেন।

এশিয়ার দেশ জাপানে দক্ষ কর্মীর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এ বছরের প্রথম তিনমাসে বাংলাদেশ থেকে ১৯৩ জন কর্মী জাপানে গিয়েছেন। বিএমইটির আশা, চলতি বছরে এই সংখ্যা হাজার ছাড়াবে। 

সংস্থাটির তথ্যমতে, ২০২২ সালে ৫০৮ জন কর্মী নিয়োগ পেয়েছিলেন জাপানে, যা ছিল এক বছরে সর্বোচ্চ।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় জাপানে নার্সিং, কৃষি, পরিচ্ছন্নতা এবং নির্মাণখাতে 'স্পেসিফাইড স্কিল্ড ওয়ার্কার্স' (এসএসডব্লিউ) নিয়োগের জন্য এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দক্ষতা যাচাই পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করেছে।

জাপানে কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে ও এক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতে গতমাসে সরকার জাপানে অভিবাসনের খরচ নির্ধারণ করে দিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে জাপানে যেতে এখন অভিবাসন খরচ হবে প্রায় ১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।

বাড়ছে রেমিট্যান্স প্রবাহ

অভিবাসী শ্রমিকের সংখ্যা বাড়লেও গত বছর কিছু সময়ের জন্য দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ তুলনামূলকভাবে কম ছিল। বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) রেমিট্যান্স রেট ১০৭ টাকায় কমিয়ে আনার পর, গেল বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ৬ মাস পর্যন্ত মাসিক রেমিট্যান্স প্রবাহ নেমে গিয়েছিল ২ বিলিয়ন ডলারের নিচে।

তবে চলতি বছরের মার্চে মাসিক রেমিট্যান্স প্রবাহ আবারও বেড়ে ২ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের ব্যাংকগুলো এখন ডলারপ্রতি ১১৭ টাকা করে দেওয়া শুরু করায় রেমিট্যান্স প্রবাহ পুনরায় বেড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, মার্চে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ২৯.২৯ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ১.৫ বিলিয়ন ডলার। 

এদিকে, গত ১০ এপ্রিল পাকিস্তনের গণমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, রমজান এবং ঈদ উপলক্ষে এ বছরের মার্চে পাকিস্তানে রেমিট্যান্স প্রবাহ বিগত সাত মাসের সর্বোচ্চ হয়েছে। আড়াই বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে রেমিট্যান্স। 

এছাড়া প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিদেশে অবস্থানরত নন-রেসিডেন্ট পাকিস্তানীরা এবার বৈধ চ্যানেলে দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে। আন্তঃব্যাংক ও খোলা বাজারে হারের মধ্যে তারতম্যের কারণে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোয় দেশটিতে তুলনামূলকভাবে এবার রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল বেশি।

 

Link to comment
Share on other sites

  • 3 months later...
  • Elite Members

https://bangla.thedailystar.net/economy/news-507456

স্টার বিজনেস রিপোর্ট

সোমবার আগস্ট ২১, ২০২৩ ০৫:৪২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: সোমবার আগস্ট ২১, ২০২৩ ০৫:৪২ অপরাহ্ন

বাংলাদেশের ঋণের প্রথম কিস্তি ৫০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করল শ্রীলঙ্কা

অর্থনৈতিক সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশ থেকে নেওয়া ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণের প্রথম কিস্তি পরিশোধ করেছে।

 

অর্থনৈতিক সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশ থেকে নেওয়া ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণের প্রথম কিস্তি পরিশোধ করেছে।

আজ সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, গত ১৭ আগস্ট শ্রীলঙ্কা ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণের প্রথম কিস্তি হিসেবে ৫০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে।

তিনি বলেন, ৩০ আগস্টের মধ্যে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পরিশোধ করতে চেয়েছে। তারা এ বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুরো ঋণ পরিশোধের আশা প্রকাশ করেছে।  

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, মুদ্রা বিনিময় চুক্তি অনুযায়ী শ্রীলঙ্কাকে ২০২১ সালের ১৯ আগস্ট প্রথম ধাপে ৫০ মিলিয়ন ডলার, ৩০ আগস্ট দ্বিতীয় ধাপে ১০০ মিলিয়ন ডলার ও ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে তৃতীয় ধাপে ৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

Link to comment
Share on other sites

  • Elite Members

https://samakal.com/economics/article/2308192495/আগস্টের-২৫-দিনে-রেমিট্যান্স-এসেছে-১৩২-কোটি-ডলার

আগস্টের ২৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩২ কোটি ডলার

সমকাল প্রতিবেদক

 প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২৩ । ০০:০০ । প্রিন্ট সংস্করণ

চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্টে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স কমেছে। আগস্টের ২৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে মাত্র ১৩২ কোটি ডলার। এর মানে ব্যাংকিং চ্যানেলে দৈনিক গড়ে ৫ কোটি ২৯ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। আগের বছরের একই মাস ও আগের মাসের তুলনায় যা অনেক কম।

চলতি মাসের ২৫ দিনে যে রেমিট্যান্স এসেছে, বাকি ছয় দিনে একই হারে রেমিট্যান্স এলে মোট পরিমাণ দাঁড়াবে ১৬৪ কোটি ডলার। আগের বছরের একই মাস আগস্টে রেমিট্যান্স আসে ২০৪ কোটি ডলার। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে আসে ১৯৭ কোটি ডলার। অবশ্য জুলাই মাসের রেমিট্যান্সও ছিল আগের বছরের একই মাসের ২১০ কোটি ডলারের চেয়ে কম।

সংশ্লিষ্টরা জানান, আমদানির আড়ালে অর্থ পাচার ঠেকাতে এলসিতে কড়াকড়ি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন পাচারকারীদের বড় উৎস হয়ে উঠেছে হুন্ডি। বর্তমানে রেমিট্যান্স পেতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্ধারিত ১০৯ টাকার বেশি দর দিচ্ছে অনেক ব্যাংক। এর পরও হুন্ডিতে ব্যাপক চাহিদার কারণে আশানুরূপ রেমিট্যান্স পাচ্ছে না। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে রেকর্ড পরিমাণ জনশক্তি রপ্তানি হয়েছে।

বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে আমদানি কমানো হচ্ছে। গত অর্থবছরে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স বেড়েছে। এর পরও বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে সংকট কাটছে না। এই সংকটের অন্যতম কারণ হলো করোনার মধ্যে সস্তায় নেওয়া বিদেশি ঋণ পরিশোধ ব্যাপক বেড়েছে। আবার নানা কারণে নতুন ঋণ আসছে কম। বাজার ঠিক রাখতে চলতি অর্থবছরে এরই মধ্যে আরও দুই বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত অর্থবছরে বিক্রি করা হয় রেকর্ড ১৩ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার। এভাবে ডলার বিক্রির ফলে ধারাবাহিকভাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ২৩ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। ২০২১ সালের আগস্টে যা সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়িয়েছিল।

Link to comment
Share on other sites

  • Elite Members

https://www.tbsnews.net/bangladesh/bangladesh-expected-receive-imf-loans-2nd-instalment-november-690386

UNB

28 August, 2023, 07:05 pm

Last modified: 28 August, 2023, 07:09 pm

Bangladesh expected to receive IMF loan’s 2nd instalment in November

The entire amount of the IMF loan will be released to Bangladesh in seven instalments over three and a half years till 2026

 

Bangladesh is expected to receive the second instalment of the $4.7 billion loan from the IMF by November this year.

"Officials of the International Monetary Fund (IMF) visited Dhaka several times and found satisfactory achievement in different sectors. The second instalment of the loan will be released timely," a senior finance ministry official told UNB on Monday (28 August).

Meanwhile, Bangladesh made reforms in some sectors and updated the latest information in line with IMF's requirements. So there are no doubts about receiving the next instalment of the loan on time from the global lender, he said.

The forex reserves of Bangladesh Bank have fallen below the benchmark set by the IMF. There are concerns regarding the second instalment of the loan, Dr Ahsan H Mansur, former economist of IMF, said.

However, Bangladesh Bank believes that the second instalment of the loan will be released on time.

Recently, a Bangladesh delegation held several meetings with the IMF delegation. At the meeting, the IMF delegation assured that the second tranche of the loan would be released on time.

Bangladesh received $470.62 million last February as the first instalment of the IMF's loan.

The entire amount of the IMF loan will be released to Bangladesh in seven instalments over three and a half years till 2026.

Link to comment
Share on other sites

  • Elite Members

https://www.tbsnews.net/bangla/অর্থনীতি/news-details-165714

টিবিএস রিপোর্ট

01 September, 2023, 12:05 pm

Last modified: 01 September, 2023, 12:10 pm

দ্বিতীয় কিস্তিতে বাংলাদেশকে ১০০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করল শ্রীলঙ্কা

১০০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে নেওয়া ঋণের ৭৫ শতাংশ ফেরত দিল শ্রীলঙ্কা। এর আগে ২১ আগস্ট ৫০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়। 

 

১০০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে নেওয়া ঋণের ৭৫ শতাংশ ফেরত দিল শ্রীলঙ্কা। দুই বছর আগে কারেন্সি সোয়াপ চুক্তির আওতায় ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ নেয় দেশটি। এর আগে ২১ আগস্ট ৫০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়। 

শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'শ্রীলঙ্কা বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) আমাদের কাছে ১০০ মিলিয়ন ডলার ফেরত দিয়েছে। বাকি ৫০ মিলিয়ন ডলার তারা যথাসময়ে ফেরত দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রার সংকট কাটাতে ২০২১ সালের আগস্টে দেশের রিজার্ভ থেকে ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেয় বাংলাদেশ। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তার মতে, যদিও তিন কিস্তিতে নয় মাসের মধ্যে এই ঋণ পরিশোধের কথা ছিল। তবে আর্থিক সংকটে পড়া শ্রীলঙ্কার সুবিধার্তে পরিশোধের সময় তিনবার বাড়িয়ে ২৭ মাস করা হয়েছে। 

বর্ধিত মেয়াদ সেপ্টেম্বরে শেষ হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা। 

চুক্তি অনুযায়ী, ঋণের বিপরীতে শ্রীলঙ্কা লন্ডন ইন্টারব্যাংক অফার রেট (লিবোর) এর পাশাপাশি বাংলাদেশকে ১.৫ শতাংশ সুদ প্রদান করার কথা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, চুক্তি অনুসারে প্রথম কিস্তিতে শ্রীলঙ্কা ১.৫ শতাংশ সুদের পাশাপাশি বর্তমান ৫.৪ শতাংশ লিবোর হার প্রদান করেছে।  

দেশটি আরও ৫০ মিলিয়ন ডলার ফেরত দেওয়ার কথা রয়েছে।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ঘাটতির কারণে দ্বীপরাষ্ট্রটি ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল। শ্রীলঙ্কা এখন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ২.৯ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেওয়ার জন্য আলোচনা করছে। 

আইএমএফের বেলআউটের জন্য অপরিহার্য হলো বহিরাগত ঋণ পুনর্গঠন করা, যা সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।

শ্রীলঙ্কা সম্প্রতি জানিয়েছে, দেশের মূল্যস্ফীতি ৬.৩ শতাংশে নেমে এসেছে। এর মাধ্যমে দুই বছরের মধ্যে প্রথমবার মূল্যস্ফীতি এককের ঘরে নেমেছে। 

পর্যটন ও রেমিটেন্স থেকে আসা ডলারের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা বেড়েছে। বিষয়টি ঋণ পুনর্গঠনের মাধ্যমে আইএমএফের বেলআউট পেতে দেশটিকে সহায়তা করবে আশা করা হচ্ছে। 

Link to comment
Share on other sites

  • 3 months later...
  • Elite Members

https://www.tbsnews.net/bangla/অর্থনীতি/news-details-184058

টিবিএস রিপোর্ট

03 December, 2023, 06:25 pm

Last modified: 03 December, 2023, 06:32 pm

নভেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৯৩ বিলিয়ন ডলার, ২১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

 

নভেম্বরে প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১.৯৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি।

ব্যাংকগুলো প্রাবাসীদের কাছ থেকে বেশি দামে রেমিট্যান্স কেনায় এবং বিদেশে প্রবাসীদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় রেমিট্যান্স বাড়ছে বলে মনে করছেন ব্যাংকাররা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুসারে, অক্টোবরে দেশে ১.৯৮ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল, যা চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। ডলারের দাম বাড়ায় এবং সরকার রেমিট্যান্সে প্রণোদনা দেওয়ায় ওই মাসে প্রবাসী আয় বাড়ে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরে প্রবাসীরা ৬৪৩ মিলিয়ন ডলার বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। সে হিসাবে সেপ্টেম্বরের চেয়ে অক্টোবরে প্রবাসী আয় বেড়েছে ৪৮.২ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স প্রবাহ ৪১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন ১.৩৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল।

এ বছর রেকর্ডসংখ্যক বাংলাদেশির বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে। 

জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুসারে, এ বছরের ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত ১২ লাখের বেশি বাংলাদেশি কর্মী বিদেশে গেছেন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ১১ লাখ ৩৫ হাজার। 

প্রসঙ্গত, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ( জুলাই-অক্টোবর) রেমিট্যান্স এসেছে ৬.৮৮ বিলিয়ন ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৭.১৯ বিলিয়ন ডলার।

Link to comment
Share on other sites

  • 2 weeks later...
  • Elite Members

https://www.thedailystar.net/business/news/imf-adb-loans-boost-reserves-dec-bangladesh-bank-3493571

Star Business Report

Wed Dec 13, 2023 05:07 PM
Last update on: Thu Dec 14, 2023 12:11 AM

IMF, ADB loans to boost reserves in Dec: Bangladesh Bank

IMF will give $689 million, ADB $400 million and other sources $220 million

forex_r.jpg

 

Bangladesh's foreign exchange reserves will increase in December as the country is set to receive $1.31 billion in loans from various sources, including $689 million from the second tranche of the International Monetary Fund (IMF), a central banker said yesterday.

The Washington-based lender on Tuesday approved the second tranche as part of the $4.7 billion credit programme.

"The $689 million will be added to the forex reserves by December 15," Bangladesh Bank Executive Director and Spokesperson Md Mezbaul Haque said at a press briefing at the central bank headquarters in Dhaka yesterday.

Bangladesh is going to receive $400 million from the Asian Development Bank next week.

Another $90 million will come from South Korea and an additional $130 million from other sources, Haque said.

The reserve stood at $19.13 billion on December 6, which was $46.4 billion in 2020-21, the highest on record.

"We expect that the expenditure from reserves will be lower than the amounts we are receiving. This will help it accumulate. Therefore, the reserves will increase this month."

Seeking anonymity, a senior official of the BB said the central bank is aiming to keep the reserve level stable until the national election slated for January 7.

The BB has continued to sell the US dollar to banks, supplying about $5 billion between July 1 and November 28.

The BB sells about $60 million each working day, mostly to the state-run banks to help them settle import bills of government agencies such as the Bangladesh Petroleum Corporation, the Bangladesh Agricultural Development Corporation, and the Bangladesh Chemical Industries Corporation.

Replying to a question, the BB spokesman said that the central bank is following a tight monetary policy to control the skyrocketing inflation.

"Curbing inflation is our first priority, so our policy measures are all aimed at fighting it."

Inflation stood at 9.49 percent in November, according to the Bangladesh Bureau of Statistics, way higher than the government target of 6 percent for the current financial year.

Haque also said that the central bank has continued its efforts to make the foreign exchange rate market-based.

"Our current account balance is now in surplus, but the financial account is still in negative territory and we will have to work on it."

At the end of October, the deficit in the financial account stood at $3.96 billion, in contrast to a surplus of $1.27 billion during the same period a year earlier, BB data showed.

Between July and October, the current account balance was $233 million in surplus, in contrast to a deficit of $4.48 billion previously.

Link to comment
Share on other sites

  • 1 month later...
  • Elite Members

https://www.tbsnews.net/bangla/বাংলাদেশ/news-details-196114

টিবিএস রিপোর্ট

05 February, 2024, 12:35 pm

Last modified: 05 February, 2024, 02:01 pm

সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসে চট্টগ্রাম বিভাগে, কম রংপুরে

২০২২ সালে দেশের মোট ১৫.৩ শতাংশ খানা বা পরিবার প্রবাসী আয় গ্রহণ করেছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো অর্থ, অর্থাৎ প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স সবচেয়ে বেশি আসে চট্টগ্রাম বিভাগে। জাতীয় পর্যায়ে প্রবাস আসী গ্রহণকারী খানা বা পরিবাগুলোর অধিকাংশই (৩৫.২ শতাংশ) চট্টগ্রাম বিভাগে বসবাস করে।

বিবিএসের বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিক্‌স ২০২২ অনুসারে, ২০২২ সালে দেশের মোট ১৫.৩ শতাংশ খানা বা পরিবার প্রবাসী আয় গ্রহণ করেছে।

জরিপ বলছে, প্রবাসী আয় গ্রহণে চট্টগ্রাম বিভাগের পরের অবস্থানে রয়েছে ঢাকা বিভাগ (৩০.৫ শতাংশ) ও সিলেট বিভাগ (১০.১ শতাংশ)। 

আর রেমিট্যান্স গ্রহণকারী পরিবারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে কম অবদান রংপুর বিভাগের, মাত্র ২.৪ শতাংশ।

জরিপে দেখা গেছে, প্রবাসী আয় গ্রহণকারী পরিবারগুলো মূলত পল্লি অঞ্চলকেন্দ্রিক। পল্লি অঞ্চলের ১৬.৬ শতাংশ পরিবার রেমিট্যান্স গ্রহণ করেছে। সিটি করপোরেশন এলাকায় এ হার ৮.৭ শতাংশ এবং পৌরসভা বা অন্যান্য শহরাঞ্চলে তা ১২.৫ শতাংশ।

বিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রবাসী আয় প্রবাহ বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচিত। কারণ প্রবাসী আয় বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, জাতীয় সঞ্চয় ও টাকার হাতবদলের মাত্রা বাড়ানোর মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। 

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিশ্বব্যাংক ও নোমাডের মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ব্রিফ ৩৯-এর তথ্য অনুসারে, নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশগুলোর মধ্যে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়প্রাপ্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম।  

২০২৩ সালে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২১.৯২ বিলিয়ন ডলার। এর আগে ২০২২ সালে ১২ মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১.২৯ বিলিয়ন ডলার।

এছাড়া এ বছরের জানুয়ারিতে ২.১০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা গত সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। আর ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১.৯৮ বিলিয়ন ডলার।

Link to comment
Share on other sites

  • 4 weeks later...
  • Elite Members

https://www.thedailystar.net/nrb/migration/remittance/news/129b-remittances-received-last-6-months-3554721

Wed Feb 28, 2024 06:46 PM
Last update on: Wed Feb 28, 2024 10:42 PM

$12.9b in remittances received in last 6 months

 

Finance Minister Abul Hasan Mahmud Ali today told the parliament from July to January of the current financial year (2023-24), the country received some $12.9 billion ($12, 900.63 million) in remittances.

The minister said this while responding to a tabled question from Independent MP Muhammad Saiful Islam.

Of the amount, $2,425.58 million came from the United Arab Emirates, $ 1,610.38 million from the United Kingdom, $1601.22 million from Saudi Arabia, $1332.63 million from the United States, and $900.26 million from Italy.

Replying to ruling Awami League MP Mamunur Rashid Kiran, the minister said that in the first six months of the current fiscal year, some Tk 6.81 lakh crore were transacted through mobile financial services.

In response to the question of Independent lawmaker ABM Anisuzzaman, State Minister for ICT Junaid Ahmed Palak said that 192 local and foreign companies have started business activities in 18 Hi-Tech parks operated by the government.

"Till now about Tk2150 crore has been invested from the private sector," Palak added.

Link to comment
Share on other sites

Create an account or sign in to comment

You need to be a member in order to leave a comment

Create an account

Sign up for a new account in our community. It's easy!

Register a new account

Sign in

Already have an account? Sign in here.

Sign In Now
×
×
  • Create New...